বাংলাদেশ ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে জয়ী রাবির বঙ্গবন্ধু হল নরসিংদীতে ছয়দিনের নবজাতকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মা’র মৃত্যু ছেলের পর মারা গেলেন বাবা কুবিতে গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮৬ শতাংশ ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া -১ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে জাল নোটের সরঞ্জাম ও টাকাসহ গ্রেফতার ৩ হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হলেন কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০৭ জনকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ভ্রমন ও ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে কুবির বাস রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুবির হাউজ টিউটরের পদত্যাগ মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা মাদকসহ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার।

আমতলীতে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চাষকরা জমিতে চাষাবাদ!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৪১ বার পড়া হয়েছে

আমতলীতে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চাষকরা জমিতে চাষাবাদ!

মোঃ হাসান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলীর দক্ষিন তক্তাবুনিয়া গ্রামে  হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ফসলী জমি চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হলদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া গ্রামের সোনা মিয়া (৬০) এমন অভিযোগ করেন। বৃদ্ধ সোনা মিয়া আরো অভিযোগ করেন প্রভাবশালী ভুমি দস্যু জাকির বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস ও ফিরোজ বিশ্বাসসহ তার সহযোগীদের ভয়ে তিনি ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঘরে অবরুদ্ধ। রবিবার (২০ ফেব্রয়ারি) এ ঘটনায় তিনি আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
জানাগেছে, ১৯৮২ সালে উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মৌজায় সোনা মিয়া সরিপ আলীর কাছ থেকে ১১.৮৭ একর জমি ক্রয় করেন। ওই জমি জাকির বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, শিল্পী রানী ও তার লোকজন জোরপুর্বক দখল করে নেয়। বৃদ্ধ সোনা মিয়া ২০১১ সালে শিল্পী রানীকে বিবাদী করে ওই জমির বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সোনা মিয়ার পক্ষে স্থাগিতাদেশ দেন আদালত।
পরে ওই আদেশ বরগুনা জেলা জজ আদাতলের আপিল বিভাগ প্রত্যাহার করে দেন। জেলা জজ আদালতের আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে সোনা মিয়া হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টের বিচারক একেএম শহিদুল হক গত বছর ১৩ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। অপর দিকে ১৯৭৭ সালে একই মৌজায় কাছেম আলী ছত্তার মলি­কের কাছ থেকে ১০ একর জমি ক্রয় করেন।
ওই জমি খাদিজা বেগম তার দাবী করে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় খাদিজার পক্ষে ডিগ্রী দেন আদালত। পটুয়াখালী জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ছত্তার মলি­কের স্ত্রী রোকেয়া বেগম হাইকোর্টে মামলা করেন। ওই মামলাটি নিম্ন আদালতের রায় ৬ মাসের জন্য স্থাগিতাদেশ দেন। কিন্তু হাইকোটের আদেশ অমান্য করে জাকির বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, শিল্পী রানী ও খাদিজার নেতৃত্বে ২০-২৫ লোক মুগ ডাল ক্ষেতের ফসলী জমি চাষ করেছে। সোনা মিয়া জমি চাষে বাঁধা দিলে তারা তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, জাকির বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস, শিল্পী রানী ও খাদিজার  নেতৃত্বে লোকজন এসে জমি চাষাবাদ করা জমি চাষাবাদ করেছে। সোনা মিয়া বলেন, হাইকোটের আদেশ অমান্য করে জাকির বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস, শিল্পী রানীসহ ২০-২৫ জনে ট্যাক্টর মেশিন দিয়ে আমার জমির মুগডাল ক্ষেত চাষাবাদ করেছে। বাঁধা দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। আমি এ ঘটনার বিচার  চাই।
অভিযুক্ত জাকির বিশ্বাস ও ফিরোজ বিশ্বাসসহ অন্যরা তাদেও বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার বলেন হাইকোর্টের আদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির সিকদার

আমতলীতে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চাষকরা জমিতে চাষাবাদ!

আপডেট সময় ১১:২৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মোঃ হাসান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলীর দক্ষিন তক্তাবুনিয়া গ্রামে  হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ফসলী জমি চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হলদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া গ্রামের সোনা মিয়া (৬০) এমন অভিযোগ করেন। বৃদ্ধ সোনা মিয়া আরো অভিযোগ করেন প্রভাবশালী ভুমি দস্যু জাকির বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস ও ফিরোজ বিশ্বাসসহ তার সহযোগীদের ভয়ে তিনি ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঘরে অবরুদ্ধ। রবিবার (২০ ফেব্রয়ারি) এ ঘটনায় তিনি আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
জানাগেছে, ১৯৮২ সালে উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মৌজায় সোনা মিয়া সরিপ আলীর কাছ থেকে ১১.৮৭ একর জমি ক্রয় করেন। ওই জমি জাকির বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, শিল্পী রানী ও তার লোকজন জোরপুর্বক দখল করে নেয়। বৃদ্ধ সোনা মিয়া ২০১১ সালে শিল্পী রানীকে বিবাদী করে ওই জমির বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সোনা মিয়ার পক্ষে স্থাগিতাদেশ দেন আদালত।
পরে ওই আদেশ বরগুনা জেলা জজ আদাতলের আপিল বিভাগ প্রত্যাহার করে দেন। জেলা জজ আদালতের আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে সোনা মিয়া হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টের বিচারক একেএম শহিদুল হক গত বছর ১৩ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। অপর দিকে ১৯৭৭ সালে একই মৌজায় কাছেম আলী ছত্তার মলি­কের কাছ থেকে ১০ একর জমি ক্রয় করেন।
ওই জমি খাদিজা বেগম তার দাবী করে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় খাদিজার পক্ষে ডিগ্রী দেন আদালত। পটুয়াখালী জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ছত্তার মলি­কের স্ত্রী রোকেয়া বেগম হাইকোর্টে মামলা করেন। ওই মামলাটি নিম্ন আদালতের রায় ৬ মাসের জন্য স্থাগিতাদেশ দেন। কিন্তু হাইকোটের আদেশ অমান্য করে জাকির বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, শিল্পী রানী ও খাদিজার নেতৃত্বে ২০-২৫ লোক মুগ ডাল ক্ষেতের ফসলী জমি চাষ করেছে। সোনা মিয়া জমি চাষে বাঁধা দিলে তারা তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, জাকির বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস, শিল্পী রানী ও খাদিজার  নেতৃত্বে লোকজন এসে জমি চাষাবাদ করা জমি চাষাবাদ করেছে। সোনা মিয়া বলেন, হাইকোটের আদেশ অমান্য করে জাকির বিশ্বাস, ফিরোজ বিশ্বাস, মামুন বিশ্বাস, শিল্পী রানীসহ ২০-২৫ জনে ট্যাক্টর মেশিন দিয়ে আমার জমির মুগডাল ক্ষেত চাষাবাদ করেছে। বাঁধা দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। আমি এ ঘটনার বিচার  চাই।
অভিযুক্ত জাকির বিশ্বাস ও ফিরোজ বিশ্বাসসহ অন্যরা তাদেও বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার বলেন হাইকোর্টের আদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।