বাংলাদেশ ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ  হাইকোর্টের নির্দেশে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ। দুই স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাবির জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে ঢাবির দুই দল ঝালকাঠীর দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতি-সড়ক অবকাঠামো দায়ী। সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  নাগরপুরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।  স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০০০ রিকশাচালকের মাঝে শোভনের ক্যাপ বিতরণ রাঙ্গাবালী খালে পাওয়া টর্পেডো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে নৌবাহিনী। পঞ্চগড়ে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যেগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ উপাচার্য-ট্রেজারের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ক্লিন,গ্রীন ও স্মার্ট সি‌লেট গড়ার ল‌ক্ষ্যে সিসিক মেয়র এর সা‌থে আন্তর্জা‌তিক ব্যবসায়ীদের বৈঠক ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

সাপাহারে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আটক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৮ বার পড়া হয়েছে

সাপাহারে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আটক

 

নাদিম অহমেদ অনিক,স্টাফ রিপোর্টার-

নওগাঁর সাপাহারে গরু চুরি করে পালানোর সময় পুলিশের অভিযানে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে ও আন্তঃবিভাগীয় কুখ্যাত ডাকাত আলম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মশরীভোজা গ্রামের বোধন মন্ডলের ছেলে পালাশ (৪০)।

 

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই দুই ডাকাত সদস্যদের আটক করা হয়। ওই দিন রাত ১২টার সময় উপজেলার লাল পাড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র পালের ছেলে ও অনিক ড্রাগ হাউজের মালিক অনিক পাল তার দোকান বন্ধ করে নিজ বাসায় ফিরছিলো। অনিক তার বাড়ী নিকট পৌঁছলে একদল ডাকাত তার পথ রোধ করে দাঁড়ায়।

 

এসময় ডাকাতদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে অনিক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা অনিককে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বিষয়টি সাপাহার থানা পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে ওসি তারেকুর রহমান ও তদন্ত ওসি আলমাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করেন।

 

এমতাবস্থায় রাত্রি ৩টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা উপজেলার উঁচাডাঙ্গা গ্রাম হতে একটি গরু ও একটি বাইসাইকেল ডাকাতি করে ভুটভুটিতে উঠিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে টহলরত পুলিশ পিক-আপ ভ্যান দিয়ে তাদের ভুটভুটির পথ রোধ করে। ডাকাত সদস্যরা পুলিশ ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে ভুটভুটি উল্টে যায়। ভুটভুটিতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা দিক বিদিক ছুটে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে। ভুটভুটির আঘাতে আহত ডাকাত পলাশকে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ১টি হাসুয়া ১টি শাবল ও ১টি সুচালো লোহার রড সহ তাকে আটক করে।

 

 

 

অপর কুখ্যাত ডাকাত আলম পায়ে আঘাত পেয়েও দৌড়ে গিয়ে তাজপুর গ্রামের একটি পুকুরে ঝাপ দেয়। এসময় পুলিশের দল পানি হতে তাকে তুলতে ব্যর্থ হলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে তাজপুর গ্রামের জনগন জেগে যায়। পরে সাধারণ লোকজন ও পুলিশ সদস্যারা সারা পুকুরটিকে ঘিরে ফেলে ডাকাত আলমকে পুকুর থেকে তোলার চেষ্টা করে। পুলিশ ও জনগনের সকল চেষ্টা ব্যার্থ হলে পুলিশের দুইজন কনষ্টবল পুকুরে নেমে আলমকে ধরে উপরে তোলেন।

 

 

তাদেরকে আহত অবস্থায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। আটক আলম ও পলাশের দেয়া তথ্য মতে আরও দুইজন সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। এবিষয়ে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ 

সাপাহারে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আটক

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

 

নাদিম অহমেদ অনিক,স্টাফ রিপোর্টার-

নওগাঁর সাপাহারে গরু চুরি করে পালানোর সময় পুলিশের অভিযানে আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে ও আন্তঃবিভাগীয় কুখ্যাত ডাকাত আলম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মশরীভোজা গ্রামের বোধন মন্ডলের ছেলে পালাশ (৪০)।

 

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই দুই ডাকাত সদস্যদের আটক করা হয়। ওই দিন রাত ১২টার সময় উপজেলার লাল পাড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র পালের ছেলে ও অনিক ড্রাগ হাউজের মালিক অনিক পাল তার দোকান বন্ধ করে নিজ বাসায় ফিরছিলো। অনিক তার বাড়ী নিকট পৌঁছলে একদল ডাকাত তার পথ রোধ করে দাঁড়ায়।

 

এসময় ডাকাতদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে অনিক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা অনিককে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বিষয়টি সাপাহার থানা পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে ওসি তারেকুর রহমান ও তদন্ত ওসি আলমাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করেন।

 

এমতাবস্থায় রাত্রি ৩টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা উপজেলার উঁচাডাঙ্গা গ্রাম হতে একটি গরু ও একটি বাইসাইকেল ডাকাতি করে ভুটভুটিতে উঠিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে টহলরত পুলিশ পিক-আপ ভ্যান দিয়ে তাদের ভুটভুটির পথ রোধ করে। ডাকাত সদস্যরা পুলিশ ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে ভুটভুটি উল্টে যায়। ভুটভুটিতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা দিক বিদিক ছুটে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে। ভুটভুটির আঘাতে আহত ডাকাত পলাশকে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ১টি হাসুয়া ১টি শাবল ও ১টি সুচালো লোহার রড সহ তাকে আটক করে।

 

 

 

অপর কুখ্যাত ডাকাত আলম পায়ে আঘাত পেয়েও দৌড়ে গিয়ে তাজপুর গ্রামের একটি পুকুরে ঝাপ দেয়। এসময় পুলিশের দল পানি হতে তাকে তুলতে ব্যর্থ হলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে তাজপুর গ্রামের জনগন জেগে যায়। পরে সাধারণ লোকজন ও পুলিশ সদস্যারা সারা পুকুরটিকে ঘিরে ফেলে ডাকাত আলমকে পুকুর থেকে তোলার চেষ্টা করে। পুলিশ ও জনগনের সকল চেষ্টা ব্যার্থ হলে পুলিশের দুইজন কনষ্টবল পুকুরে নেমে আলমকে ধরে উপরে তোলেন।

 

 

তাদেরকে আহত অবস্থায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। আটক আলম ও পলাশের দেয়া তথ্য মতে আরও দুইজন সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। এবিষয়ে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার।