বাংলাদেশ ০৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পীরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে মুখ খুলছেনা ভোটার সিলেট জেলা বিএনপির বিবৃতি সিসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স সাধারণ মানুষের উপর ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ কালকিনিতে বজ্রপাতে প্রতিবন্ধীর নিহতের পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা ব্যালট পেপারে প্রতীক ছবি ভুল, নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি বিষধর রাসেল’স ভাইপার সাপের কামড়ে প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেলো সলঙ্গার নাঈম সিংড়ায় ধানবাহী ট্রাক্টরের চাঁপা পড়ে চালক নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি একটি লাশ পাওয়া গিয়েছে। জারুলের বেগুনি আভায় সেজেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কুবি শিক্ষক সমিতির দ্বিতীয়দিনের অবস্থান কর্মসূচী পালন অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে বাবুবাজার হতে ০৩ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। হরিপুর থানা, ঠাকুরগাঁও এর আয়োজনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (১ম পর্যায়) উপলক্ষে নিরাপত্তা ফেনসিডিল সহ ০১ জন আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কটিয়াদীতে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে বৈশাখী মেলা শুরু

ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলায় ফ্রিল্যান্সিং করে সফল সিরাজুল ইসলাম সিরাজ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলায় ফ্রিল্যান্সিং করে সফল সিরাজুল ইসলাম সিরাজ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভাতুরিয়া গ্রামের আলহাজ্ব খলিলুর রহমানের ছেলে।
পড়াশোনার দিক থেকে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন একজন।
তিনি ২০০৪ সালে ভাতুরিয়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর রংপুর লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সে রাজশাহী কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স এবং ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে। পড়াশোনায় ছিলনা কোন কমতি। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি।
অবশেষে  অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শিখে সাফল্যতা অর্জন করা প্রবল আগ্রহ জন্মে তার ভিতর। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ছেলে। যেখান থেকে এক কিলোমিটার এর মধ্যে ভারত। সেই জায়গা থেকে পড়াশোনা চলাকালীন সময় থেকে শুরু করে সে বর্তমানে একজন স্বাবলম্বী ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা। তার জীবনের সফলতার পিছনে সংগ্রামের কথা জানালেন সেই উদ্যোক্তা সিরাজ।
উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,  আমার শুরুটা এই মুক্ত পেশায় প্রথম চরণ রাখি ২০১৪ সালের দিকে। তখন আমি পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা ইনকামের উপায় খুঁজছিলাম। এ সময় আমি টিউশন পড়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু টিউশন পাইনি। তারপরে আমি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারি।
এ পেশায় প্রথমত আমার শুরু হয় ব্লগিং দিয়ে। আমার একটা সফটওয়্যার রিলেটেড ব্লগ ছিল। এডসেন্স থেকে আমার প্রথম আয় ৮১ ডলার। এরপরে আমি স্বতন্ত্রভাবে বায়ার খুঁজতে শুরু করি। ২০১৫ সালে আমি লিংকদিন (Linkdin) থেকে একটা বায়ার খুঁজে পাই। এরপর ২০১৯ সালের দিকে আমি কানাডিয়ান একটি কোম্পানির সাথে আমি চুক্তিবদ্ধ হই।
