ওমর ফারুক খান লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের লালপুরে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। এদিকে রমজান মাসে ইফতার, তারাবি নামাজ ও সাহরির সময় লোডশেডিং না দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও তা মানছেন না দয়ারামপুর সাবষ্টেশন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার আব্দুলপুর প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ লোডশেডিং চলে প্রায় ১ঘন্টা, আবার রাত ১০টা থেকে আরোও ১ঘন্টা, সেহরির সময় ১ ঘন্টা । অথচ দয়ারামপুর সাব ষ্টেশনে ৪টি গেট চালু রাখতে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এতে ৪টি গেটে ১ ঘন্টা করে লোডশেডিং চালানো হলে আর লোডশেডিং প্রয়োজন হবে না। তবে অজ্ঞাত কারণে ৩/ ৪ ঘন্টার বেশি সময় লোডশেডিংয়ে পড়তে হচ্ছে এ অঞ্চলটিকে।
স্থানীয় ও মুসল্লিরা জানান, বিদ্যুত না থাকায় মসজিদের মাইকে আজান দেয়া ও নামাজ আদায়ের সময় প্রচন্ড গরমে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও ইফতারে সময়ে যখন আজান চলছে তখনই লোডশেডিং চালানো হয়, আবার সাহরির সময় লোডশেডিং এতে অত্র এলাকাবাসী মধ্যে খোপের সৃষ্ঠি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, রোজার শুরুতেই ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। করোনার কারণে অনেকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর আবার খুলেছে। ঠিকমত বিদ্যুৎ না থাকায় পড়াশোনা করতে পারছিনা। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অত্র এলাকাবাসীরা ও নেতা কর্মীরা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, বিদ্যুৎ এর ঘাটতি নেই, নাটোর জেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় ২টি সাব ষ্টেশনে আছে, সেখানে বিদ্যুৎ এর ঘাটতি থাকতে পারে না, বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু অফিসার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য লোডশেডিং করছেন ।
এ বিষয়ে আব্দুল পুর অভিযোগ কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল হান্নান সাহেব জানান যে, লোডশেডিং বিষয়ে পূর্বে কোন নোটিশ দেওয়া হয় নাই,তিনি বলেন,আমরা দয়ারামপুর সাব ষ্টেশনে যোগাযোগ করলে লোডশেডিং চলেছে, দয়ারামপুর সাব ষ্টেশনে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আকবর আলী সাহেব জানান যে, লোডশেডিং চলবে তাদের কিছুই করার নেই, আজানের সময় লোডশেডিং চালানোর বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা করা হলে অসযোগী ব্যবহার করেন। দয়ারামপুর সাব ষ্টেশনের এজিএম জিয়াউর রহমান জানান, সারাদেশে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘারতিতে এ লোডশেডিং চলছে। এভাবে কতদিন পযম্ত চলবে তা তিনি বলতে পারেন নি।