বাংলাদেশ ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বন্ধু সাথে ঘুরতে ধর্ষণের শিকার পঞ্চগড়ে জমি ক্রয় করে প্রতারিত আমির। খোয়ালেন ২০ লাখ স্কুলগুলি আবার নতুন প্রাণ পেল। এক জোড়া গান নিয়ে ফিরলেন আরিফ খান মির্জাগঞ্জে গাঁজা সহ ছাত্রলীগের নেতা আটক মানব পাচার চক্রের মূলহোতা’সহ ০৩ জন মানব পাচার চক্রের সদস্য গ্রেফতার। বন্দর প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদের মা’র মৃত্যু নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’র শোক মুলাদীর আরিয়ালখাঁ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬টি অবৈধ বেহুন্দী জাল সহ ২জনকে আটক মাধবপুর বাজারে বিষপানে যুবকের মৃত্যু ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারুন্যের অহংকার আরিফ হোসেন পীরগঞ্জের করতোয়া নদীতে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা মারপিট টাকা ছিনতাই। মানিকগঞ্জে ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সন্ধান মিলেনি সাংবাদিকের চুরি হওয়া টয়োটার গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের উপর চাপা পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু।  কটিয়াদীতে কবরস্থান প্রতিষ্ঠায় মত বিনিময় সভা। কাউখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টনের গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৩০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
  • ১৭০১ বার পড়া হয়েছে

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আবুল কালাম আজাদ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা’র বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রাণীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবারের লোকজন। শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব, উলিপুর হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম। এসময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই আতাউর রহমান আতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরাজিত প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুনের একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে ১৮দিন পর গত ২৭জুন পরিবারের স্বজনদের সাক্ষি করে গৃহবধূ মোহনা আক্তার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি সাজানো ধর্ষণচেষ্টা মামলা উলিপুর থানায় দায়ের করেন। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে পরাজিত প্রার্থীদের যোগসাজসে এই হয়রানীমূলক মামলাটি পুলিশ তদন্ত ছাড়াই নথিভূক্ত করে। সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জনিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম আরো জানান, মামলার বাদী মোহনা আক্তার ঘটনার দিন (৯জুন) স্বামী সন্তানসহ আমাদের বাড়ীতে আসেন জনশুমারিতে নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য। সেদিন সকালে আমি তাদেরকে খাবার পরিবেশন করি। এরপর তারা জনশুমারির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেতরাই বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। এর ১৮ দিন পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়। সাক্ষি করেন তার আপন ভাসুর ফিরোজ আলম ও তার আপন মামা শ্বশুর লিয়াকত আলীকে। যারা ওই দিন আমাদের বাড়িতেই আসেনি। আরো দুঃখজনক ঘটনা হল মামলাটি ‘উলিপুর থানা পুলিশ তদন্ত’ ছাড়াই নথিভুক্ত করেন। যা আমাদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক।

 

 

 

এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, বাদী মোহনা আক্তারের স্বামী ফেরদৌস একজন মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারী। এর আগে মাদকসহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে তার ছয় মাসের জেল হয়। অপরদিকে মোহনা আক্তার চলতি বছরের মার্চ মাসে কিশোর-কিশোরীদের ভাতার কথা বলে ৪৬ জনের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা গ্রহণ করে। পাশাপাশি প্রতিবেশী বেবী আক্তারের কাছ থেকে মোহনা আক্তার দেড়লক্ষ টাকা হাওলাত নেন। বিনিময়ে ইমিটেশনের গহনা বন্ধক দিয়ে তাকে ঠকানোর চেষ্টা করা হয়। এনিয়ে উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

 

বিষয়টি নিয়ে মোহনা আক্তারের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ধর্ষণচেষ্টার পর আমি জনশুমারির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেতরাই বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে যাই। সেখানে ৪দিন প্রশিক্ষণ গ্রহন করি। পরে সালিশ বৈঠকের কারণে মামলা করতে ১৮ দিন সময় লাগে। ফলে বিলম্ব হয়। কিশোর-কিশোরীদের ভাতা দেয়ার নামে অর্থ গ্রহনের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান আমি ২০ জনের কাছ থেকে ২০ হাজার নিয়েছিলাম। যা ফেরৎ দিয়েছি। এছাড়াও তার স্বামীর মাদক মামলায় ৩মাসের কারাভোগের কথা স্বীকার করেন তিনি। বেবী আক্তারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, আমি দেড় লক্ষ টাকা হাওলাত দিয়েছিলাম। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর একলাখ টাকা ফেরৎ দিয়েছি। আর ৫০ হাজার টাকা তিনি পাবেন।

