আশরাফুল ইসলাম সাওন, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
তালতলী – বরগুনার পূর্ব-কচুপাত্রা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়,সমগ্র বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ৬৪০ টি কারিগরি শিক্ষা প্রকল্প চালু করছে সেই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হলো পূর্ব-কচুপাত্রা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা সেই প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি শাখা ২০২০ শিক্ষাবর্ষে দুইটি ট্রেডে ২৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।সেখান থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
২০২১শিক্ষাবর্ষে ৪৩ জন ছাত্র-ছাত্রী দুটি ট্রেডে ভর্তি হন, যার ৩৮ জন ছাত্র-ছাত্রী নবম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে আরও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।করোনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পেয়েছে।
এই কারিগরি প্রকল্পটি ২০১৮ সাল থেকে বাস্তবায়নের কথা ছিল কিন্তু সে প্রকল্প টি ২০২০ সাল নাগাদ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারিগরি ভবন প্রকল্প টির কাজ সম্পন্ন হয়নি। সে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এবং ভবন টির কাজ স ম্পন্ন না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একসাথে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
কারিগরি শিক্ষা প্রকল্পটি চালু হওয়ার পড়ো এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষক পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে এনটিআরসি কর্তিক কারিগরি শাখা ইন্সট্রাক্টর পদে দুইজন শিক্ষকের সিলেক্টেড রিকম্বিনেশন দেয়া হয়েছে, কিন্তু দুজন ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়মিত কমিটি না থাকার কারণে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে ছাত্র-ছাত্রী লেখা খুবই বিঘ্নিত হয়েছে কিন্তু কারিগরি ট্রেডের দুটি ট্রেড এখনও চালু আছে, তার ১টা হলো ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন এবং আর ১টা হলো কম্পিউটার এন্ড টেকনোলজি ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন।
এই ল্যাবের সম্পূর্ণ মালামাল পাওয়া গেছে কিন্তু কম্পিউটার এন্ড টেকনোলজি এই ডেক্সটপ গুলো পাওয়া গেলেও ফার্নিচারগুলো এখনো পাওয়া যায়নি, ফার্নিচারগুলো না পাওয়ায় ডেক্সটপ গুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছে এই কারণে কম্পিউটার এন্ড টেকনোলজি ল্যাবের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে। তিন রুম বিশিষ্ট ভবনটি দুটো রুম ল্যাবের জন্যে একটি রুম শিক্ষার্থীর জন্য কিন্তু ল্যাবের যে আসবাপত্র তাতেই তিন রুম সম্পন্ন হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার জন্য দূর্ভোগে পড়তে হয় এজন্য ভবনটি আরেকটু বৃদ্ধি করা ও জরুরি প্রয়োজন যাতে ছাত্র-ছাত্রী সবাই একসাথে বসে তার স্ব-স্ব স্থানে ক্লাস করতে পারে।