বাংলাদেশ ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া  সংরক্ষিত বনভূমির পূর্ব ভারুয়াখালী রব্বানিয়া পাড়ায় এলাকার চিহ্নিত বনদস্যূ আবুল কাশেম,ইউনুচ ও ইলিয়াছ এর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালীতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে মাটি  বিক্রি করে আসছে। সবুজ-বেষ্টনি ঘেরা এ বনাঞ্চলে অবাধে পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তনের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের পেকুয়ার পাহাড়ি সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। পাহাড়গুলো হারাচ্ছে স্বকীয়তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চট্রগ্রাম দক্ষিণ  বন বিভাগের কতিপয় কর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে চিহ্নিত কিছু পাহাড় খেকো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও  দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে দেদারসে টাকার বিনিময়ে পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫/৬ জন ব্যক্তিরা সরকার দলীয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে দীর্ঘদিন ধরে। চক্রটি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় স্থল ভূমির খুঁটি নামে খ্যাত পাহাড় ধংস করে চলেছে। এ বনখেকোর  সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরোক্ষ যোগসাজশে।

স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলের।

আদালত কর্তৃক পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তারা  তা মানছে না।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শীঘ্রই  অভিযান পরিচালনা করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

পেকুয়ায় পাহাড় কেটে স্থাপন নির্মাণের চলছে মহোৎসব

আপডেট সময় ১১:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া  সংরক্ষিত বনভূমির পূর্ব ভারুয়াখালী রব্বানিয়া পাড়ায় এলাকার চিহ্নিত বনদস্যূ আবুল কাশেম,ইউনুচ ও ইলিয়াছ এর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালীতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে মাটি  বিক্রি করে আসছে। সবুজ-বেষ্টনি ঘেরা এ বনাঞ্চলে অবাধে পাহাড় ও সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তনের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের পেকুয়ার পাহাড়ি সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকৃতি ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। পাহাড়গুলো হারাচ্ছে স্বকীয়তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চট্রগ্রাম দক্ষিণ  বন বিভাগের কতিপয় কর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে চিহ্নিত কিছু পাহাড় খেকো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বসতবাড়ি ও  দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে দেদারসে টাকার বিনিময়ে পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫/৬ জন ব্যক্তিরা সরকার দলীয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে দীর্ঘদিন ধরে। চক্রটি প্রশাসনের ছত্রছায়ায় স্থল ভূমির খুঁটি নামে খ্যাত পাহাড় ধংস করে চলেছে। এ বনখেকোর  সঙ্গে রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরোক্ষ যোগসাজশে।

স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলের।

আদালত কর্তৃক পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তারা  তা মানছে না।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শীঘ্রই  অভিযান পরিচালনা করা হবে।