বাংলাদেশ ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭ সিরাজগঞ্জে পৃথক তিনটি অভিযানে ফিন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন গ্রেফতার। নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে- মাওলানা শাহজাহান মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের কুবিতে প্রথমবারের মত ইদে মিলাদুন্নবী পালিত উলিপুরে হিফজুল কোরআন কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন ও ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন ফুলবাড়ীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ধান ক্ষেতের সাথে এ কেমন শত্রুতা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫৯৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৬নংভাতুরিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রগাঁও গ্রামের আবু খালেদ নামে এক কৃষকের ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান ক্ষেতে আগাছানাশক প্রয়োগে করে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় সোমবার আবু খালেদ এর প্রতিবেশি বাবুল হোসেন ও গোলাম মোস্তাফার নামে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা যায়, মহেন্দ্রগাঁও এলাকার হাফিজ উদ্দীনের ছেলে আবু খালেদ পৈত্রিত সূত্রে ৬ বিঘা জমি পায়। সেই জমি আবাদ করে তার সংসার ভালোই চলছিল। জমি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আইনি জটিলতা থাকলেও চলতি বছরে সব জটিলতা কাটিয়ে ফসল আবাদে মননিবেশ করেন খালেদ। দোআশ মাটির কারনে সে জমিতে ফসল ভালো হওয়ায় তা হয়ে ওঠে কৃষক খালেদের আয়ের একটা বড় উৎস। কিন্তু সম্প্রতি রাতের আঁধারে তার সে জমির ফসল আগাছানাশক প্রয়োগে পুড়িয়ে দেয়ায় বাকশুন্য হয়ে পরেছেন খালেদ।

স্থানীয়রা জানায়, রাস্তা দিয়ে চলাচলের সুবাদে প্রতিদিন দেখা হয় ধান ক্ষেতটি। হঠাৎ গতকাল দেখি আগাছানাশক দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে পুরো জমির ধান। যে আগাছানাশক জমির আগাছা নষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়, সেই আগাছানাশক ব্যবহার করেই সমস্ত ধান ফসল নষ্ট করা হয়েছে। সব গাছ পুড়ে যাবার কারনে ধান হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। এতে শুধু আবু খালেদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ক্ষতি হয়েছে আমাদের অর্থনিতীর।

তারা আরো জানায়, স্থানীয় একটি চক্র বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন কৃষকদের প্রথমে মামলা এবং পরে এভাবে জমির ফসল নষ্ট করে হয়রানী করে। এগুলো তারা করে যেনো ভুক্তভোগী কৃষকরা কমদামে সে জমি বিক্রি করে দেয়। আমরা অনেকেই আছি ভুক্তভোগীর তালিকায়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে এ চক্রটিকে শাস্তির আওতায় আনা খুব জরুরী।

ভুক্তভোগী কৃষক খালেদ জানান, আমার এ ফসল গুলি নিয়েই সামনের পরিকল্পনা ছিল। কারন এত বড় জমির ফসল আবাদ করতে বীজ, সার ও পানি সেচে ইতোমধ্যেই আমার বেশ করছ হয়ে গিয়েছে। এখন বুঝতে পারছিনা কি করবো।

হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগি কৃষক প্রথমে মৌখিক ভাবে ও পরে লিখিত ভাবে জানিয়েছে। বিষয়টি জানার পরে ফৌজদারি অপরাধ মনে হওয়ায় হরিপুর থানায় তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

ধান ক্ষেতের সাথে এ কেমন শত্রুতা

আপডেট সময় ১২:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৬নংভাতুরিয়া ইউনিয়নের মহেন্দ্রগাঁও গ্রামের আবু খালেদ নামে এক কৃষকের ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান ক্ষেতে আগাছানাশক প্রয়োগে করে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় সোমবার আবু খালেদ এর প্রতিবেশি বাবুল হোসেন ও গোলাম মোস্তাফার নামে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা যায়, মহেন্দ্রগাঁও এলাকার হাফিজ উদ্দীনের ছেলে আবু খালেদ পৈত্রিত সূত্রে ৬ বিঘা জমি পায়। সেই জমি আবাদ করে তার সংসার ভালোই চলছিল। জমি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আইনি জটিলতা থাকলেও চলতি বছরে সব জটিলতা কাটিয়ে ফসল আবাদে মননিবেশ করেন খালেদ। দোআশ মাটির কারনে সে জমিতে ফসল ভালো হওয়ায় তা হয়ে ওঠে কৃষক খালেদের আয়ের একটা বড় উৎস। কিন্তু সম্প্রতি রাতের আঁধারে তার সে জমির ফসল আগাছানাশক প্রয়োগে পুড়িয়ে দেয়ায় বাকশুন্য হয়ে পরেছেন খালেদ।

স্থানীয়রা জানায়, রাস্তা দিয়ে চলাচলের সুবাদে প্রতিদিন দেখা হয় ধান ক্ষেতটি। হঠাৎ গতকাল দেখি আগাছানাশক দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে পুরো জমির ধান। যে আগাছানাশক জমির আগাছা নষ্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়, সেই আগাছানাশক ব্যবহার করেই সমস্ত ধান ফসল নষ্ট করা হয়েছে। সব গাছ পুড়ে যাবার কারনে ধান হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। এতে শুধু আবু খালেদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ক্ষতি হয়েছে আমাদের অর্থনিতীর।

তারা আরো জানায়, স্থানীয় একটি চক্র বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন কৃষকদের প্রথমে মামলা এবং পরে এভাবে জমির ফসল নষ্ট করে হয়রানী করে। এগুলো তারা করে যেনো ভুক্তভোগী কৃষকরা কমদামে সে জমি বিক্রি করে দেয়। আমরা অনেকেই আছি ভুক্তভোগীর তালিকায়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে এ চক্রটিকে শাস্তির আওতায় আনা খুব জরুরী।

ভুক্তভোগী কৃষক খালেদ জানান, আমার এ ফসল গুলি নিয়েই সামনের পরিকল্পনা ছিল। কারন এত বড় জমির ফসল আবাদ করতে বীজ, সার ও পানি সেচে ইতোমধ্যেই আমার বেশ করছ হয়ে গিয়েছে। এখন বুঝতে পারছিনা কি করবো।

হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগি কৃষক প্রথমে মৌখিক ভাবে ও পরে লিখিত ভাবে জানিয়েছে। বিষয়টি জানার পরে ফৌজদারি অপরাধ মনে হওয়ায় হরিপুর থানায় তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।