প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ক। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
খ। ভিকটিম একজন বিবাহিত নারী। ৭ বছর পূর্বে তার পারিবারিক ভাবে নাটোর সদর থানাধীন জনৈক ওয়াসিম আকরাম এর সাথে বিয়ে হয়। ০২ মাস পূর্বে ভিকটিমের সাথে অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোঃ শাহজাহান (৩০) এর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। আসামী মোঃ শাহজাহান বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তরের মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করে এবং সেই মেয়েদের ভারতে পাচার করে মোটা অংকের টাকা আয় করে থাকে। পরিচয় হওয়ার পর থেকেই মোঃ শাহজাহান ভিকটিমকে পাশ্ববর্তী দেশে ভাল বেতনে চাকুরী সহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। মোঃ শাহজাহান ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৌশলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে তার নিকট নিয়ে আসে। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের স্বামী ওয়াসিম আকরাম (২৮) বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহরণের পর থেকেই র্যাব-৫ ভিকটিম উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। র্যাব ৫ ও র্যাব-৬ এর যৌথ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের এবং ভিকটিম এর অবস্থান সনাক্ত হওয়ার পর র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প তাৎক্ষণিক অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
গ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাতে র্যাব-৬, (যশোর ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানাধীন সীমান্তবর্তী সোনাবাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী এবং মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা (১) মোঃ শাহজাহান (৩০), পিতা- মোঃ সোবহান আলী সরদার, স্থায়ী সাং- মশ্বিমনগর, থানা- মনিরামপুর, জেলা- যশোর ও সহযোগী ২। মোঃ কবির হোসেন (৩৮), পিতা- মোঃ কাদের সরদার, সাং- শ্যামপুর, থানা- মনিরামপুর, জেলা- যশোরদ্বয়’কে গ্রেফতার করে। এ সময় ভিকটিমের স্বর্ণের ০১ জোড়া বালা, ০১ টি স্বর্ণের চেইন, ০১ জোড়া রুপার নুপুর ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘ। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে উদ্ধারকৃত মালামালসহ ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে নাটোর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।