এম মনির চৌধুরী রানা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ইফতেখার মালিকুল মাশফিক (০৮) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
আজ (০৫ মার্চ) শনিবার সকালে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের আল্লাহুম্মা হযরত শেখ অছিয়র রহমান ফারূকী (ক:) এতিমখানা ও হেফজ খানায় এ নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটে।
জানা গেছে, মাশফিক গত বছরের অক্টোবর মাসে ওই হেফজখানায় নাজেরা বিভাগে ভর্তি হয়। ০৬ মাস যেতে না যেতেই নৃশংসভাবে খুনের শিকার হয় শিশু মাশফিক, এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্র-অভিভাবক ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন মা-ভাই ও স্বজনদের আহাজারীতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ক্ষোভে ফেঁপে উঠেন স্থানীয়রা। নিহত মাশফিক একই ইউনিয়নের ফকিরাখালী এলাকার প্রবাসী আবদুল মালেকের সন্তান। সে ০৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট।
নিহতের মাশফিকের মামা মাসুদ খান জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক বাড়িতে গিয়ে বলে মাশফি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরেনি, খবর পেয়ে আমরা মাদ্রাসায় ছুটে যাই মাদ্রসা ছাত্ররাসহ আমরা সকলে মাদ্রাসা এলাকায় তাকে খুঁজতে থাকি। এক পর্যায়ে কয়েকজন মাদ্রাসা ছাত্র মাদ্রাসার স্টোর রুমে মালামালের চাপায় পা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে কান্না করতে থাকলে সেখানে এগিয়ে যাই। স্টোর রুমে ব্যানারে মোড়ানো মাশফির গলাকাটা রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখতে পেয়ে সেখান থেকে নিচে নিয়ে আসি। এসময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে মাশফি’র নিথর দেহ পুন:রায় স্টোর রুমে নিয়ে রেখে দিয়ে মাদ্রাসার গেইটে তালা দিয়ে রাখে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাফেজ জাফর আহম্মদ, হাফেজ রুস্তম আলী, শাহাদাত হোসেন নামে ০৩ মাদ্রসার শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক (পিপিএম, সেবা) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।