আসাদুর রহমান, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শুক্রবার (১ জুলাই ) ভোর থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা এবং পাশ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু, ছাগল, ভেরা ইত্যাদি আসতে শুরু করে। হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু এসে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
প্রতি সপ্তাহে এক দিন (শুক্রবার) হাট বসলেও ঈদের জন্য রবিবার ও বুধবারেও হাট বসছে, বলে জানিয়েছেন ইজারাদার। শুক্রবার হাটে বিভিন্ন সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা গরু না কিনেই বাড়ি ফিরেছেন। তাদের অভিযোগ ছিল ঢাকার পাইকারদের জন্য তারা গরু কিনতে পারছেন না, পাইকারদের কেনা শেষ হলে আমরা কিনতে পারব।
শুক্রবার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশু উঠেছে। কেনাবেচা হয়েছে বলেও ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাট ঘুরে দেখা যায় দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা ছিল একটু বেশি । ফলে মাঝারি জাতের গরুর দাম তুলনামূলক ভাবে একটু বেশিই ছিল।
হাটে গরু নিয়ে আসা সামছুল বলেন, আমি দুইটি দেশীয় জাতের গরু এনেছিলাম একটি বিক্রি করেছি অন্যটি এখনো বিক্রি করতে পারিনি। লালন পালন করতে যা খরচ হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম দাম বলার কারনে এটা বিক্রি করতে পারছিনা। তবে মাঝারিটা খুব দ্রুত বিক্রি করতে পেরছি এ বছর মাঝারি গরুর চাহিদা অনেক বেশি এবং দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
হাটে আসা ক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, এবছর কোরবানির জন্য দেশি জাতের গরু কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু সাধ্যের চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় গরু না কিনেই চলে যাচ্ছি। সামনের হাট গুলোয় কেনার চেষ্টা করব। এ দিন দেখা যায় অনেক ক্রেতাই গরু না কিনে চলে যান, তাদের অভিযোগ ছিল ঢাকার পাইকার ও দাম বেশি।
হাটের ইজারাদার হাজী জনাব আলী জানিয়েছেন, প্রতি বছরের ন্যায় হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ হাটে কোরবানির পশু ক্রেতা ও বিক্রেতারা কোন ভাবেই প্রতারিত না হয় সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এখন বেচা-কেনা কম থাকলেও সামনের হাটগুলোতে কেনা-বেচা বেশি হবে বলে আশাবাদী।