কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালনা কমিটি  প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে চলমান পরিস্থিতির প্রতিবাদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্প্রতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৫ টায় মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আশেক বিন জলিলের পরিচালনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল এনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দু রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মৌ: কহিনুর ইসলাম, নুরুল আবচার, জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমইউপি নুরুল আজিম, রুহুল আমিন ও  এস আর মাঝি।

 সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল এনাম বলেছেন, শিক্ষা বঞ্চিত এ মগনামা ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের একমাত্র বিদ্যাপীঠ মগনামা উচ্চ-বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্টান থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে সরকারের উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। আগে এ বিদ্যালয়ের একটি সুনাম ছিল তা আজ সবকিছু শেষ করে দিচ্ছে প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদ এ শিক্ষা প্রতিষ্টানকে তার কব্জায় জিম্মি রেখে সুকৌশলে প্রতিষ্টানকে ধুলিসাৎ করেছেন। এ বিদ্যালয়ের ৬/৭ বছর ধরে দূর্নীতি ও লুটপাট করে প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস , এস এস সি  পরীক্ষায় ব্যাপক হারে ছাত্র ছাত্রী অকৃতকার্যের রেকর্ড গড়েছে। এমনকি বিদ্যালয়ের এ প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদ ২০১৪ সালে ২৬ মার্চ জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন।

এসবের প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদ স্কুল সভাপতি আবু হেনা মোস্তাফা কামাল চৌধূরীর ভাগিনি জামাতা হওয়ায় কোন প্রতিকার পায়নি। তার পক্ষে আবু হেনা মোস্তাফা কামাল চৌধূরী অবস্থান করে সুকৌশলে তা এড়িয়ে যান। তিনি আরো বলেন সেই আখতার আহমদ শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। আবু হেনা মোস্তাফা কামাল চৌধুরী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থাকার সুবাধে আখতার আহমদকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করায়। ওই পরীক্ষায় ছয় জন প্রার্থী অংশ নেন। আখতার আহমদ ওই পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৫ নং স্থান লাভ করেন। তারপরও আবু হেনা মোস্তাফা কামাল চৌধূরী তার ভাগিনি জামাতা আখতার আহমদকে সুকৌশলে নিয়োগ দেন। তিনি যোগদানের পর থেকে শিক্ষার পরিবেশ উন্নতি হয়নি বরং হয়েছে স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ। এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলের অর্থ লুটপাট এবং অর্থ ফেরতসহ প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবী করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা ব্যানার সাঁটানো হয় বিদ্যালয়ের দেয়ালে।

কিন্তু গতকাল দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত ছেঁড়া ব্যানারটি এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে আমার কাছে পাঠিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে লুপাট হওয়া টাকা ও চলমান সমস্যা অবসানে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্খা নেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন এবং অভিভাবক কাটাগরিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার দাবী জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দরা।