বাংলাদেশ ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০৭ জনকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ভ্রমন ও ভাড়ায় ব্যবহার হচ্ছে কুবির বাস শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুবির হাউজ টিউটরের পদত্যাগ মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ মনোনয়নপত্র জমা মাদকসহ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার। মির্জাগঞ্জে জাতীয় শ্রমিক পার্টির মে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত সোহাগ শেখকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় দাঁত ভাঙ্গলো বৃদ্ধার ! আবার ও সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু! আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুজে পাওয়া যাবে না’ -ছাত্রলীগ নেতার হুমকি নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের বড় বাধা মাধ্যমিকের সাথে প্রাথমিক শাখা সংযুক্ত থাকা, ডাবল শিফট নয়! মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময়

কেশবপুর শহীদ মিনার তৈরি করলো খুদে শিশুর দল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭১৭ বার পড়া হয়েছে

কেশবপুর শহীদ মিনার তৈরি করলো খুদে শিশুর দল

 

 

 

এনামুল হাসান নাঈম:  

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে ওরা পাঁচজন। পাটকাঠি ও নরমাল কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছে। সময় লেগেছে তিন ঘন্টা। আজ সোমবার সেই শহীদ মিনারে বাগানের বিভিন্ন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

ওই পাঁচজনের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে। কেউ পড়ে প্রথম শ্রেণিতে কেউবা অষ্টম শ্রেণিতে। ওরা জানায়, স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও বড়দের কাছ থেকে শহীদ দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জেনেছে ওরা। তাই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার বানিয়েছে।

পাঁচ কারিগর হলো মাহিম  (৭), তোহা  (২), হুমায়রা (২), শামীম (৭), এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছে মো: ফাহিম ও শামীম

জানায়,  সোমবার ওরা পরিকল্পনা করেই সকাল থেকে শহীদ মিনার গড়ার কাজে লেগে পড়ে। তিন ঘন্টার মধ্যেই গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।  সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তারা। পরে বড়রাও ফুল দেন।

মো: ফাহিম ও শামীম বলে, তাদের গ্রামের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হলে যেতে হয় তিন কিলোমিটার। তাই শহীদ মিনার তৈরি করেছে তারা। তাদের কাজ দেখে প্রথমে কেউ উৎসাহ না দিলেও পরে বাড়ির দাদি, মা, চাচি ও বড় ভাইবোনেরা সাহায্য করেছেন।

মো: ফাহিম বাবা  ডা : বাইজিদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে একটি করে শহীদ মিনার থাকলে সবাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন। এতে শিশুরা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতো।

গ্রামটির বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষকা মোছাঃ শায়েদা খাতুন  বলেন, ‘এই শিশুদের দেশপ্রেম দেখে অভিভূত হয়েছি। মিনারটিতে প্রত্যেকের দেওয়া একেকটি ফুলে মিশে রয়েছে তাদের শ্রদ্ধা আর অগাধ ভালোবাসা।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০৭ জনকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

কেশবপুর শহীদ মিনার তৈরি করলো খুদে শিশুর দল

আপডেট সময় ১১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

এনামুল হাসান নাঈম:  

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে ওরা পাঁচজন। পাটকাঠি ও নরমাল কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছে। সময় লেগেছে তিন ঘন্টা। আজ সোমবার সেই শহীদ মিনারে বাগানের বিভিন্ন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

ওই পাঁচজনের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে। কেউ পড়ে প্রথম শ্রেণিতে কেউবা অষ্টম শ্রেণিতে। ওরা জানায়, স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও বড়দের কাছ থেকে শহীদ দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জেনেছে ওরা। তাই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার বানিয়েছে।

পাঁচ কারিগর হলো মাহিম  (৭), তোহা  (২), হুমায়রা (২), শামীম (৭), এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছে মো: ফাহিম ও শামীম

জানায়,  সোমবার ওরা পরিকল্পনা করেই সকাল থেকে শহীদ মিনার গড়ার কাজে লেগে পড়ে। তিন ঘন্টার মধ্যেই গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।  সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তারা। পরে বড়রাও ফুল দেন।

মো: ফাহিম ও শামীম বলে, তাদের গ্রামের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হলে যেতে হয় তিন কিলোমিটার। তাই শহীদ মিনার তৈরি করেছে তারা। তাদের কাজ দেখে প্রথমে কেউ উৎসাহ না দিলেও পরে বাড়ির দাদি, মা, চাচি ও বড় ভাইবোনেরা সাহায্য করেছেন।

মো: ফাহিম বাবা  ডা : বাইজিদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে একটি করে শহীদ মিনার থাকলে সবাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন। এতে শিশুরা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতো।

গ্রামটির বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষকা মোছাঃ শায়েদা খাতুন  বলেন, ‘এই শিশুদের দেশপ্রেম দেখে অভিভূত হয়েছি। মিনারটিতে প্রত্যেকের দেওয়া একেকটি ফুলে মিশে রয়েছে তাদের শ্রদ্ধা আর অগাধ ভালোবাসা।