এ দুটো কোম্পানির সাথে আমি কাজ করছি। বর্তমানে আমার ছোট্ট একটা টিম আছে এই টিম নিয়ে আমি কাজ করি। আমার টিমের মাসিক এভারেজ ইনকাম চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। আমার টিমে এখন পর্যন্ত ১৮-২০ জন কাজ করছে।
এখান থেকে কাজ শিখেই অনেকেই আবার নিজেরা নিজেদের মত টিম গঠন করে কাজ করছে। তারা ইনকাম করে বেশ ভালোভাবেই চলাফেরা করছে। শুধু ফ্রিল্যান্সিং নয় এর পাশাপাশি আমরা আমাদের নিজেদের উপার্জিত অর্থায়নে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকি।
যেমন শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সহ বিভিন্ন উৎসবে পথশিশু ও গরিব অসহায়দের সহায়তা করে থাকি। আমি চাই আমাদের মত অন্যান্যরাও এই কাজে এগিয়ে আসুক। এই আধুনিকতার যুগে কেউ ঘরে বেকার বসে থাকুক এটা আমি চাই না। পড়াশোনার পাশাপাশি সবাই যেন দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর ভূমিকা রাখতে পারে এটিই আমার স্বপ্ন। আমি যদি সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাই তাহলে আমার এই টিমটিকে অনেক বড় পরিসরে করার আশা রয়েছে। যেখানে কাজ করবে ঠাকুরগাঁওয়ের শত শত বেকার যুবক-যুবতী।
তিনি আরও বলেন যে, আমার নিজ উপজেলা হরিপুর ও নিজ ইউনিয়নে একটি পরামর্শ সেন্টার চালু করতে চাই, সেই সেন্টারে ফ্রি ট্রেনিংসহ পরামর্শ সেবা দিতে চাই। খুব তাড়াতাড়ি আমি এটি শুভ উদ্বোধন করবো। তবে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং যুব নারী, পুরুষ কে আহবান করছি। আমি চাই আমার মতো সকলেই স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন ভাবে বাচুঁক। সকলে উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী হোক।
এদিকে সদর উপজেলার আখানগর এলাকার আরেক প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সার রঘুনাথ সিংহ রায় বলেন, এটা একটা মুক্ত আর স্বাধীন পেশা, এখানে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা আসবে। উদ্যোক্তা সিরাজ ভাই অনেক পরিশ্রম করতে পারেন এবং কি তিনি অনেক দক্ষ, একটা সময় আমি ওনার সাথে ছিলাম। এখন আমি আলাদা হয়ে আলাদা বড় কোম্পানিতে কাজ করছি। তবে বেসিক অনেক কাজ আমি ওনার কাছেই শিখেছি।
রহিমানপুর এলাকার সিরাজের টিমের সদস্য মিজান প্রধান বলেন,  কোনো এক মাধ্যমে সিরাজ ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়। উনার সাথে কথাবার্তা বলে উনি আমাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখান। এক পর্যায়ে আমি পূর্বে যে চাকরি করতাম সে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সিরাজ ভাইয়ের টিমে আমি যুক্ত হয়। বর্তমানে মোটামুটি ভাবে আমি এই অনলাইন জগত থেকে ভালো উপার্জন করি।
হরিপুর উপজেলার নিজ এলাকা ভাতুরিয়া গ্রামের আরো এক সদস্য পলাশ রানা বলেন, আমি বিগত তিন-চার বছর থেকে এই পেশায় নিয়োজিত আছি। এই পেশায় থেকে বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। ফ্রিল্যান্সিং এর ভালো দিক হচ্ছে যে এখানে সৎ ভাবে উপার্জন করা যায়। আমি এখানে উপার্জন করে সেই টাকা দিয়ে আমার পরিবারের খরচের পাশাপাশি ব্যবসা ও কৃষি কাজে ব্যয় করতে পারি।
এই কাজে থেমে নেই নারীরাও, হরিপুর উপজেলার সিরাজের টিমের আরেক দক্ষ নারী ফ্রিল্যান্সার আসফিয়া সিদ্দিকী বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইনে ল্যাপটপের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর কাজ করছি এবং আমি নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করতে পারি এই পেশার মাধ্যমে। আমি চাই হরিপুর উপজেলাসহ অন্যান্য গ্রামের মেয়েরাও আমার মতো আউটসোর্সিংয়ের কাজ করুক। কোন মেয়েরাই যেন পিছিয়ে না থাকে এই আধুনিক যুগে।
