নাটোর প্রতিনিধিঃ
ছেলে-মেয়ে উভয়েই পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে পরিচয়, এরপর প্রেম। পারিবারিকভাবে বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলের বাবা মেয়েকে দেখে বিয়ের আশ্বাস দেন। এরপর তাদের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বললে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসে ছেলেটি। পরে মেয়েটি ছেলের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। তবে এ অবস্থায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বাবা ও ছেলে। এরপর থেকে গত তিনদিন বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতেই অবস্থান করছে মেয়েটি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাপাত্তা ওই প্রেমিকের নাম রায়হান আলী ওরফে শুভ। সে ওই গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে।
অবস্থান নেওয়া প্রেমিকা জানান, রায়হান পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করতো। আর তিনি চাকরি করতেন পাশের ইপিজেডে। এক সময় তাদের মধ্যে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর রায়হানের বাবা তার বাড়িতে গিয়ে ছয় মাস পর বিয়ের আশ্বাসও দেন। এ অবস্থায় দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। এদিকে ছয় মাস পার হলে রায়হানকে বিয়ের জন্য চাপ দেন তিনি। কিন্তু তাকে বিয়ে না করে হঠাৎ রায়হান চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসে।
পরবর্তীতে বিয়ের কথা বললেই নিজেদের একান্তে সময় কাটানোর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় রায়হান। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় রায়হানের বাড়িতে অবস্থান নিলে রায়হান ও তার বাবা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন প্রেমিকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রায়হানের এক স্বজন বলেন, আমরা প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিয়ে বিয়ে করাতে রাজি ছিলাম। কিন্তু মেয়েটির আগে একবার বিয়ে হয়েছে শুনে পিছিয়ে গেছি।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে তারা ঈশ্বরদী থানা এলাকায় থাকাকালে সব ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে সেখানেই মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।