বাংলাদেশ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ কুবি ধনবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পটুয়াখালীতে ১৬ বছরেও সেনাপল্লীর প্লট বরাদ্দ বুঝে পায়ইনি ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি যড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না- এমপি হিরো নরসিংদীতে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় টাকাসহ আটক-৩ পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সমতা থাকা বাঞ্ছনীয় কুবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলো তিন শিক্ষক হত্যা মামলার ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব। সুরমা টাওয়ার থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার! শাহ পরান এলাকায় একজন মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা

বিনোদন কেন্দ্রের নামে আনন্দ ভুবনে চলছে অসামাজিক র্কমকান্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
  • ১৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন কেন্দ্রের নামে আনন্দ ভুবনে চলছে অসামাজিক র্কমকান্ড

মো. আজিজার রহমান, জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের আনন্দ ভুবনে চলছে উঠতি বয়সী কপোত-কপোতি অসামাজকি ও অনৈতিক কর্মকান্ডে। আর এই অসামাজকি ও অনৈতিক কর্মকান্ডে  চলার কারণে এলাকার সামাজিক পরবিশে চরমভাবে নষ্ট হচ্ছ। অতদ্রিুত অসামাজকি ও অনৈতিক র্কমকান্ড বন্ধ করা না হলে তা চরম আকার ধারণ করব।

নানান অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সরেজমিনে দেখা যায় পার্কের নামে র্কতৃপক্ষ ভিন্ন কৌশলে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতী (কপোত-কপতি) প্রবশে করাচ্ছেন আর এই যুবক-যুবতীরা র্পাকরে ভিতরে নানা প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছ।

পার্কে আসা নাম প্রকাশে অনাগ্রহী জনৈক গৃহকর্তা জানান, এটা কোন বিনোদন কেন্দ্র হতে পারে না। এখানে সব নোংরামী চলে যত সব ফালতু ছেলে-মেয়েরা এখানে এসে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়। এর বেশি কিছু নয়।

অপরাপর দর্শনার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমি আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখলাম এটাতো কোন বিনোদন নয়, এটাকে নোংরামীর কেন্দ্র বললেও ভুল হবে না। এখানে কোন ভদ্র লোক, ভদ্র পরিবারের সদস্যরা আসতে পারে না।

বিশেষ করে শুক্রবারে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলে ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে কপোত-কপতিরা। পার্ক  অতদ্রিুত অসামাজকি ও অনৈতিক র্কমকান্ড জন্য কিশোর অপরাধ, ধর্ষণসহ নানামুখী অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে অন্যদিকে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ব্যাহত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ওই পার্কে পরিবার নিয়ে আসা এক গৃহকর্তা জানান, পার্কে মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে আসে কিন্তু আনন্দ ভুবন এসে দেখলাম তার উল্টোটা। এখানে নিশ্বাস ফেলাতো দূরের কথা পরিবার পরিজন নিয়ে এসব পার্কে আসাটাই মান-সম্মানের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। আনন্দ ভুবন এখন অনেকটা মিনি পতিতালয়ের মতো হয়ে গেছে। এখানে বিনোদন কিংবা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে আসেনা আগত দর্শণাথীদের কার্যকলাপ দেখে মনে হয়ে তারা কেবলই জৈবিক চাহিদা পূরণ করতেই আসে।

এসব পার্কের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গোটা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবণতি ঘটবে। বিষয়টি প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে সচেতন মহল মনে করছে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, দুর-দুরান্ত হতে উঠতি বয়সি যুবক-যুবতীরা ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করছে। ভিতরে প্রবেশ করে কিছু সময় ঘুরাঘুরি করে এরপর নিরাপদ স্থান পূর্বপার্শ্বে চলে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা বেঞ্চে বসে অনৈতিক কাজ করছে। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কার্মকান্ড পরিচালিত হওয়ার ফলে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না শর্তে প্লান  বাজারের কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, তারা চরম বিপদে রয়েছে। আনন্দ ভুবনের ভিতরে বিনোদনের নামে যে বেহায়াপনা হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমাদের এলাকা রশাতলে চলে যাচ্ছে। তারা পার্কের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তবে এ ব্যাপারে বিনোদন কেন্দ্রটির মালিক ও বাংলা ভাষা কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আবু হাসান টুটুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসলে এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। আর তাছাড়া এটাতো পার্ক, বাইরের ছেলে মেয়েরাতো ঘুরাঘুরি করবে এটা স্বাভাবিক আর এটাতো সব পার্কেই হয়। আচ্ছা ঠিক আছে বিষয়টি আমি ক্ষতিয়ে দেখতেছি এবং এ ব্যাপারে আমি আপনার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে কথা বলবো।

এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি অতিদ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পরবর্তীতে যেন খানসামা উপজেলায় এই রকম অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটতে না পারে।

