বাংলাদেশ ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি লাইব্রেরিয়ান রফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন: পথচারীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে তরুণ ঐক্য ব্লাড ডোনার ও স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন রাবিতে প্রথমবারের মতো হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযুক্তের দাবি রাজশাহী নগরীর কেদুরমোড় এলাকার মাদক কারবারী তোসলি গ্রেফতার গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত প্রধান আসামী মোক্তার গ্রেফতার। পিরোজপুর জেলা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা প্রচণ্ড গরমের পর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী‌তে স্বস্তির বৃষ্টি। কালকিনিতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আজ শুভ উদ্বোধন হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার মামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাঈল কর্তৃক বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। মুলাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার তালুকদারের উড়োজাহান প্রতিকের সমর্থনে গনসংযোগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হলেন কোরবান শেখ

সখীপুরে বিবাহ বিচ্ছেদে এগিয়ে নারীরা!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
  • ১৭১৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। গত এক বছরে তালাকের মাধ্যমে ৫৭৮টি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।

বিচ্ছেদের কারণ অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে বাল্যবিবাহ, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর উদাসীনতা, পরকীয়া, নারীর প্রতিবাদী রূপ, নারীর শিক্ষা, স্বামীর মাদকাসক্তি, দীর্ঘদিন স্বামী প্রবাসে থাকা, শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন, যৌতুকের জন্য ক্রমাগত চাপ, স্বামীর নির্যাতন।

সখীপুরের ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১২টি কাজি অফিসের নথিপত্র ও কাজিদের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলায় মোট ৮৩৩টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়- হাতীবান্ধা ইউনিয়নে ৪৪টি, যাদবপুর ইউনিয়নে ৪৪টি, বহুরিয়া ইউনিয়নে ২১টি, গজারিয়া ইউনিয়নে ১৮টি, দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে ৩৫টি, কালিয়া ইউনিয়নে ১২০টি, বহেড়াতৈল ইউনিয়নে ৬৯টি, কাকড়াজান ইউনিয়নে ৬৩টি ও পৌরসভার চারটি কার্যালয়ে ১৫৪টি বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) নিবন্ধন করা হয়েছে।

এর মধ্যে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ১৭টি, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে ২৯৭টি ও ছেলে-মেয়ে তথা উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ২৬৪টি বিয়ের তালাক নিবন্ধন করা হয়েছে। কনেপক্ষের তালাককে ডি-তালাক, ছেলেপক্ষের তালাককে বি-তালাক ও ছেলে-মেয়ের সমঝোতার তালাককে সি-তালাক বলা হয়।

ভুক্তভোগী নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামান্য কারণে কোনো নারী কখনো বিবাহ বিচ্ছেদ চান না। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অসহ্য হয়ে পড়লে তখনই এমন ঘটনা ঘটে।

সখীপুর উপজেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার কাজি শফিউল ইসলাম বাদল বলেন, বাল্যবিবাহ, স্বামী বিদেশে থাকা ও পরকীয়া ঘটিতসহ নানা জটিলতায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি

সখীপুরে বিবাহ বিচ্ছেদে এগিয়ে নারীরা!

আপডেট সময় ০৭:১৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। গত এক বছরে তালাকের মাধ্যমে ৫৭৮টি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।

বিচ্ছেদের কারণ অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে বাল্যবিবাহ, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর উদাসীনতা, পরকীয়া, নারীর প্রতিবাদী রূপ, নারীর শিক্ষা, স্বামীর মাদকাসক্তি, দীর্ঘদিন স্বামী প্রবাসে থাকা, শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন, যৌতুকের জন্য ক্রমাগত চাপ, স্বামীর নির্যাতন।

সখীপুরের ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১২টি কাজি অফিসের নথিপত্র ও কাজিদের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলায় মোট ৮৩৩টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়- হাতীবান্ধা ইউনিয়নে ৪৪টি, যাদবপুর ইউনিয়নে ৪৪টি, বহুরিয়া ইউনিয়নে ২১টি, গজারিয়া ইউনিয়নে ১৮টি, দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে ৩৫টি, কালিয়া ইউনিয়নে ১২০টি, বহেড়াতৈল ইউনিয়নে ৬৯টি, কাকড়াজান ইউনিয়নে ৬৩টি ও পৌরসভার চারটি কার্যালয়ে ১৫৪টি বিবাহবিচ্ছেদ (তালাক) নিবন্ধন করা হয়েছে।

এর মধ্যে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ১৭টি, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে ২৯৭টি ও ছেলে-মেয়ে তথা উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ২৬৪টি বিয়ের তালাক নিবন্ধন করা হয়েছে। কনেপক্ষের তালাককে ডি-তালাক, ছেলেপক্ষের তালাককে বি-তালাক ও ছেলে-মেয়ের সমঝোতার তালাককে সি-তালাক বলা হয়।

ভুক্তভোগী নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামান্য কারণে কোনো নারী কখনো বিবাহ বিচ্ছেদ চান না। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অসহ্য হয়ে পড়লে তখনই এমন ঘটনা ঘটে।

সখীপুর উপজেলা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার কাজি শফিউল ইসলাম বাদল বলেন, বাল্যবিবাহ, স্বামী বিদেশে থাকা ও পরকীয়া ঘটিতসহ নানা জটিলতায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।