বাগেরহাট হতে চাঞ্চল্যকর পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণসহ সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
https://youtu.be/efOX1MB7P_o
গত ০৭ মার্চ ২০২২ তারিখ বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন সরাফপুর এলাকার পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ুয়া ১১ বছর বয়সের এক নাবালিকা কন্যা স্কুল ছুটির পরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে স্থানীয় সৈয়দ হাসান মীর (৬০) ভিকটিমকে ভুল বুঝাইয়া পার্শ্ববর্তী বাগানের ভিতরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ভিকটিমের আত্মচিৎকার ও ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসলে আসামী পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার আসামী বাগেরটাট জেলার রামপাল থানাধীন সরাফপুর এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ০৮ মার্চ ২০২২ তারিখ ১০.৩০ ঘটিকার সময় আভিযানিক দলটি বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন সরাফপুর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার আসামী ১। সৈয়দ হাসান মীর(৬০), পিতা-মৃত সৈয়দ আব্দুল হামিদ মীর, সাং-সরাফপুর, থানা-রামপাল, জেলা-বাগেরহাটকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।