স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
যশোরে আজ বিকাল ৪ টায় নান্নু চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে ৮৬ জন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব এ্যাড.শহীদ আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তমিজুল ইসলাম খান, জেলা প্রশাসক যশোর।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক সানোয়ার আলম খানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী গোলাম ফারুক লিটন, বিশিষ্ট ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব খান মোঃ শফিক রতন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন-অর-রশিদ, এ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু , এডভোকেট আজিজুর রহমান সাবু, জিল্লুর রহমান ভিটু, কাজী আবুল বাসেদ বকুল, চৌধুরী মাহমুদ রেজা , নওরোজ আলম খান চপল, তরিকুল ইসলাম তরু, এ্যাড. হাসমত আলী খোকন, জাকির হোসেন, এ্যাড. হাফিজুর রহমান, শাহানেওয়াজ লেনিন, টিপু, নাহিদ, প্রণব দাস, মনিরুল হুদা খান সহ আরো অনেকে।
বক্তারা নান্নু চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ন্যায় সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের উন্নয়ন মূলক কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং নান্নু ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি, করোনাকালে অক্সিজেন পরিসেবা, শীতের সময় গরম কাপড়, বিভিন্ন দুর্যোগকালে খাদ্য সহায়তা,বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের মাঝে নতুন পোশাক প্রদানসহ সকল প্রকার সামাজিক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি উপস্থিত থেকে স্কুল ও কলেজের ৮৬ জন ছাত্র – ছাত্রীদের হাতে এককালীন বৃত্তির টাকা তুলে দেন।
সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১১ জনকে শিক্ষার্থীকে দুই হাজার টাকা করে মোট ২২ হাজার নবম ও দশম শ্রেণির ২৯ জনকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৭২ হাজার ৫ শত, একাদশ শ্রেণির ১৩ জনের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৩৯ হাজার টাকা, স্নাতক শ্রেণির ২৭ জনকে তিন হাজার ৫ শত টাকা করে মোট ৭৪ হাজার ৫ শত টাকা ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ৬ জনকে ৪ হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার টাকাসহ সর্বসাকুল্যে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য নান্নু চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট মাসিক বৃত্তি প্রদানসহ দেশে করোনার ক্রান্তিকালে অক্সিজেন সেবা ও বিভিন্ন দুর্যোগ ও ধর্মীয় উৎসবে শিশু কিশোরসহ সর্ব সাধারণের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।