নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে - মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল
আপডেট সময় :
২০২৫-১১-২০ ১২:১৯:১৯
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে - মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। আগামী নির্বাচন জাতির পরবর্তী ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এই নির্বাচনে যদি অবৈধভাবে কেউ ক্ষমতা দখল করে তবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। বুধবার রাতে ঢাকা-৬ সংসদীয় এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর আসন কমিটি ও থানা দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন ‘‘একটি দল সমাজ বিধ্বস্ত করছে জামায়াতে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে”। তাদের দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণের বিপরীতে জামায়াতে ইসলামী ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী জামায়াতে ইসলামী যেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। বিগত ১৫ মাসে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় কার্যক্রম এবং অন্যদের দলীয় কার্যক্রম জনগণ মূল্যায়ন করে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আস্থা রাখছে। কারণ জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, লুটপাট, চাঁদাবাজি করেনি, করবেও না। জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিশ্বাস করে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার ফলে আমরা ১০০ বছরের অর্জন হারিয়েছি। আমাদের লাখ-লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে খুন-গুম ও জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। দলের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের অফিস গুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংগঠিত হতে দেওয়া হয়নি। আমাদের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এতো জুলুম-নির্যাতনের পরও আমরা একদিনের জন্যও হারিয়ে যাইনি। মানুষের প্রয়োজনে, দেশর প্রয়োজনে আমার ছিলাম, আছি, ইনশাআল্লাহ আমরা থাকবো। কোনো ষড়যন্ত্র চক্রান্ত জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা থামাতে পারেনি, পারবে না। তাই আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জনগণের কল্যাণে, দেশ ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতীতের মতো সাহসিক ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকল জনশক্তিকে ময়দানে তৎপর করা গেলে এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত ভূমিকা পালন করলে জনগণ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিজয় নিশ্চিত করবে।
জনগণ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। ভোট কেন্দ্র দখলমুক্ত রাখতে পারলে ইসলামের পক্ষে নিরব বিপ্লব সংগঠিত হবে। ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত রাখতে প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা লোভীরা ভোটেকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করবে। অস্ত্রের মহড়া দিবে, কালো টাকার ছড়াছড়ি করবে। সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে সহায়তা করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক কামরুল আহসান হাসানের সভাপতিত্বে মহানগরীর হলরুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী (ঢাকা-৬ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) ড. আব্দুল মান্নান। এছাড়াও সভায় আসন কমিটির সদস্য ও থানা দায়িত্বশীলবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে মীর বাহার আমীরুল ইসলাম, নেসার উদ্দীন, গোলাম আযম, হাসান, মুজাহিদুল ইসলাম, মোতাসিম বিল্লাহ, আব্দুল হান্নান, মাহফুজুর রহমান, কামরুল ইসলাম পলাশ, মো. ফারুকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী, তৌহিদুল ইসলাম মৃদুল, সফি উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, হেলাল মাসুদ, দাইয়ান সালেহীন, রবিউল ইসলাম, নোমান শিকদার, মতিউর রহমান প্রমুখ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
নিউজটি আপডেট করেছেন :
[email protected]
কমেন্ট বক্স