বাংলাদেশ ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বন্ধু সাথে ঘুরতে ধর্ষণের শিকার পঞ্চগড়ে জমি ক্রয় করে প্রতারিত আমির। খোয়ালেন ২০ লাখ স্কুলগুলি আবার নতুন প্রাণ পেল। এক জোড়া গান নিয়ে ফিরলেন আরিফ খান মির্জাগঞ্জে গাঁজা সহ ছাত্রলীগের নেতা আটক মানব পাচার চক্রের মূলহোতা’সহ ০৩ জন মানব পাচার চক্রের সদস্য গ্রেফতার। বন্দর প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদের মা’র মৃত্যু নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’র শোক মুলাদীর আরিয়ালখাঁ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬টি অবৈধ বেহুন্দী জাল সহ ২জনকে আটক মাধবপুর বাজারে বিষপানে যুবকের মৃত্যু ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারুন্যের অহংকার আরিফ হোসেন পীরগঞ্জের করতোয়া নদীতে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা মারপিট টাকা ছিনতাই। মানিকগঞ্জে ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সন্ধান মিলেনি সাংবাদিকের চুরি হওয়া টয়োটার গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের উপর চাপা পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু।  কটিয়াদীতে কবরস্থান প্রতিষ্ঠায় মত বিনিময় সভা। কাউখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টনের গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারি খাল দখলে চলছে মহোৎসব ভান্ডারিয়ায় নদমূলা ও দাসের খাল দখল করে দোকান বাড়িঘর নির্মাণ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭১৩ বার পড়া হয়েছে

সরকারি খাল দখলে চলছে মহোৎসব ভান্ডারিয়ায় নদমূলা ও দাসের খাল দখল করে দোকান বাড়িঘর নির্মাণ

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

 

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূল শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পোনা নদীর পাশের্^ নদমূলা-মাঝি বাড়ী বাজার সংলগ্ন খাল ও লিয়াকত মার্কেট সংলগ্ন দাসের খালের দু-পারের প্রভাবশালীদের দখলে যাচ্ছে। ওই এলাকায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে বাড়িঘর, দোকান পাট সহ পাকা স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সরকারি খাল দুটি দখল হলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খাল দখলকারীরা অনেকেই কোনো অনুমতি নেয়নি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। সরকারি খাল দখলে কোনো প্রকার পাকা স্থাপনা করতে পারবে না বা খাল ভরাট করা যাবে না যেনেও কেউ থেমে নেই।

 

 

খাল ভরাট সহ দোকান পাট ও ভবনও নির্মাণ কওে চলছে তারা। জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার পাকা ভবন বা বাড়িঘর নির্মাণের কোনো বন্দোবস্ত দেয়নি। নদমূলা মাঝি বাড়ীর খাল একটি অংশ ও ৩৫০ মিটার দাসের খালের অধিকাংশ খাল দখল হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কিন্তু সরকারি জায়গা দখল করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে এমন অভিযোগ অধিকাংশ গ্রামবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, দখলদাররা প্রথমে খালের মধ্যে ছাপড়া দিয়ে তার পর কিছু কিছু জায়গায় খাল বন্ধ করে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বন্ধের পথে দাসের খালটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার উপক্রম হবে। এ ছাড়া এই খালের মাধ্যমে বিভিন্ন ইরি চাষাবাদের পানি সরবরাহ বন্ধ হলে দিন দিন কমে যাবে ধানচাষ ও কৃষি ক্ষেত খমার । আর এতে দেখা দিবে খাদ্য ঘাটতি এবং বিলীন হয়ে যাবে দেশি মাছ।

 

 

 

এখনই কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাবে জন গুরুত্বপূর্ণ এ সরকারি খাল দুটি। এতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে অদূর ভবিষ্যতে, আর মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে বলে সচেতন মহলের ধারণা। দখলদার ইদ্রিস আলী জানান , তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে দাসের খালের মধ্যে পাকা পিলার দিয়ে একটি পোল নির্মানের কাজ শুরু করেন। তবে, সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নেয়নি। উপজেলা এলজিইডি উপ- সহকারী প্রকৌশলী মুহা: শফিকুজ্জামান জানান, গত ১৭ সালের ১৩ অক্টোবার ৩৫০ মিটার দাসের খালটি খনন ও সিসি ব্লক স্লোপ প্রোটেকশন কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন তৎকালীন পরিবেশ ও বন বিষয়ক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