এ বিষয়ে খানসামা থানার সদ্য যোগদান অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, আসলে আমিতো এই থানায় গতকাল যোগদান করেছি। ঠিক আছে বিষয়টা আমি নজরে রাখছি পরবর্তীতে তদন্ত সার্পেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।

বিনোদন কেন্দ্রের নামে আনন্দ ভুবনে চলছে অসামাজিক র্কমকান্ড

আপডেট সময় ০৮:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

মো. আজিজার রহমান, জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের আনন্দ ভুবনে চলছে উঠতি বয়সী কপোত-কপোতি অসামাজকি ও অনৈতিক কর্মকান্ডে। আর এই অসামাজকি ও অনৈতিক কর্মকান্ডে  চলার কারণে এলাকার সামাজিক পরবিশে চরমভাবে নষ্ট হচ্ছ। অতদ্রিুত অসামাজকি ও অনৈতিক র্কমকান্ড বন্ধ করা না হলে তা চরম আকার ধারণ করব।

নানান অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সরেজমিনে দেখা যায় পার্কের নামে র্কতৃপক্ষ ভিন্ন কৌশলে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতী (কপোত-কপতি) প্রবশে করাচ্ছেন আর এই যুবক-যুবতীরা র্পাকরে ভিতরে নানা প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছ।

পার্কে আসা নাম প্রকাশে অনাগ্রহী জনৈক গৃহকর্তা জানান, এটা কোন বিনোদন কেন্দ্র হতে পারে না। এখানে সব নোংরামী চলে যত সব ফালতু ছেলে-মেয়েরা এখানে এসে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়। এর বেশি কিছু নয়।

অপরাপর দর্শনার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমি আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখলাম এটাতো কোন বিনোদন নয়, এটাকে নোংরামীর কেন্দ্র বললেও ভুল হবে না। এখানে কোন ভদ্র লোক, ভদ্র পরিবারের সদস্যরা আসতে পারে না।

বিশেষ করে শুক্রবারে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলে ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে কপোত-কপতিরা। পার্ক  অতদ্রিুত অসামাজকি ও অনৈতিক র্কমকান্ড জন্য কিশোর অপরাধ, ধর্ষণসহ নানামুখী অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে অন্যদিকে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ব্যাহত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ওই পার্কে পরিবার নিয়ে আসা এক গৃহকর্তা জানান, পার্কে মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে আসে কিন্তু আনন্দ ভুবন এসে দেখলাম তার উল্টোটা। এখানে নিশ্বাস ফেলাতো দূরের কথা পরিবার পরিজন নিয়ে এসব পার্কে আসাটাই মান-সম্মানের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। আনন্দ ভুবন এখন অনেকটা মিনি পতিতালয়ের মতো হয়ে গেছে। এখানে বিনোদন কিংবা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে আসেনা আগত দর্শণাথীদের কার্যকলাপ দেখে মনে হয়ে তারা কেবলই জৈবিক চাহিদা পূরণ করতেই আসে।

এসব পার্কের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গোটা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবণতি ঘটবে। বিষয়টি প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে সচেতন মহল মনে করছে।

অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, দুর-দুরান্ত হতে উঠতি বয়সি যুবক-যুবতীরা ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করছে। ভিতরে প্রবেশ করে কিছু সময় ঘুরাঘুরি করে এরপর নিরাপদ স্থান পূর্বপার্শ্বে চলে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা বেঞ্চে বসে অনৈতিক কাজ করছে। আর এই অসামাজিক ও অনৈতিক কার্মকান্ড পরিচালিত হওয়ার ফলে এলাকার সামাজিক পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না শর্তে প্লান  বাজারের কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, তারা চরম বিপদে রয়েছে। আনন্দ ভুবনের ভিতরে বিনোদনের নামে যে বেহায়াপনা হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমাদের এলাকা রশাতলে চলে যাচ্ছে। তারা পার্কের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তবে এ ব্যাপারে বিনোদন কেন্দ্রটির মালিক ও বাংলা ভাষা কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আবু হাসান টুটুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসলে এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। আর তাছাড়া এটাতো পার্ক, বাইরের ছেলে মেয়েরাতো ঘুরাঘুরি করবে এটা স্বাভাবিক আর এটাতো সব পার্কেই হয়। আচ্ছা ঠিক আছে বিষয়টি আমি ক্ষতিয়ে দেখতেছি এবং এ ব্যাপারে আমি আপনার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে কথা বলবো।

এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি অতিদ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পরবর্তীতে যেন খানসামা উপজেলায় এই রকম অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটতে না পারে।

এ বিষয়ে খানসামা থানার সদ্য যোগদান অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, আসলে আমিতো এই থানায় গতকাল যোগদান করেছি। ঠিক আছে বিষয়টা আমি নজরে রাখছি পরবর্তীতে তদন্ত সার্পেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।