মোঃ মিনহাজুল ইসলাম সুজন, বাকেরগঞ্জ বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে রোমানা আফরোজ বাকেরগঞ্জে যোগদান করার পর থেকে তার মেধা, কর্মদক্ষতা এবং পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাকেরগঞ্জবাসী তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন দপ্তর গুলোতে ফিরে পেয়েছে কাজের গতি। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে তার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক দিকনির্দেশনা অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, গত আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন আমলে বহু সড়ক চরম বেহাল অবস্থায় ছিল! প্রতিদিন ঐ সকল সড়ক দিয়ে শতশত যানবহন সহ সাধারণ পথচারীরা যাতায়াত করতো। সড়কগুলো খানাখন্দের কারণে মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ ছিল না। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিরা সড়কগুলো সংস্কার করতে সক্ষম হয়নি ।
পৌর প্রশাসক হিসেবে ইউএনও রোমানা আফরোজ দায়িত্ব নেওয়ার পর তার নিরলস প্রচেষ্টায় ঐ সমস্ত সড়কের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। শীঘ্রই সড়কের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত ঘটলে মালবাহী যানবাহন সহ হাজারো মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বাকেরগঞ্জ উপজেলা সংগীতা সিনেমা হল চৌমাথা সংলগ্ন বাকেরগঞ্জ উপজেলার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে বাকেরগঞ্জে আকর্ষণীয় স্পট তৈরি করে প্রশংসায় ভাসছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ফেসবুক আইডি থেকে এবং সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তার প্রশংসা শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তাকে শুক্রবারসহ সরকারি বন্ধের দিনও অফিসে এসে পাওয়া যায় এর চেয়ে বড় সেবা আর কি হতে পারে। উপজেলার যেকোনো সমস্যা তিনি তাৎক্ষণিক সমাধান করার চেষ্টা করেন। সাধারণ মানুষের কাছে এও শোনা যায় এই উপজেলায় উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে তার মতো কর্মকর্তা আমাদের প্রয়োজন আছে।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর হওয়া সত্ত্বেও কথিত ফ্যাসিবাদ সরকারের লোকমান হোসেন ডাকুয়া পৌরসভার উন্নয়নের তেমন কোন কাজ করে যাননি ৫ই আগস্ট পট পরিবর্তনের পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৌর প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং বিগত সকল অনিয়মকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে তিনি পৌরসভায়ও নিয়েছেন নানান উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মিশন দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসকের এমন কর্ম তৎপরতা দেখে এলাকার মানুষ খুবই খুশি। এই মানবিক কর্মকর্তার এমন নিরলস প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন উপজেলাবাসী। এছাড়াও পৌর সভার সকল ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে পৌর কর পরিশোধের তাগিদ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু পৌরসভা নয়, প্রতিনিয়ত উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের রীতিমতো খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ছুটে যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও দেখা গেছে তাকে। চলতি সময়ে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অফিসগুলোতে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সাম্প্রতিক সময়ে সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমান দাখিল পরীক্ষা গ্রহণে তার নেওয়া উদ্যোগ সবার নজর কেড়েছে। পরীক্ষার হলে ফিরেছে সুন্দর পরিবেশ। পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষকগণ বলেন বিগত ১৫ বছরে এ রকম সম্পূর্ন নকলমুক্ত পরীক্ষা আমরা দেখেনি। সাফল্য হিসাবে তার প্রচেষ্টায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার মাধ্যমে সম্প্রতি তার সুনাম উপজেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সাথে নিয়ে নিয়মিত কাজ করতে দেখা গেছে তাকে।
ইউএনও রুমানা আফরোজ বলেন, ইউএনওর পাশাপাশি পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে আমি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনগনকে হয়রানীমুক্ত সেবা দিতে আমার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব স্বচ্ছতার সাথে করার চেষ্টা করছি। জনস্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি পৌর নাগরিকসহ স্থানীয় ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সুধীজন, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।