মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি(নওগাঁ)
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউপির লালুকাবাড়ী গুচ্ছগ্রামে নির্যাতিত মহিলা মিনা বেগমের পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে গুচ্ছগ্রামের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিককে মার ধরের অভিযোগ,মেম্বার লিটন হোসেন সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে।
থানার লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নালুকাবাড়ী গুচ্ছ গ্রামের সদস্য মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) পিতা-মৃত আসতুল্লাহ মন্ডল, সাং- নালুকাবাড়ী, ইউনিয়ন- মথুরাপুর, জেলা- নওগাঁ তিনি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা এবং গুচ্চগ্রাম সমিতর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসতেছে।গত কয়েক দিন পূর্বে উক্ত গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ওয়াহেদ আলী পিতা- অজ্ঞাত, সাং- চকমথুর, থানাঃ বদলগাছী, জেলাঃ নওগাঁ। মোঃ ওয়াহেদ আলী ও মেনা বেগমের নামে একটি ঘর রহিয়াছে। তারা স্বামী স্ত্রী একত্রে বসবাস করিতেছে। এমতাবস্থায় গত কয়েক দিন পূর্বে বিবাদী ওয়াহেদ ও মিনা সাংসারিক গন্ডগল লাগিয়া ওয়াহেদ গ্রামের বাড়ীতে চলিয়া যায় এবং মিনা তার মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ীতে রাখতে যায়। এরই মধ্যে ওয়াহেদ বাড়ীতে আসিয়া তালা চাবি মারিয়া চলিয়া যায়। দুই দিন পর মিনা বেগম বাড়ী (গুচ্ছগ্রাম) তে আসিয়া দেখে যে, তার ঘরে ডবল তালা চাবি মারা আছে।
উক্ত ঘটনা দেখে মিনা গুচ্ছগ্রামের ক্যাশিয়ার ও সভাপতি সাহেবের নিকট আসিয়া বললে, সভাপতি সাহেব গত ইং ০৩/০৯/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকার সময় ওয়াহেদকে ডাকিয়া লইয়া তালা চাবী খুলিয়া দিতে বলে। তখন ওয়াহেদ বলে যে, আমি তালা চাবি খুলতে পারিবো না এবং মিনাকে নিয়ে সংসার করবে না একাই থাকিবে বলিয়া জানায়। উক্ত ঘর মিনার নামে করা আছে। থাকতে না চাওয়া তাহলে তালা চাবি খুলিয়া দিয়ে যাও। আর একসাথে থাকলে থাকো এই বলিয়া সভাপতি চলিয়া যেতে বলে।
পরবর্তীতে একই তারিখ রাত অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময় মিনা বেগম সভাপতিকে বলে যে, তালা চাবি খুলে না দিয়ে তার স্বামী ওয়াহেদ চলে গেছে। তখন সভাপতি সাহেব দুই চারজন লোককে নিয়ে আসিয়া তালা চাবী খুলিয়া দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া ইং ০৪/০৯/২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় মিনার স্বামী ওয়াহেদ গোফ্ফার মেম্বার, আহসান হাবিব লিটন (৪৫) (ইউপি সদস্য) পিতা- আফজাল সাং মথুরাপুর, মোঃ সাহিদ (৪০) পিতা- মোঃ মজিবর রহমান, সাং- নালুকবাড়ী, মোঃ হেলাল উদ্দীন (৩৫) পিতা-লহির, সাং- নালুকবাড়ী, সর্বথানা- বদলগাছী, জেলা- নওগাঁগ সহ কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে আসিয়া সভাপতি সাহেবকে ডাকিয়া পাঠালে সভাপতি ঘটনাস্থলে আসিলে আহসান হাবিব লিটন বলে যে, তালা কেন খুলেছো। সভাপতি বলে যে একলা মেয়ে মানুষ তাই খুলে দিছি। এই কথা বলা মাত্রই ওয়াহেদ,সাহিদ, সভাপতিকে কিল ঘুষি লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা জখম করে। সভাপতি ভয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকলে আহসান হাবিব লিটন ঘরের ভিতর ঢুকে সভাপতিকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে মারপিট করে জখম করে এবং শ্বাস রোধ করার জন্য গলার উপর পা তুলে দেয়। সভাপতির ডাক-চিৎকার করিতে থাকিলে সাক্ষী ১। মোছাঃ মিনা (৩০) স্বামী- ওয়াহেদ, ২। মোঃ রাজ্জাক (৫৫) পিতা-মৃত আরসতুল্লাহ, উভয়সাং- নালুকাবাড়ী ( গুচ্ছগ্রাম), থানা- বদলগাছী, জেলা- নওগাঁ সহ আরো স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিয়া তাদের রক্ষা করে। এ বিষয়ে ওয়াহেদের মোবাইলে বারংবার যোগাযোগ করা হলে তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে আহসান হাবিব লিটন মেম্বারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে গিয়েছিলাম তবে সেখানে মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাঃ আতিয়ার রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্ত চলছে, তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।