শুধু এরাই নয়! এদের মতো পড়াশোনা সহ বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি সমাজের প্রতিকূলতা পেরিয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ করে আরও অনেকে। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন ইমন রেজা, আব্দুল্লাহ আল-আমিন, শেখ ফরিদ সুজন, রিয়াজুল ইসলাম রুবেল, নাঈম সিদ্দিকী সহ অনেকেই আজ পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সিরাজের টিমে থেকে কাজ করে। তারা আজ সকলেই স্বাবলম্বী।
এদিকে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নের ভাতুরিয়া গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সে দীর্ঘদিন যাবত আউটসোর্সিং এর সাথে কাজ করছে এবং তার সাথে আমার ইউনিয়নের অন্যান্য ছেলে মেয়েরাও একসাথে যুক্ত হয়ে এ কাজ করছে। যেহেতু এ পেশায় পড়াশোনার পাশাপাশি সৎভাবে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেহেতু আমি তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে মুখ খুলছেনা ভোটার

ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলায় ফ্রিল্যান্সিং করে সফল সিরাজুল ইসলাম সিরাজ

আপডেট সময় ০৩:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভাতুরিয়া গ্রামের আলহাজ্ব খলিলুর রহমানের ছেলে।
পড়াশোনার দিক থেকে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন একজন।
তিনি ২০০৪ সালে ভাতুরিয়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর রংপুর লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সে রাজশাহী কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স এবং ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে। পড়াশোনায় ছিলনা কোন কমতি। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি।
অবশেষে  অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শিখে সাফল্যতা অর্জন করা প্রবল আগ্রহ জন্মে তার ভিতর। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ছেলে। যেখান থেকে এক কিলোমিটার এর মধ্যে ভারত। সেই জায়গা থেকে পড়াশোনা চলাকালীন সময় থেকে শুরু করে সে বর্তমানে একজন স্বাবলম্বী ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা। তার জীবনের সফলতার পিছনে সংগ্রামের কথা জানালেন সেই উদ্যোক্তা সিরাজ।
উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,  আমার শুরুটা এই মুক্ত পেশায় প্রথম চরণ রাখি ২০১৪ সালের দিকে। তখন আমি পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা ইনকামের উপায় খুঁজছিলাম। এ সময় আমি টিউশন পড়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু টিউশন পাইনি। তারপরে আমি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারি।
এ পেশায় প্রথমত আমার শুরু হয় ব্লগিং দিয়ে। আমার একটা সফটওয়্যার রিলেটেড ব্লগ ছিল। এডসেন্স থেকে আমার প্রথম আয় ৮১ ডলার। এরপরে আমি স্বতন্ত্রভাবে বায়ার খুঁজতে শুরু করি। ২০১৫ সালে আমি লিংকদিন (Linkdin) থেকে একটা বায়ার খুঁজে পাই। এরপর ২০১৯ সালের দিকে আমি কানাডিয়ান একটি কোম্পানির সাথে আমি চুক্তিবদ্ধ হই।
এ দুটো কোম্পানির সাথে আমি কাজ করছি। বর্তমানে আমার ছোট্ট একটা টিম আছে এই টিম নিয়ে আমি কাজ করি। আমার টিমের মাসিক এভারেজ ইনকাম চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। আমার টিমে এখন পর্যন্ত ১৮-২০ জন কাজ করছে।
এখান থেকে কাজ শিখেই অনেকেই আবার নিজেরা নিজেদের মত টিম গঠন করে কাজ করছে। তারা ইনকাম করে বেশ ভালোভাবেই চলাফেরা করছে। শুধু ফ্রিল্যান্সিং নয় এর পাশাপাশি আমরা আমাদের নিজেদের উপার্জিত অর্থায়নে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকি।
যেমন শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সহ বিভিন্ন উৎসবে পথশিশু ও গরিব অসহায়দের সহায়তা করে থাকি। আমি চাই আমাদের মত অন্যান্যরাও এই কাজে এগিয়ে আসুক। এই আধুনিকতার যুগে কেউ ঘরে বেকার বসে থাকুক এটা আমি চাই না। পড়াশোনার পাশাপাশি সবাই যেন দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর ভূমিকা রাখতে পারে এটিই আমার স্বপ্ন। আমি যদি সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাই তাহলে আমার এই টিমটিকে অনেক বড় পরিসরে করার আশা রয়েছে। যেখানে কাজ করবে ঠাকুরগাঁওয়ের শত শত বেকার যুবক-যুবতী।
