রংপুর-মিঠাপুকুর প্রতিনিধিঃ
মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বৈরাগীগন্জ বাসষ্টান্ড তথা পূরো ইউনিয়ন জুড়ে ১ ডজন মাদক ব্যবসায়ীর পৃষ্ঠ-পোষক “ডাইল”রাজুর দৌরাত্ম্য থামছেই না। বৃহৎ এই মাদক ব্যবসায়ীর পরিবার বা তার বংশের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষজন। ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন ডাইল রাজুর নেতৃত্বে গড়া ভয়ংকর এই মাদক কারবারিরা। দেড় যুগের অধিক সময় ধরে চলমান রয়েছে ফেন্সিডিল ব্যবসা। মাদকের আঁকড়ায় পরিনত করেছেন পায়রাবন্দ ইউনিয়নকে।
ডাইল রাজু তার অপবাদ মোচনের জন্য এবং মাদক কারবার হামেশাই চালানোর জন্য সদ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি ০৩ নং-পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ইউপি-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে কালো টাকা ব্যবহার করে ইউপি- সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্ধীরা। কিভাবে এই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ইউপি-সদস্য নির্বাচিত হলেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা।
এদিকে এই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর সব তথ্য।ডাইল রাজু ক্লাশ সেভেনে পড়া অবস্থায় তার বোন রোকছানার লাইনম্যান হিসেবে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। অতঃপর তার ভাই রাজা মিয়া,ভাবি রুমি বেগম, দুলাভাই আমিন,ভাগ্নে রফিক,শাকিল,নুরবানু,বেয়াইন মনজিলা,ভাগ্নে বউ নাজমীনসহ জামাই এবং নিজে ৪ টি বিয়ে করে নামিয়ে দেন ফেন্সিডিল পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়।গড়ে তুলেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাদক ব্যবসায়ী পরিবার।
ডাইল রাজু মাদকের কালো টাকায় কয়েকটি ট্রাক,লেগুনাসহ গাড়ি,বাড়ীর মালিক হয়ে যান। চূহড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেই চলে তার মাদকের রামরাজত্ব।ফেন্সিডিল সরবরাহের শ্রমিক হিসবে রেখেছেন শিশুদেরসহ এনামুল,বাবারদের।
ফেন্সিডিল সংক্রান্ত নিউজ করতে গিয়ে ২০১৪ সালে নির্মম হত্যার শিকার হন সাংবাদিক উৎস রহমান।যে হত্যার নেতৃত্ব-দেন রাজু মেম্বারের বোন রোকছানা,ভাই,ভাগ্নে রুবেল,এবং রাজু মেম্বারের স্ত্রী জহিরুন আক্তার জুঁই (গেদি)-সহ তাদের ভাড়াটে খুনিরা,যা আদালতে এখনো বিচারাধীন।ডাইল রাজুসহ এইসব মাদক কারবারিদের রয়েছে প্রায় অর্ধশত মামলা।
ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে মাদকের বিরোধিতা করতে গিয়ে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তিকে ৯ টি ভুতুড়ে মামলাসহ প্রায় কয়েকজনকে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে।ফেন্সিডিল পাচার করতে গিয়ে কয়েকজন মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছেড়েছেন বলে জানা যায়।সাংবাদিকদের হেনস্তা,হুমকিসহ ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে জিডি,এমনকি মাদকের অভিযানে গেলে প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ও রয়েছে এই মাদক কারবারিদের নামে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের গ্রেফতারে কোন ছাড় নেই। একটু সময় লাগবে। কাজ শুরু করেছি।