বাংলাদেশ ০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা মাদকসহ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার। মির্জাগঞ্জে জাতীয় শ্রমিক পার্টির মে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত সোহাগ শেখকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় দাঁত ভাঙ্গলো বৃদ্ধার ! আবার ও সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু! আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুজে পাওয়া যাবে না’ -ছাত্রলীগ নেতার হুমকি নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের বড় বাধা মাধ্যমিকের সাথে প্রাথমিক শাখা সংযুক্ত থাকা, ডাবল শিফট নয়! মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ কুবি ধনবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত ভিজিএফ এর চাল নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দিলেন মেয়র

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • ১৬৯০ বার পড়া হয়েছে

উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত ভিজিএফ এর চাল নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দিলেন মেয়র

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত দুর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়র চাল গ্রহন না করে তা আটকে দিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর পৌরসভায়।

 

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৮১ দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এর ১০ কেজি করে চাল বিতরনের বরাদ্দ পাওয়া যায়। সে হিসাবে ৩০ টন ৮শ ১০ কেজি (৩০ হাজার ৮শ ১০ কেজি ) চাল সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়।

 

 

ওই চাল টলি যোগে পৌরসভায় পৌছিলে কিছু চালের বস্তা গুদামে তোলা হয়। এরমধ্যে দুগন্ধযুক্ত নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চালের বিষয়টি চোখে পরে। তখন পৌর কর্মচারীরা চালের বস্তা বাছাই করতে গিয়ে দেখেন বিভিন্ন ধরনের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। কোন বস্তার চাল ছাতা ধরা, কোন বস্তায় দূর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের আবার কোন বস্তায় খুদগুড়া মেশানো চাল।

 

 

 

এছাড়া চালের বস্তা গুলোর মুখের সেলাই দুই ধরনের ছিল। হাতের এবং মেশিনের সেলাই। এ অবস্থা দেখে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান পৌরসভায় গিয়ে খারাপ চাল পরিবর্তন করে দিতে চান। কিন্তু মেয়র খারাপ চাল আটকে দিয়ে জানতে চান এই নিম্নমানের চাল কোথায় সরবরাহ করা হবে। ফলে চাল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে নিম্নমানের পঁচা চাল সরবরাহ করা হয়েছে। যা খাওয়ার যোগ্য নয়। এ চাল গরীব মানুষের মাঝে বিতরন করলে আমার বদনাম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন হবে। কিভাবে পঁচা চাল সরকারি খাদ্য গুদামে আসলো তা জানতে হবে। বিষয়টি আমি সকলকে জানিয়েছি। নিম্নমানের চালগুলো পৌর চত্বরে রয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে উলিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, ডিলাররা ছাটাইয়ের মাধ্যমে চালগুলো দিয়েছেন। গুদামে চালের খামালের চারিদিকের ওষুধ প্রয়োগের কারনে (আউটার লেয়ারে) চাল গুলো সাদা হতে পারে।

 

 

দুর্ঘন্ধের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধান ছাইটাইয়ের সময় মিলাররা হাউজের পানি পরিবর্তন না করায় কিছুটা গন্ধ হতে পারে। আমি খারাপ চালের বস্তা গুলো পরিবর্তন করে দিতে চাইলেও মেয়র তা মানতে রাজি হয়নি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা

উলিপুর সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত ভিজিএফ এর চাল নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দিলেন মেয়র

আপডেট সময় ০৮:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ভিজিএফ এর বরাদ্দকৃত দুর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়র চাল গ্রহন না করে তা আটকে দিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর পৌরসভায়।

 

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৮১ দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এর ১০ কেজি করে চাল বিতরনের বরাদ্দ পাওয়া যায়। সে হিসাবে ৩০ টন ৮শ ১০ কেজি (৩০ হাজার ৮শ ১০ কেজি ) চাল সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে উলিপুর খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়।

 

 

ওই চাল টলি যোগে পৌরসভায় পৌছিলে কিছু চালের বস্তা গুদামে তোলা হয়। এরমধ্যে দুগন্ধযুক্ত নিম্নমানের খাবার অযোগ্য চালের বিষয়টি চোখে পরে। তখন পৌর কর্মচারীরা চালের বস্তা বাছাই করতে গিয়ে দেখেন বিভিন্ন ধরনের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। কোন বস্তার চাল ছাতা ধরা, কোন বস্তায় দূর্ঘন্ধযুক্ত নিম্নমানের আবার কোন বস্তায় খুদগুড়া মেশানো চাল।

 

 

 

এছাড়া চালের বস্তা গুলোর মুখের সেলাই দুই ধরনের ছিল। হাতের এবং মেশিনের সেলাই। এ অবস্থা দেখে পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পরে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান পৌরসভায় গিয়ে খারাপ চাল পরিবর্তন করে দিতে চান। কিন্তু মেয়র খারাপ চাল আটকে দিয়ে জানতে চান এই নিম্নমানের চাল কোথায় সরবরাহ করা হবে। ফলে চাল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে নিম্নমানের পঁচা চাল সরবরাহ করা হয়েছে। যা খাওয়ার যোগ্য নয়। এ চাল গরীব মানুষের মাঝে বিতরন করলে আমার বদনাম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন হবে। কিভাবে পঁচা চাল সরকারি খাদ্য গুদামে আসলো তা জানতে হবে। বিষয়টি আমি সকলকে জানিয়েছি। নিম্নমানের চালগুলো পৌর চত্বরে রয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে উলিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, ডিলাররা ছাটাইয়ের মাধ্যমে চালগুলো দিয়েছেন। গুদামে চালের খামালের চারিদিকের ওষুধ প্রয়োগের কারনে (আউটার লেয়ারে) চাল গুলো সাদা হতে পারে।

 

 

দুর্ঘন্ধের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধান ছাইটাইয়ের সময় মিলাররা হাউজের পানি পরিবর্তন না করায় কিছুটা গন্ধ হতে পারে। আমি খারাপ চালের বস্তা গুলো পরিবর্তন করে দিতে চাইলেও মেয়র তা মানতে রাজি হয়নি।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।