ঢাকা , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে সরকারের নজর না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ছে


আপডেট সময় : ২০২৫-০৯-১৪ ১৭:১৬:২২
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে সরকারের নজর না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে সরকারের নজর না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ছে

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি-

দেশের উত্তর অঞ্চলের দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিঃ খনিটির প্রতি সরকারের নেক নজর না থাকায় মারাত্বক সংকটের দিকে চলে যাচ্ছে। পাথর খনিটি অর্থিক ছাড়াও সরকারের নীতিগত কারণে সংকটে ক্ষতির মুখে পড়ছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, খনি থেকে পাথর উত্তোলনে অর্থিক পরিমান অর্থ ব্যয় হয়। তার চেয়ে কম মূলে বিক্রি করা হয় উত্তোলনকৃত পাথর। এই থেকে উত্তরণে পাওয়ার উপায় সরকারের সংশ্লিষ্টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো সহায়তা কারণ প্রয়োজনীয় বে সরকারী খাতে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তা এখনও আমদানী বন্ধ হয় নি। লোকশানের ভারে খনিটিতে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নানা রকম কর।

অন্যদিকে, সরকারী কাজেও এখান থেকে পাথর ক্রয় করা হচ্ছে না । সেই কারণে মধ্যপাড়ার পাথর বিক্রিতে পরিস্থিতি ভয়াবহ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমজিএমসিএল এর ইয়াডে পাথর পড়ে আছে লক্ষ লক্ষ টন। এভাবে চলতে থাকলে কিছু দিন পর পাথর রাখার জায়গা থাকবে না। ফলে কোম্পানির কাজ বন্ধ রাখতে হবে।

এ সব মিলে লোকশানে চলা দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ত¡ প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের নীতিতে আমল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন। সরকারি ভাবে কর্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় যে কোন সময় খনিটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছে সরকারের অবহেলা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অসহযোগীতার মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ পাথর খনিটি বছরের পর বছর লোকশান দিয়ে চলছে এর পরেও সরকারের নীতিতে আসেনি কোন পরির্বতন।

বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে পাথর আমদানির সুবিধা দেওয়া হয়েছে আমদানি কারকদেরকে। দেশীয় খনির পাথর সরকারের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহারে কার্যকর কোন উদ্দ্যোগ নেই। এমনকি এই কোম্পানিটি যেখানে লোকশানের বোঝা নিয়ে ন্যুজ, সেখানে এনবিআর এর নানা ধরনের ট্যাক্স। খনির সম্পদ উন্নয়ন বুরো অব মিনারেল ডির্পামেন্ট এর রয়েলিটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি এই কোম্পানিটি টিকিয়ে রাখতে হলে উৎপাদন খরচ কমানোর উদ্দ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা।

তারা মনে করেন, খনি থেকে পাথর উত্তোলনে আমাদীন করা কাচামালের উপর শুল্ক কমাতে হবে। বিএমডিএর রয়েলিটিও চাইলে হ্রস করতে পারে সরকার। সরকারকে খনিটির প্রতি পদক্ষেপ নিয়ে নানা ধরনের সমস্যাগুলি সমাধান করতে  হবে। ২০২২ সালে বিএমডিকে প্রতি টনে ২.৫ ডলার দিতে হত সেটা গত বছর থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সামগ্রীকভাবে কোম্পানিটির পাথর উত্তোলন খরচ অনেক বেশি পড়ছে। মধ্যপাড়ার পাথর খনির উত্তোলনকৃত পাথরের প্রতিযোগীতা মূলক বাজার তৈরিতে আমদানি করা পাথরের উপর শুল্ক বাড়িয়ে নীতি সম্বয় করা দরকার।

এছাড়াও, ঠিকাদার কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও পাথর উত্তোলন বিষয় নিয়ে চুক্তির পূর্ণমূল্যায়ন প্রয়োজন। এ বিষয়ে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