 

 

কিন্তু ওই খাল অধিকাংশ ভরাট থাকায় ডিজাইন না মিলায় কাজটি স্থগিত হয়ে যায়। যা আর কার্যকর হয়নি। উপজেলা নদমূলা ইউনিয়নের তহশিলদার সিহাব বলেন, দখলদাররা কুটকৌশলী। তাদের বারবার বাধা দিলেও রাতের আধারে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে। ওইসব এলাকা পরিমাপ না থাকায় দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুমানা আফরোজ জানান, কয়েক দিন আগে দাসের খাল দখল করে এক ব্যক্তি রড সিমেন্ট দিয়ে পিলার গাথলে খবর পেয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়। সম্প্রতি যারা খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করেছে তা অতিদ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি খাল দখলে চলছে মহোৎসব ভান্ডারিয়ায় নদমূলা ও দাসের খাল দখল করে দোকান বাড়িঘর নির্মাণ

আপডেট সময় ০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

 

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূল শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পোনা নদীর পাশের্^ নদমূলা-মাঝি বাড়ী বাজার সংলগ্ন খাল ও লিয়াকত মার্কেট সংলগ্ন দাসের খালের দু-পারের প্রভাবশালীদের দখলে যাচ্ছে। ওই এলাকায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে বাড়িঘর, দোকান পাট সহ পাকা স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সরকারি খাল দুটি দখল হলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খাল দখলকারীরা অনেকেই কোনো অনুমতি নেয়নি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। সরকারি খাল দখলে কোনো প্রকার পাকা স্থাপনা করতে পারবে না বা খাল ভরাট করা যাবে না যেনেও কেউ থেমে নেই।

 

 

খাল ভরাট সহ দোকান পাট ও ভবনও নির্মাণ কওে চলছে তারা। জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার পাকা ভবন বা বাড়িঘর নির্মাণের কোনো বন্দোবস্ত দেয়নি। নদমূলা মাঝি বাড়ীর খাল একটি অংশ ও ৩৫০ মিটার দাসের খালের অধিকাংশ খাল দখল হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কিন্তু সরকারি জায়গা দখল করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে এমন অভিযোগ অধিকাংশ গ্রামবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, দখলদাররা প্রথমে খালের মধ্যে ছাপড়া দিয়ে তার পর কিছু কিছু জায়গায় খাল বন্ধ করে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বন্ধের পথে দাসের খালটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার উপক্রম হবে। এ ছাড়া এই খালের মাধ্যমে বিভিন্ন ইরি চাষাবাদের পানি সরবরাহ বন্ধ হলে দিন দিন কমে যাবে ধানচাষ ও কৃষি ক্ষেত খমার । আর এতে দেখা দিবে খাদ্য ঘাটতি এবং বিলীন হয়ে যাবে দেশি মাছ।

 

 

 

এখনই কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাবে জন গুরুত্বপূর্ণ এ সরকারি খাল দুটি। এতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে অদূর ভবিষ্যতে, আর মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে বলে সচেতন মহলের ধারণা। দখলদার ইদ্রিস আলী জানান , তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে দাসের খালের মধ্যে পাকা পিলার দিয়ে একটি পোল নির্মানের কাজ শুরু করেন। তবে, সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নেয়নি। উপজেলা এলজিইডি উপ- সহকারী প্রকৌশলী মুহা: শফিকুজ্জামান জানান, গত ১৭ সালের ১৩ অক্টোবার ৩৫০ মিটার দাসের খালটি খনন ও সিসি ব্লক স্লোপ প্রোটেকশন কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন তৎকালীন পরিবেশ ও বন বিষয়ক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

 

 

কিন্তু ওই খাল অধিকাংশ ভরাট থাকায় ডিজাইন না মিলায় কাজটি স্থগিত হয়ে যায়। যা আর কার্যকর হয়নি। উপজেলা নদমূলা ইউনিয়নের তহশিলদার সিহাব বলেন, দখলদাররা কুটকৌশলী। তাদের বারবার বাধা দিলেও রাতের আধারে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে। ওইসব এলাকা পরিমাপ না থাকায় দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুমানা আফরোজ জানান, কয়েক দিন আগে দাসের খাল দখল করে এক ব্যক্তি রড সিমেন্ট দিয়ে পিলার গাথলে খবর পেয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়। সম্প্রতি যারা খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করেছে তা অতিদ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।