বাংলাদেশ ০৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মানিকগঞ্জে ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সন্ধান মিলেনি সাংবাদিকের চুরি হওয়া টয়োটার গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের উপর চাপা পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু।  কটিয়াদীতে কবরস্থান প্রতিষ্ঠায় মত বিনিময় সভা। কাউখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টনের গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে আনন্দমেলার সমাপনী সম্মাননা স্মারক প্রদান নাগরপুরে রাজিব হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন  উপজেলা নির্বাচন : চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রার্থী। অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদ কুবি শিক্ষক সমিতির কাউখালীতে হিট স্টকে একজনের মৃত্যু। কুখ্যাত মাদক সম্রাট মাহফুজুর রহমান মাসুদ কে গ্রেফতার। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অর্থ আদায়ের অনিয়ম কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ৩, একজনের দুই পা বিচ্ছিন্ন নগরীর ষোলশহর রেল ষ্টেশন এখন কিশোর গ্যাং,মাদকের হটস্পট বেলালের অত্যাচারে অনেক গ্রাহক বাড়ি ছাড়া।।স্ট্যাম্প ও খালি চেকের পাতা ইচ্ছেমতো অংক বসিয়ে মামলার হয়রানির শিকার গ্রাহকরা রাবির শহিদুল্লাহ কলা ভবনের সামনের ট্রান্সফরমারে আগুন
গ্রাম বাংলায় সাদা ফুলে ফুলে সেজেছে সজিনা গাছ

গ্রাম বাংলায় সাদা ফুলে ফুলে সেজেছে সজিনা গাছ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭২২ বার পড়া হয়েছে

গ্রাম বাংলায় সাদা ফুলে ফুলে সেজেছে সজিনা গাছ

আসাদুর রহমানঃ
বসন্তের শুরুতে গ্রাম বাংলায় এখন ধবধবে সাদা ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনার গাছ। এ সময় সজনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে ।তাই পাতা শুন্য নাড়া ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে ফুল। ফুলের পরিমাণ এতোটাই যে গাছের পাতা পর্যন্ত দেখার উপায় নেই। ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছি মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এই সজনে বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায় জন্যই হয় তো, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজনের পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজনে গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজনের পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধী গুন রয়েছে।
শার্শা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে এ সজিনা বাহিরের জেলায় সরবরাহ করার কথা ভাবছেন চাষিরা। রোগ বালাই কম হওয়ায় এখন বাণিজ্যিক ভাবেও চাষ করা হচ্ছে সজিনা। এক সময় বাড়ির আশপাশের উঠানে সজিনার গাছ লাগানো হতো। সজিনার চাহিদা বাড়ায় এবং সময়ের পরিক্রমায়  কৃষকরা এখন ফসলি জমিতে অনেকে সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিত ভাবে সজিনার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
মৌসুমের শুরুতে সজিনা প্রতি কেজি ১০০/১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৪০/৫০ টাকা। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে সজিনার ডাটা খাওয়ার উপযোগী হয়। সাধারণত শাখা কেটে রোপণ করার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গাছ থেকে সজিনা সংগ্রহ করা যায়। ডাটার পাশাপাশি ফুল, পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সবজি হিসেবে এটি যেমন উপাদেয়, তেমনি এর ভেষজ গুণাবলী অসাধারণ। নানা রোগব্যাধি নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি বৃদ্ধিতে সজিনা অত্যন্ত কার্যকর।
শার্শা উপজেলার নাভারণ যাদবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম (মন্টু) বলেন, জমির পাশে রাস্তার ধারে কয়েকটি সজিনা গাছ লাগিয়েছি। বাড়িতে খাবার পর অতিরিক্ত সজিনা বাজারে বিক্রি করা হয়। রোগ বালাই কম। খরচ তেমন না হলেও দাম ভাল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছে প্রায় এক থেকে দেড় মণ সজিনা হয়।
উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামের আফছার আলী বলেন, সজিনা এখন জমির আইলে ও আবাদি জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে লাগানো হচ্ছে। গাছে ফুল আসার পর এবং সজিনা ধরার পর একটু কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। এতে ভালো সজিনা হয়। গাছে যে হারে ফুল আসছে তাতে মনে হচ্ছে সজিনা আসার পর এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো সম্ভব।
উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের মুসলিমা বেগম জানান, আগে বাড়ির উঠানে সজিনা গাছ লাগানো হতো। এখন আবাদের জন্য জমিতে লাগানো হচ্ছে। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজিনা পাবো।
উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, আমরা জনগণকে সজিনার গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছি। এবার উপজেলায় বর্তমানে দেশীয় জাতের ১৭ হাজার ৫০টির মতো সজিনা গাছ আছে। গত বছর ছিল ১৫ হাজারের মতো। তিনি আরো জানান, যেসব এলাকায় সজিনার গাছ নেই সেসব এলাকায় কৃষকদের সজিনার গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সজিনার পুষ্টিগুণ অনেক। সরকারি জায়গায় সজিনার গাছ লাগানো হচ্ছে। আগামীতে সজিনার গাছ আরো বৃদ্ধি পাবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জে ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সন্ধান মিলেনি সাংবাদিকের চুরি হওয়া টয়োটার

