জাহিদ হাসান চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধিঃ
২৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ফেনী জেলা নেতৃবৃন্দ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ফেনী জেলা সভাপতি মুফতি ইউসুফ কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলার উপদেষ্টা প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম, জেলা আন্দোলনের সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাওলানা মীর আহমদ মীরু, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ জাহিদ হাসান চৌধুরী, মাওলানা ইসমাইল, মাওলানা হোসাইন, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আলী আহমদ ফোরকান প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে বলেন, আমরা জাতির বিবেক ও নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এ স্মারকলিপি পেশ করছি। ০১. বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, “রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম।" সুতরাং দেশের আগামী প্রজন্মকে সঠিক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ০২. প্রাথমিক স্তর একটি শিশুর জীবনের ভিত্তি। এখানে নতিকতা ও আদর্শ গঠনের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। অথচ বর্তমানে পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় শিশুরা কাঙ্ক্ষিত নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
০৩. সম্প্রতি সরকার কর্তৃক গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। গান শেখানো কখনোই প্রাথমিক শিক্ষার আবশ্যক অংশ হতে পারে না। বরং এটি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুকরণ প্রবণতা সৃষ্টি করবে, যা ভবিষ্যতে জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে। ০৪. আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, দেশের সর্বস্তরের জনগণ চান তাঁদের সন্তানরা ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও মানবিকতার আলোকে বেড়ে উঠুক। এর জন্য অপরিহার্য হলো প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ।
স্মারকলিপিতে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ উপস্থাপন করেন।
১. দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
২. গানের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে।
৩. শিশুদের স্মৃতিক ও আদর্শিক শিক্ষা নিশ্চিতে ধর্মীয় পাঠ্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪. জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে আলেম সমাজের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
মাননীয় উপদেষ্টা আমরা আশা করি, সরকার অবিলম্বে এই ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায় দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণকে সাথে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। আল্লাহ আমাদের দেশ ও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।