বাংলাদেশ ০২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি লাইব্রেরিয়ান রফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন: পথচারীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে তরুণ ঐক্য ব্লাড ডোনার ও স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন রাবিতে প্রথমবারের মতো হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযুক্তের দাবি রাজশাহী নগরীর কেদুরমোড় এলাকার মাদক কারবারী তোসলি গ্রেফতার গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত প্রধান আসামী মোক্তার গ্রেফতার। পিরোজপুর জেলা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা প্রচণ্ড গরমের পর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী‌তে স্বস্তির বৃষ্টি। কালকিনিতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আজ শুভ উদ্বোধন হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার মামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাঈল কর্তৃক বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। মুলাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার তালুকদারের উড়োজাহান প্রতিকের সমর্থনে গনসংযোগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হলেন কোরবান শেখ

শিশু গৃহকর্মীদের অধিকার আদায়ে সরকারের পাশাপাশি দরকার বেসরকারী উদ্যোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১৭৫৯ বার পড়া হয়েছে
নাদিম আহমেদ অনিক, স্টাফ রিপোর্টার:
গৃহ শিশু শ্রম বাংলাদেশে একটি জটিল সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনেই শ্রম হিসেবে এই কাজটির কোন স্বীকৃতি নেই। যেকোন বিবেচনায় এটি শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় এর উল্লেখ নেই। এছাড়া জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও তাদের মধ্যে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু শ্রমিকের কোন উল্লেখ নাই। গৃহ শিশুশ্রম সবসময়েই উপেক্ষিত থেকে গেছে।
এ বিষয়ে সালিশী ও আইন সহায়তা কেন্দ্র মানবাধিকার, নওগাঁ এর নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হলেও শিশুগৃহ শ্রমিকদের প্রতি মানুষের সাংস্কৃতিক চিন্তা ভাবনার খুব একটা উন্নতি হয়নি।
তাছাড়া স্বল্প বেতনে কাজে রাখার জন্য মেয়ে গৃহকর্মীদেরকে কাজে নেওয়ার ব্যাপারে বেশি অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত অনেক ভয়ানক ভয়ানক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা আমরা দেখতে পেরেছি। কিন্তু এর মধ্যে বেশিরভাগরই বিচারকাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি।
এর আগেই মামলার সমঝোতা করা হয়েছে। যার কারণে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। যার ফলে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের সঠিক বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠে না। শিশু গৃহ কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এদেরকে আইনের মাধ্যমে স্বীকৃতির মধ্যে আনতে হবে।
জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, যে সকল মেয়েরা গৃহ কর্মী হিসেবে বাসায় কাজ করে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ সময়ও বিশ্রামের সুযোগ পায় না। এমনকি তারা কাজ করে টাকাও পায় না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বেতন দেওয়া হয় তাদের অভিভাবকের কাছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নীতিমালার বাস্তবায়ন না করলে তাদের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না। সরকার আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এখনো অনুমোদন না করলেও শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। তবে তা বাস্তবায়নের অভাবে খুব একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে না।
সেই সাথে গৃহ শিশুকর্মী শিশুশ্রমের অন্যতম একটি অপ্রাতিষ্ঠানিকখাত যেখানে বিশাল সংখ্যক শিশু শ্রমে নিয়োজিত আছে এবং প্রায়শই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কাজেই তা বন্ধ করতে হলে এদেরকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি যা এখনো করা হয় নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিশু অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংগঠন বা এনজিও সমূহের এ বিষয়ে আরো বেশী কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারীভাবে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের মৌলিক অধিকার সহ সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইন বাস্তবায়নের উদ্যেগ নিতে হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি

শিশু গৃহকর্মীদের অধিকার আদায়ে সরকারের পাশাপাশি দরকার বেসরকারী উদ্যোগ

আপডেট সময় ১০:১১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
নাদিম আহমেদ অনিক, স্টাফ রিপোর্টার:
গৃহ শিশু শ্রম বাংলাদেশে একটি জটিল সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনেই শ্রম হিসেবে এই কাজটির কোন স্বীকৃতি নেই। যেকোন বিবেচনায় এটি শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় এর উল্লেখ নেই। এছাড়া জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও তাদের মধ্যে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু শ্রমিকের কোন উল্লেখ নাই। গৃহ শিশুশ্রম সবসময়েই উপেক্ষিত থেকে গেছে।
এ বিষয়ে সালিশী ও আইন সহায়তা কেন্দ্র মানবাধিকার, নওগাঁ এর নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হলেও শিশুগৃহ শ্রমিকদের প্রতি মানুষের সাংস্কৃতিক চিন্তা ভাবনার খুব একটা উন্নতি হয়নি।
তাছাড়া স্বল্প বেতনে কাজে রাখার জন্য মেয়ে গৃহকর্মীদেরকে কাজে নেওয়ার ব্যাপারে বেশি অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত অনেক ভয়ানক ভয়ানক শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা আমরা দেখতে পেরেছি। কিন্তু এর মধ্যে বেশিরভাগরই বিচারকাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি।
এর আগেই মামলার সমঝোতা করা হয়েছে। যার কারণে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। যার ফলে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের সঠিক বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠে না। শিশু গৃহ কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এদেরকে আইনের মাধ্যমে স্বীকৃতির মধ্যে আনতে হবে।
জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, যে সকল মেয়েরা গৃহ কর্মী হিসেবে বাসায় কাজ করে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ সময়ও বিশ্রামের সুযোগ পায় না। এমনকি তারা কাজ করে টাকাও পায় না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বেতন দেওয়া হয় তাদের অভিভাবকের কাছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নীতিমালার বাস্তবায়ন না করলে তাদের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না। সরকার আইএলও কনভেনশন ১৮৯ এখনো অনুমোদন না করলেও শিশু গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। তবে তা বাস্তবায়নের অভাবে খুব একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে না।
সেই সাথে গৃহ শিশুকর্মী শিশুশ্রমের অন্যতম একটি অপ্রাতিষ্ঠানিকখাত যেখানে বিশাল সংখ্যক শিশু শ্রমে নিয়োজিত আছে এবং প্রায়শই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কাজেই তা বন্ধ করতে হলে এদেরকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি যা এখনো করা হয় নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিশু অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংগঠন বা এনজিও সমূহের এ বিষয়ে আরো বেশী কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারীভাবে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের মৌলিক অধিকার সহ সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইন বাস্তবায়নের উদ্যেগ নিতে হবে।