গ্রাম বাংলায় সাদা ফুলে ফুলে সেজেছে সজিনা গাছ

গ্রাম বাংলায় সাদা ফুলে ফুলে সেজেছে সজিনা গাছ

আপডেট সময় ০৯:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
আসাদুর রহমানঃ
বসন্তের শুরুতে গ্রাম বাংলায় এখন ধবধবে সাদা ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনার গাছ। এ সময় সজনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে ।তাই পাতা শুন্য নাড়া ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে ফুল। ফুলের পরিমাণ এতোটাই যে গাছের পাতা পর্যন্ত দেখার উপায় নেই। ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছি মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এই সজনে বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায় জন্যই হয় তো, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজনের পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজনে গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজনের পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধী গুন রয়েছে।
শার্শা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে এ সজিনা বাহিরের জেলায় সরবরাহ করার কথা ভাবছেন চাষিরা। রোগ বালাই কম হওয়ায় এখন বাণিজ্যিক ভাবেও চাষ করা হচ্ছে সজিনা। এক সময় বাড়ির আশপাশের উঠানে সজিনার গাছ লাগানো হতো। সজিনার চাহিদা বাড়ায় এবং সময়ের পরিক্রমায়  কৃষকরা এখন ফসলি জমিতে অনেকে সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিত ভাবে সজিনার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
মৌসুমের শুরুতে সজিনা প্রতি কেজি ১০০/১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৪০/৫০ টাকা। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে সজিনার ডাটা খাওয়ার উপযোগী হয়। সাধারণত শাখা কেটে রোপণ করার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গাছ থেকে সজিনা সংগ্রহ করা যায়। ডাটার পাশাপাশি ফুল, পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সবজি হিসেবে এটি যেমন উপাদেয়, তেমনি এর ভেষজ গুণাবলী অসাধারণ। নানা রোগব্যাধি নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি বৃদ্ধিতে সজিনা অত্যন্ত কার্যকর।
শার্শা উপজেলার নাভারণ যাদবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম (মন্টু) বলেন, জমির পাশে রাস্তার ধারে কয়েকটি সজিনা গাছ লাগিয়েছি। বাড়িতে খাবার পর অতিরিক্ত সজিনা বাজারে বিক্রি করা হয়। রোগ বালাই কম। খরচ তেমন না হলেও দাম ভাল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছে প্রায় এক থেকে দেড় মণ সজিনা হয়।
উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামের আফছার আলী বলেন, সজিনা এখন জমির আইলে ও আবাদি জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে লাগানো হচ্ছে। গাছে ফুল আসার পর এবং সজিনা ধরার পর একটু কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। এতে ভালো সজিনা হয়। গাছে যে হারে ফুল আসছে তাতে মনে হচ্ছে সজিনা আসার পর এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো সম্ভব।
উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের মুসলিমা বেগম জানান, আগে বাড়ির উঠানে সজিনা গাছ লাগানো হতো। এখন আবাদের জন্য জমিতে লাগানো হচ্ছে। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজিনা পাবো।
উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, আমরা জনগণকে সজিনার গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছি। এবার উপজেলায় বর্তমানে দেশীয় জাতের ১৭ হাজার ৫০টির মতো সজিনা গাছ আছে। গত বছর ছিল ১৫ হাজারের মতো। তিনি আরো জানান, যেসব এলাকায় সজিনার গাছ নেই সেসব এলাকায় কৃষকদের সজিনার গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সজিনার পুষ্টিগুণ অনেক। সরকারি জায়গায় সজিনার গাছ লাগানো হচ্ছে। আগামীতে সজিনার গাছ আরো বৃদ্ধি পাবে।