নিজস্ব প্রতিবেদক- তৌহিদুল ইসলাম সরকার:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আদম ব্যবসায়ী মাসুদ এর ছোট ভাই শরীফ মিয়া (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় বড় ভাই ও ভাগ্নে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শরীফ মিয়া গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন- শরীফ মিয়ার সহোদর বড় ভাই মাসুদ মিয়া (৪০)। তিনি গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ সাধারণ সম্পাদক, ও উজ্জ্বল মিয়া (৩৫) পাশের বাড়ির শরীফ মিয়ার ভাগ্নে ও আব্দুস সালামের ছেলে।
এ ঘটনার খবরে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উত্তেজিত জনতা ঘাতক মজিবুরের বাড়ি ঘর আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ হোসেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উত্তর গোবিন্দপুর এলাকার মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করেন। এলাকায় তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। একই এলাকার মজিবুর রহমানের শ্যালককেও বিদেশে পাঠানোর কথা। বিমানের টিকিটের জন্য মাসুদকে ৬০ হাজার টাকাও প্রদান করে মজিবুর। কিন্তু দেরি হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় মাসুদের দোকানে এসে মাসুদকে খোঁজ করে না পেয়ে দোকানের সামনে বসে থাকা মাসুদের ছোট ভাই শরীফের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শরীফের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে শরীফ মারা যায়।
তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে মাসুদ মিয়া ঘটনাস্থলে গেলে মাসুদ মিয়াকেও ছুরিকাঘাত করে। বিষয়টি দূর থেকে দেখে ভাগ্নে উজ্জ্বল মিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মজিবুর।
পরে স্থানীয় লোকজন মাসুদ ও উজ্জ্বলকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ হোসেন বলেন, মজিবুর ও মাসুদ মিয়ার মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শরীফ মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এদিকে পুত্র শোকে মায়ের হাজারীতে উত্তর গোবিন্দপুরের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। তাছাড়াও এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনেরা শরিফের খুনির ফাঁসি দাবি করে মিছিল করেছে।