বাংলাদেশ ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ কুবি ধনবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পটুয়াখালীতে ১৬ বছরেও সেনাপল্লীর প্লট বরাদ্দ বুঝে পায়ইনি ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি যড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না- এমপি হিরো নরসিংদীতে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় টাকাসহ আটক-৩ পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সমতা থাকা বাঞ্ছনীয় কুবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলো তিন শিক্ষক হত্যা মামলার ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব। সুরমা টাওয়ার থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার! শাহ পরান এলাকায় একজন মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৯৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন

স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর ও অন্যের দোকানে কর্মচারীর লব্ধ অভিজ্ঞতা পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন।
একসময়ের স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী পঞ্চাশোর্ধ পানা উল্লাহ । এরপর পদ্মার ভাঙনে সহায়সম্বল হারিয়ে স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান নিয়ে নিকটাত্মীয়ের বাসায় থাকতেন। দোকানে কাজ করে কোন মতে সংসার চলতো। এটাই শেষ নয় কোভিড-১৯ এর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। একদিকে চরম অভাব-অনটন, অন্যদিকে বিবাহ উপযুক্ত তিন কন্যা। তিনি যেন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
এর মাঝেই আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় তিন কন্যাকে বিবাহ দেন। কিন্তু বসতভিটা না থাকায় শ্বসুর বাড়ির লোকজনের কটু কথা শুনতে হতো তার মেয়েদের। অপরদিকে ছোট মেয়েকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার মত সঙ্গতি ছিল না। একদিকে মৌলিক চাহিদা প‚রণের ব্যর্থতা, অন্যদিকে আত্মীয় স্বজনের তীব্র উপহাস, এভাবেই কাটতে থাকে পানা উল্লাহর জীবন। এরই মাঝে সু-সংবাদ আসে তার কাছে।
স্থানীয় সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোজার ঠাঁই হয় তার। তিনি পান স্বপ্নের ঠিকানা। জমিসহ সেমি পাকা বাড়ী তার নিকট যেন আকাশের চাঁদ। লালপুর বাজার থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের জমিসহ বাড়ি পেয়ে পানা উল্লাহ’র চোখে মুখে উন্নত জীবনের স্বপ্ন। অন্যের দোকানে কর্মচারীর কাজের পরিবর্তে লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন স্বর্নকারের দোকান।
দৃষ্টিনন্দন রূপা (চাদি) অলংকার এলাকাবাসীর নজরে আসে, দামেও অন্যান্য দোকানের চেয়ে সাশ্রয়। বাড়তে থাকে ক্রেতা। গ্রোথ সেন্টারের নিবকবর্তী হওয়ায় ক্রেতা পেতে বেগ পেতে হয় না তার। অপরদিকে স্ত্রী মাজেদা বাড়ীতে নকশীকাঁথার কাজ করেন। তার সুনিপুণ কারুকাজ আয়ের উৎসকে প্রসারিত করেছে। এছাড়াও বাড়িতে হাঁস মুরগী পালনেও বাড়তি আয় হচ্ছে । তাদের পরিবার এখন নিম্ন আয়ের মানুষের আদর্শ অনুকরণীয়। চতুর্থ মেয়ে মিলি খাতুন দশম শ্রেণিতে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। সে এখন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে।
গোপালপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলায় হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যে চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।’
লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, ৯২ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরে তুলে দিয়েছি। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। এছাড়াও ১৪২ টি ঘরের কাজ কাজ চলমান রয়েছে।’ আমরা এ বছরের মধ্যেই তাদের ঘরে তুলে দিবো।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণ, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ফলে তাদের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে যাদের জমি নেই তাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন

আপডেট সময় ১০:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর ও অন্যের দোকানে কর্মচারীর লব্ধ অভিজ্ঞতা পাল্টে দিয়েছে পানা উল্লাহর জীবন।
একসময়ের স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী পঞ্চাশোর্ধ পানা উল্লাহ । এরপর পদ্মার ভাঙনে সহায়সম্বল হারিয়ে স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান নিয়ে নিকটাত্মীয়ের বাসায় থাকতেন। দোকানে কাজ করে কোন মতে সংসার চলতো। এটাই শেষ নয় কোভিড-১৯ এর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। একদিকে চরম অভাব-অনটন, অন্যদিকে বিবাহ উপযুক্ত তিন কন্যা। তিনি যেন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন।
এর মাঝেই আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় তিন কন্যাকে বিবাহ দেন। কিন্তু বসতভিটা না থাকায় শ্বসুর বাড়ির লোকজনের কটু কথা শুনতে হতো তার মেয়েদের। অপরদিকে ছোট মেয়েকে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার মত সঙ্গতি ছিল না। একদিকে মৌলিক চাহিদা প‚রণের ব্যর্থতা, অন্যদিকে আত্মীয় স্বজনের তীব্র উপহাস, এভাবেই কাটতে থাকে পানা উল্লাহর জীবন। এরই মাঝে সু-সংবাদ আসে তার কাছে।
স্থানীয় সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোজার ঠাঁই হয় তার। তিনি পান স্বপ্নের ঠিকানা। জমিসহ সেমি পাকা বাড়ী তার নিকট যেন আকাশের চাঁদ। লালপুর বাজার থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের জমিসহ বাড়ি পেয়ে পানা উল্লাহ’র চোখে মুখে উন্নত জীবনের স্বপ্ন। অন্যের দোকানে কর্মচারীর কাজের পরিবর্তে লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন স্বর্নকারের দোকান।
দৃষ্টিনন্দন রূপা (চাদি) অলংকার এলাকাবাসীর নজরে আসে, দামেও অন্যান্য দোকানের চেয়ে সাশ্রয়। বাড়তে থাকে ক্রেতা। গ্রোথ সেন্টারের নিবকবর্তী হওয়ায় ক্রেতা পেতে বেগ পেতে হয় না তার। অপরদিকে স্ত্রী মাজেদা বাড়ীতে নকশীকাঁথার কাজ করেন। তার সুনিপুণ কারুকাজ আয়ের উৎসকে প্রসারিত করেছে। এছাড়াও বাড়িতে হাঁস মুরগী পালনেও বাড়তি আয় হচ্ছে । তাদের পরিবার এখন নিম্ন আয়ের মানুষের আদর্শ অনুকরণীয়। চতুর্থ মেয়ে মিলি খাতুন দশম শ্রেণিতে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। সে এখন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে।
গোপালপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলায় হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যে চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।’
লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, ৯২ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরে তুলে দিয়েছি। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। এছাড়াও ১৪২ টি ঘরের কাজ কাজ চলমান রয়েছে।’ আমরা এ বছরের মধ্যেই তাদের ঘরে তুলে দিবো।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণ, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ফলে তাদের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে যাদের জমি নেই তাদের ঘর দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।