তিনি আরও বলেন যে, আমার নিজ উপজেলা হরিপুর ও নিজ ইউনিয়নে একটি পরামর্শ সেন্টার চালু করতে চাই, সেই সেন্টারে ফ্রি ট্রেনিংসহ পরামর্শ সেবা দিতে চাই। খুব তাড়াতাড়ি আমি এটি শুভ উদ্বোধন করবো। তবে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং যুব নারী, পুরুষ কে আহবান করছি। আমি চাই আমার মতো সকলেই স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন ভাবে বাচুঁক। সকলে উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী হোক।
এদিকে সদর উপজেলার আখানগর এলাকার আরেক প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সার রঘুনাথ সিংহ রায় বলেন, এটা একটা মুক্ত আর স্বাধীন পেশা, এখানে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা আসবে। উদ্যোক্তা সিরাজ ভাই অনেক পরিশ্রম করতে পারেন এবং কি তিনি অনেক দক্ষ, একটা সময় আমি ওনার সাথে ছিলাম। এখন আমি আলাদা হয়ে আলাদা বড় কোম্পানিতে কাজ করছি। তবে বেসিক অনেক কাজ আমি ওনার কাছেই শিখেছি।
রহিমানপুর এলাকার সিরাজের টিমের সদস্য মিজান প্রধান বলেন,  কোনো এক মাধ্যমে সিরাজ ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়। উনার সাথে কথাবার্তা বলে উনি আমাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখান। এক পর্যায়ে আমি পূর্বে যে চাকরি করতাম সে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সিরাজ ভাইয়ের টিমে আমি যুক্ত হয়। বর্তমানে মোটামুটি ভাবে আমি এই অনলাইন জগত থেকে ভালো উপার্জন করি।
হরিপুর উপজেলার নিজ এলাকা ভাতুরিয়া গ্রামের আরো এক সদস্য পলাশ রানা বলেন, আমি বিগত তিন-চার বছর থেকে এই পেশায় নিয়োজিত আছি। এই পেশায় থেকে বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। ফ্রিল্যান্সিং এর ভালো দিক হচ্ছে যে এখানে সৎ ভাবে উপার্জন করা যায়। আমি এখানে উপার্জন করে সেই টাকা দিয়ে আমার পরিবারের খরচের পাশাপাশি ব্যবসা ও কৃষি কাজে ব্যয় করতে পারি।
এই কাজে থেমে নেই নারীরাও, হরিপুর উপজেলার সিরাজের টিমের আরেক দক্ষ নারী ফ্রিল্যান্সার আসফিয়া সিদ্দিকী বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইনে ল্যাপটপের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর কাজ করছি এবং আমি নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করতে পারি এই পেশার মাধ্যমে। আমি চাই হরিপুর উপজেলাসহ অন্যান্য গ্রামের মেয়েরাও আমার মতো আউটসোর্সিংয়ের কাজ করুক। কোন মেয়েরাই যেন পিছিয়ে না থাকে এই আধুনিক যুগে।
শুধু এরাই নয়! এদের মতো পড়াশোনা সহ বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি সমাজের প্রতিকূলতা পেরিয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ করে আরও অনেকে। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন ইমন রেজা, আব্দুল্লাহ আল-আমিন, শেখ ফরিদ সুজন, রিয়াজুল ইসলাম রুবেল, নাঈম সিদ্দিকী সহ অনেকেই আজ পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সিরাজের টিমে থেকে কাজ করে। তারা আজ সকলেই স্বাবলম্বী।
এদিকে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নের ভাতুরিয়া গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সে দীর্ঘদিন যাবত আউটসোর্সিং এর সাথে কাজ করছে এবং তার সাথে আমার ইউনিয়নের অন্যান্য ছেলে মেয়েরাও একসাথে যুক্ত হয়ে এ কাজ করছে। যেহেতু এ পেশায় পড়াশোনার পাশাপাশি সৎভাবে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেহেতু আমি তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।