 

 

 

সংবাদ সম্মেলনে এলাকার উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তি আব্দুল বাতেন, মিজানুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ জানান, বাদীর পরিবারটি অন্যের দ্বারা প্ররোচীত হয়ে মামলাটি করে থাকতে পারে। কারণ তার স্বামী একজন মাদকাশক্ত এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম, ভাতিজি জেসমিন আক্তার, ফুফু শাহনাজ পারভীনসহ ওই ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ কবির জানান, ধর্তব্য কোন অপরাধের ক্ষেত্রে আইনগতভাবে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার কোন প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিষটি খতিয়ে দেখা হবে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৬:৩০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২

আবুল কালাম আজাদ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা’র বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রাণীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবারের লোকজন। শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব, উলিপুর হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম। এসময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই আতাউর রহমান আতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরাজিত প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুনের একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে ১৮দিন পর গত ২৭জুন পরিবারের স্বজনদের সাক্ষি করে গৃহবধূ মোহনা আক্তার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি সাজানো ধর্ষণচেষ্টা মামলা উলিপুর থানায় দায়ের করেন। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে পরাজিত প্রার্থীদের যোগসাজসে এই হয়রানীমূলক মামলাটি পুলিশ তদন্ত ছাড়াই নথিভূক্ত করে। সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জনিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম আরো জানান, মামলার বাদী মোহনা আক্তার ঘটনার দিন (৯জুন) স্বামী সন্তানসহ আমাদের বাড়ীতে আসেন জনশুমারিতে নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য। সেদিন সকালে আমি তাদেরকে খাবার পরিবেশন করি। এরপর তারা জনশুমারির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেতরাই বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। এর ১৮ দিন পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়। সাক্ষি করেন তার আপন ভাসুর ফিরোজ আলম ও তার আপন মামা শ্বশুর লিয়াকত আলীকে। যারা ওই দিন আমাদের বাড়িতেই আসেনি। আরো দুঃখজনক ঘটনা হল মামলাটি ‘উলিপুর থানা পুলিশ তদন্ত’ ছাড়াই নথিভুক্ত করেন। যা আমাদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক।

 

 

 

এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, বাদী মোহনা আক্তারের স্বামী ফেরদৌস একজন মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারী। এর আগে মাদকসহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে তার ছয় মাসের জেল হয়। অপরদিকে মোহনা আক্তার চলতি বছরের মার্চ মাসে কিশোর-কিশোরীদের ভাতার কথা বলে ৪৬ জনের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা গ্রহণ করে। পাশাপাশি প্রতিবেশী বেবী আক্তারের কাছ থেকে মোহনা আক্তার দেড়লক্ষ টাকা হাওলাত নেন। বিনিময়ে ইমিটেশনের গহনা বন্ধক দিয়ে তাকে ঠকানোর চেষ্টা করা হয়। এনিয়ে উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

 

বিষয়টি নিয়ে মোহনা আক্তারের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ধর্ষণচেষ্টার পর আমি জনশুমারির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেতরাই বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে যাই। সেখানে ৪দিন প্রশিক্ষণ গ্রহন করি। পরে সালিশ বৈঠকের কারণে মামলা করতে ১৮ দিন সময় লাগে। ফলে বিলম্ব হয়। কিশোর-কিশোরীদের ভাতা দেয়ার নামে অর্থ গ্রহনের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান আমি ২০ জনের কাছ থেকে ২০ হাজার নিয়েছিলাম। যা ফেরৎ দিয়েছি। এছাড়াও তার স্বামীর মাদক মামলায় ৩মাসের কারাভোগের কথা স্বীকার করেন তিনি। বেবী আক্তারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, আমি দেড় লক্ষ টাকা হাওলাত দিয়েছিলাম। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর একলাখ টাকা ফেরৎ দিয়েছি। আর ৫০ হাজার টাকা তিনি পাবেন।

 

 

 

সংবাদ সম্মেলনে এলাকার উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তি আব্দুল বাতেন, মিজানুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ জানান, বাদীর পরিবারটি অন্যের দ্বারা প্ররোচীত হয়ে মামলাটি করে থাকতে পারে। কারণ তার স্বামী একজন মাদকাশক্ত এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের স্ত্রী গোলেনুর বেগম, ভাতিজি জেসমিন আক্তার, ফুফু শাহনাজ পারভীনসহ ওই ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ কবির জানান, ধর্তব্য কোন অপরাধের ক্ষেত্রে আইনগতভাবে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার কোন প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিষটি খতিয়ে দেখা হবে।