পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় র্যাব এর অভিযানে হাতেনাতে ০২ জন গ্রেফতার।
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় র্যাব এর অভিযানে হাতেনাতে ০২ জন গ্রেফতার।
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় র্যাব-৪ এর অভিযানে হাতেনাতে ০২ জন গ্রেফতার।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার”- এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৪ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের পাশাপাশি ছিনতাইকারী, ডাকাত এবং চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সদা সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব- ৪ এর একটি আভিযানিক দল ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন ধানক্ষেত মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রওশন আরা ইন্টারনেট কমিউনিকেশন কোম্পানির অফিসে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় ০২ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো চাকুরিচ্যুত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর সাজ্জাদুর রহমান (৩৫) এবং জসিম উদ্দীন (৩২)। গ্রেফতারকালে তাদের হেফাজত থেকে ০১টি পুলিশ আইডি কার্ড, ০১টি হ্যান্ডকাপ এবং ০১টি ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার ও র্যাব-৪ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে, মামলা এবং গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেছে। পরবর্তীতে ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় রওশনআরা ইন্টারনেট কোম্পানি এবং কমিউনিকেশন সেন্টারে দুই জন সদস্য পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে আসে। প্রতিষ্ঠানের মালিক চাঁদা দিতে সম্মত না হলে তাকে গ্রেফতার ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী হায়দার আলী বিষয়টি র্যাব-৪ কে জানালে তৎক্ষণাৎ একটি আভিযানিক দল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় চাকুরিচ্যুত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর সাজ্জাদুর রহমান (৩৫) এবং তার সহযোগী জসিম উদ্দীন (৩২)’কে ০১টি পুলিশ আইডি কার্ড, ০১টি হ্যান্ডকাপ এবং ০১টি ওয়াকিটকি সেটসহ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামি পুলিশের সাবেক সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সাজ্জাদুর রহমান ২০২৩ সালে সাভারের ধামরাই এলাকায় মাইক্রোবাসে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে আসামি সাজ্জাদুর রহমান ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিলো।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স