রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুরঃ
রংপুরে বদরগঞ্জ উপজেলা মধুপুর ইউনিয়ন আদর্শ মহিলা উন্নয়ন সংস্থা সভানেত্রী মর্জিনা বেগম ২০০৭ সাল সমিতির হতদরিদ্র অবহেলিত নারীদের ভাগ্য উন্নয়নের বরাদ্দ না পাওয়ার অভিযোগ।
প্রায় দুই মাস থেকে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ, দিয়েও সমিতির সভানেত্রীকে কেউ সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেন। তিনি দীর্ঘ দিন থেকে মহিলা সমিতির উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগম বদরগঞ্জ থানা, তারাগন্জ ক্যাম্প কমান্ডারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও মহিলা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মর্জিনা বেগম দীর্ঘ দিন থেকে মধুপুর আদর্শ মহিলা উন্নয়ন সংস্থা সভানেত্রী পদে দায়িত্ব পালন করে নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি একাধিকবার সরকার কতৃক পদক পেয়েছেন। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমল ২০০৫ সাল থেকে তার বরাদ্দ আটকে যায়। এরপর মর্জিনা বেগম বরাদ্দ পুনরায় চালুর জন্য একাধিকবার ফাইল মহিলা অধিদপ্তর পাঠায় কিন্তুু বরাদ্দ আসে না।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগম বলেন, আমার ফাইল ২০০৭ সাল থেকে বরাদ্দ আসা তৎকালীন (বর্তমানে অবসরে যাওয়া) মহিলা বিষয়ক কর্মকতা মাহমুদা বেগম আত্মসাত করে। আমাকে কোন বরাদ্দ দেয়নি। আমি অফিসে গেলে আমাকে অফিসের লোকজন বলে আমার কোন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে। আমি বিষয়টি গোপনে জানতে পারি আমার বরাদ্দ আসে কিন্তু আগের মহিলা বিষয়ক কর্মকতা মাহমুদা সব আত্মসাত করে। মর্জি না বেগম আরো অভিযোগ করে বলেন, ২০০৫ সালে মহিলা অধিদপ্তরে ফাইল তৈরি করে পাঠাই।কিন্তু তারপরও মাহমুদা বলে শুধু অর্থবছরের অনুদান আসে কিন্তু মাল নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সমিতির সদস্য বলেন, মর্জিনা বেগম আমাদের এলাকার গরিব অসহায় নারীদের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন।কিন্তু অনেকদিন থেকে তিনি কোন মহিলা সমিতির উন্নয়ন সংস্থা বরাদ্দ না পাওয়ায় অনেকটা দিশেহারা অবস্থায় আছেন তিনি।ফলে অসহায়, গরীব নারীরা সমিতির কাজে অগ্রগতি হতে পারছেন না। এবিষয়ে অবসরে যাওয়া বদরগঞ্জ মহিলা বিষয়ক কর্মকতা মাহমুদা বেগম মুঠোফোন নম্বর না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বর্তমান উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতা সাবিকুর নাহার বলেন, মর্জিনা বেগম অভিযোগ বিষয় টি আমি জানি। কিন্তুু আমি বদরগঞ্জে যোগদান করেছি কয়েকমাস আগে। তাই তার অভিযোগ বিষয়ে আমি বলতে পারছি না তারপরও ওই সভানেত্রী মর্জিনাকে বলেছিলাম মহিলা সমিতির উন্নয়নের জন্য আমার অফিস থেকে বিনা শর্তে লোন নেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি রাজি হননি।