বাংলাদেশ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ কুবি ধনবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পটুয়াখালীতে ১৬ বছরেও সেনাপল্লীর প্লট বরাদ্দ বুঝে পায়ইনি ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি যড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না- এমপি হিরো নরসিংদীতে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় টাকাসহ আটক-৩ পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সমতা থাকা বাঞ্ছনীয় কুবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলো তিন শিক্ষক হত্যা মামলার ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব। সুরমা টাওয়ার থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার! শাহ পরান এলাকায় একজন মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা
কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।। 
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের চান্দেরকোলা গ্রামে অবস্থিত নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লার বিরুদ্ধে মাদরাসার এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতনের শিকার ঐ ছাত্রের নাম জোনায়েদ (৭) সে নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার ১ম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত মোঃমহিবুল্লা কচুয়া উপজেলার বকুলতলা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম।সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা গেছে,আদৌ মোঃমহিবুল্লা নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার শিক্ষক নয়।তবে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন তিনি এর আগে এখানে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
এ বিষয়ে শিশু জোনায়েদের পিতা মোঃরফিকুল ইসলাম বলেন,আমি ঢাকায় একটি চাকুরিতে কর্মরত থাকায় আমার শিশুকে এ মাদরাসায় ভর্তি করি।তবে গত বুধবার রাতে মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লা মাদরাসা থাকা অবস্থায় আমার শিশুকে মারধর করেন।এতে তার সামনে থেকে চারটি দাত ভেঙ্গে যায়।এতে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পরে।আমি পরবর্তীতে কচুয়া সদর হাসপাতালে আমার শিশুর চিকিৎসা করাই।এ বিষয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কে মৌখিক ভাবে জানাই।তবে মাদরাসার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই শুধু এ ঘটনার বিচার আশা করেন তিনি।জোনায়েদর চাচা সাহআলম ও তার কয়েকজন নিকট আত্মীয়রাও একি অভিযোগ করেন।তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি কেউ।
ঘটনাটি নিয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল মাদরাসাটিতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবলা ও শিশু জোনায়েদ সহ তার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন।ঘটনার প্রকৃত সত্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর বলেন,আমরা মুলত অনাবাসীক শিক্ষক ঘটনার সময় রাতে আমরা ছিলাম না তবে সকালে অন্যান্য ছাত্রদের কাছথেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু জোনায়েদকে মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়।আদৌ ঐ সময় শিশুরা খেলা করছিল অসাবধানতা বসত পরেগিয়ে শিশু জোনায়েদের সামনে থেকে ৪ টি দাঁত ভেঙ্গে যায়।তবে যে কারনেই হোক এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। মোঃ ইউনুস আলী(৪৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি সুনেছি ছাত্ররা খেলা করছিল এসময় জোনায়েদ মহিবুল্লার কোলথেকে পরে গিয়ে তার সামনের কয়েকটি দাত ভেঙ্গে যায়।তবে নির্যাতনের ঘটনাটি সঠিক নয়।
মোঃনাইম শেখ(৪০) নামে আরো এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে মাদরাসাটি চালু আছে এধরণের কোন নির্যাতনের ঘটনা আগে-পরে কখন শোনেনি।আর বর্তমানে যে ঘটনা আলোচনায় এসেছে এ সম্পর্কে আমি শুনেছি কয়েকজন শিশু দুষ্টুমি করছিল এসময় তাদের থামানোর জন্য কোলে নিতে গেলে পরেগিয়ে আঘাত পেয়ে দাঁত ভেঙ্গে যায় তবে এটা মারধর বা নির্যাতনের ঘটনা বলে তার মনে হয়না।
মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফা বলেন,আমাদের কোন শিশুকে নির্যাতন করা হয় না বা করিনি।বর্তমান যে ঘটনাটি আলোচনায় এসেছে এটা মুলত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতের ঘটনা ঐ দিন মাগবিরের পরে ২০ থেকে ২৫ জন শিশু পড়ালেখা করছিল এসময় আমি আমার স্ত্রীকে ১০/২০ মিনিটের জন্য শিশুদের দেখার কথা বলে স্থানীয় সাইনবোর্ড বাজারে যাই পরে বাজারে থাকা অবস্থায় খবর পাই একটা শিশু পরেগিয়ে ব্যাথা পেয়েছে বলে ঔষধ নিতে বলেন আমি ঔষধ নিয়ে দ্রুত মাদরাসায় চলে আসি।গিয়ে আমার ছেলের কাছথেকে যেটা জানতে পারি কয়েকটি শিশু টুপি নিয়ে দুষ্টুমি করছিল তার ছেলে তাদের থামাতে গিয়ে পিছন থেকে ধরতে গিয়ে সোয়েটার পরা অবস্থায় শিশু জোনায়েদ ছটকা দিলে পরে গিয়ে আঘাত পায়।ঘটনার পর শিশুটিকে সুস্থ করি এবং পরে আমি ও আমার শিক্ষকরা একাধিক বার শিশুটির খোঁজ খবর নিয়েছি।তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।এ ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করি।

মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

আপডেট সময় ০৪:৪০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।। 
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের চান্দেরকোলা গ্রামে অবস্থিত নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লার বিরুদ্ধে মাদরাসার এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতনের শিকার ঐ ছাত্রের নাম জোনায়েদ (৭) সে নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার ১ম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত মোঃমহিবুল্লা কচুয়া উপজেলার বকুলতলা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম।সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা গেছে,আদৌ মোঃমহিবুল্লা নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার শিক্ষক নয়।তবে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন তিনি এর আগে এখানে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
এ বিষয়ে শিশু জোনায়েদের পিতা মোঃরফিকুল ইসলাম বলেন,আমি ঢাকায় একটি চাকুরিতে কর্মরত থাকায় আমার শিশুকে এ মাদরাসায় ভর্তি করি।তবে গত বুধবার রাতে মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লা মাদরাসা থাকা অবস্থায় আমার শিশুকে মারধর করেন।এতে তার সামনে থেকে চারটি দাত ভেঙ্গে যায়।এতে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পরে।আমি পরবর্তীতে কচুয়া সদর হাসপাতালে আমার শিশুর চিকিৎসা করাই।এ বিষয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কে মৌখিক ভাবে জানাই।তবে মাদরাসার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই শুধু এ ঘটনার বিচার আশা করেন তিনি।জোনায়েদর চাচা সাহআলম ও তার কয়েকজন নিকট আত্মীয়রাও একি অভিযোগ করেন।তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি কেউ।
ঘটনাটি নিয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল মাদরাসাটিতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবলা ও শিশু জোনায়েদ সহ তার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন।ঘটনার প্রকৃত সত্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর বলেন,আমরা মুলত অনাবাসীক শিক্ষক ঘটনার সময় রাতে আমরা ছিলাম না তবে সকালে অন্যান্য ছাত্রদের কাছথেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু জোনায়েদকে মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়।আদৌ ঐ সময় শিশুরা খেলা করছিল অসাবধানতা বসত পরেগিয়ে শিশু জোনায়েদের সামনে থেকে ৪ টি দাঁত ভেঙ্গে যায়।তবে যে কারনেই হোক এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। মোঃ ইউনুস আলী(৪৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি সুনেছি ছাত্ররা খেলা করছিল এসময় জোনায়েদ মহিবুল্লার কোলথেকে পরে গিয়ে তার সামনের কয়েকটি দাত ভেঙ্গে যায়।তবে নির্যাতনের ঘটনাটি সঠিক নয়।
মোঃনাইম শেখ(৪০) নামে আরো এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে মাদরাসাটি চালু আছে এধরণের কোন নির্যাতনের ঘটনা আগে-পরে কখন শোনেনি।আর বর্তমানে যে ঘটনা আলোচনায় এসেছে এ সম্পর্কে আমি শুনেছি কয়েকজন শিশু দুষ্টুমি করছিল এসময় তাদের থামানোর জন্য কোলে নিতে গেলে পরেগিয়ে আঘাত পেয়ে দাঁত ভেঙ্গে যায় তবে এটা মারধর বা নির্যাতনের ঘটনা বলে তার মনে হয়না।
মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফা বলেন,আমাদের কোন শিশুকে নির্যাতন করা হয় না বা করিনি।বর্তমান যে ঘটনাটি আলোচনায় এসেছে এটা মুলত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতের ঘটনা ঐ দিন মাগবিরের পরে ২০ থেকে ২৫ জন শিশু পড়ালেখা করছিল এসময় আমি আমার স্ত্রীকে ১০/২০ মিনিটের জন্য শিশুদের দেখার কথা বলে স্থানীয় সাইনবোর্ড বাজারে যাই পরে বাজারে থাকা অবস্থায় খবর পাই একটা শিশু পরেগিয়ে ব্যাথা পেয়েছে বলে ঔষধ নিতে বলেন আমি ঔষধ নিয়ে দ্রুত মাদরাসায় চলে আসি।গিয়ে আমার ছেলের কাছথেকে যেটা জানতে পারি কয়েকটি শিশু টুপি নিয়ে দুষ্টুমি করছিল তার ছেলে তাদের থামাতে গিয়ে পিছন থেকে ধরতে গিয়ে সোয়েটার পরা অবস্থায় শিশু জোনায়েদ ছটকা দিলে পরে গিয়ে আঘাত পায়।ঘটনার পর শিশুটিকে সুস্থ করি এবং পরে আমি ও আমার শিক্ষকরা একাধিক বার শিশুটির খোঁজ খবর নিয়েছি।তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।এ ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করি।