বাংলাদেশ ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে জয়ী রাবির বঙ্গবন্ধু হল নরসিংদীতে ছয়দিনের নবজাতকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মা’র মৃত্যু ছেলের পর মারা গেলেন বাবা কুবিতে গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮৬ শতাংশ ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া -১ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে জাল নোটের সরঞ্জাম ও টাকাসহ গ্রেফতার ৩ হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হলেন কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০৭ জনকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ভ্রমন ও ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে কুবির বাস রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুবির হাউজ টিউটরের পদত্যাগ মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা মাদকসহ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • ১৭০০ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মোঃ এনামুল হক ( খোকন) পাটওয়ারী
চাঁদপুর জেলা– প্রতিনিধি 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সাহাপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে আব্দুল হান্নান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে মো. এমরান হোসেন (২৭), আব্দুল মমিন (৩২) ও বুলু বেগমকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এমরান হোসেন পূর্ব সাহাপুর গ্রামের মো. আবু শেখের ছেলে, আব্দুল মমিন মো. সিরাজুল হকের ছেলে এবং বুলু বেগম আবু শেখের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে হান্নানের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হন হান্নান ও তার স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম (৩৭)। হান্নানকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী শামছুন্নাহার ওই দিনই ফরিদগঞ্জ থানায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ওই বছর ২৯ নভেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহামেদ অভি বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছরেরও অধিক সময় আদালতে চলমান অবস্থায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। তবে মামলার রায়ের সময় ৩ আসামি পলাতক ছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. হান্নান কাজী ও সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ১১:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
মোঃ এনামুল হক ( খোকন) পাটওয়ারী
চাঁদপুর জেলা– প্রতিনিধি 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সাহাপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে আব্দুল হান্নান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে মো. এমরান হোসেন (২৭), আব্দুল মমিন (৩২) ও বুলু বেগমকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এমরান হোসেন পূর্ব সাহাপুর গ্রামের মো. আবু শেখের ছেলে, আব্দুল মমিন মো. সিরাজুল হকের ছেলে এবং বুলু বেগম আবু শেখের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে হান্নানের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হন হান্নান ও তার স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম (৩৭)। হান্নানকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী শামছুন্নাহার ওই দিনই ফরিদগঞ্জ থানায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ওই বছর ২৯ নভেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহামেদ অভি বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছরেরও অধিক সময় আদালতে চলমান অবস্থায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। তবে মামলার রায়ের সময় ৩ আসামি পলাতক ছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. হান্নান কাজী ও সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।