বাংলাদেশ ০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভ্রমন ও ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে কুবির বাস শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুবির হাউজ টিউটরের পদত্যাগ মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা মাদকসহ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার। মির্জাগঞ্জে জাতীয় শ্রমিক পার্টির মে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত সোহাগ শেখকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় দাঁত ভাঙ্গলো বৃদ্ধার ! আবার ও সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু! আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুজে পাওয়া যাবে না’ -ছাত্রলীগ নেতার হুমকি নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের বড় বাধা মাধ্যমিকের সাথে প্রাথমিক শাখা সংযুক্ত থাকা, ডাবল শিফট নয়! মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার  নবী হোছাইনের থাই পেয়ারা চাষ করে সফলতা অর্জনে ছুটে চলছে।

সেই সফলতা অর্জন করতে ও দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান ৫ শতটি থাই পেয়ারার চারা। সেই চারা ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে কিনে এনেছিলেন। বর্তমানে সেই পেয়ারা বাগানে থাই পেয়ারা গাছে গাছে ফুটেছে অনেক ফুল ও আবার দেখা মেলে অনেক গাছে গাছভর্তি পেয়ারা। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।

বাগানে ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যা করছেন। এসময় কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। সে বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন। এখানে কাজ করে পরিবারের খরচ যোগান দেন তাঁরা।

কৃষক নবী হোছাইন বলেন, পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি।

তিনি আরও বলেন, আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, কৃষক নবী হোছাইনকে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভ্রমন ও ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে কুবির বাস

পেকুয়ায় থাই পেয়ারা চাষে সফলতা খোঁজছেন কৃষক নবী হোছাইন

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার  নবী হোছাইনের থাই পেয়ারা চাষ করে সফলতা অর্জনে ছুটে চলছে।

সেই সফলতা অর্জন করতে ও দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান ৫ শতটি থাই পেয়ারার চারা। সেই চারা ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে কিনে এনেছিলেন। বর্তমানে সেই পেয়ারা বাগানে থাই পেয়ারা গাছে গাছে ফুটেছে অনেক ফুল ও আবার দেখা মেলে অনেক গাছে গাছভর্তি পেয়ারা। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম।

বাগানে ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা গাছের পরিচর্যা করছেন। এসময় কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। সে বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন। এখানে কাজ করে পরিবারের খরচ যোগান দেন তাঁরা।

কৃষক নবী হোছাইন বলেন, পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি।

তিনি আরও বলেন, আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, কৃষক নবী হোছাইনকে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।