গৃহশিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানি! ভুয়া কবিরাজকে জণতার গণধোলাই পুলিশে সোপর্দ
আপডেট সময় :
২০২৫-০৯-০৭ ২৩:৫৫:৫৭
গৃহশিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানি! ভুয়া কবিরাজকে জণতার গণধোলাই পুলিশে সোপর্দ
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীতে গৃহশিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মোঃ আব্দুল হালিম (৪৫), নামের ভুয়া কবিরাজকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহশিক্ষিকা (২৮) বাদী হয়ে গত শনিবার সকালে মহানগরীর চন্দ্রীমা থানায় আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিন বেলা ১১টায় ভুয়া কবিরাজ আব্দুল হালিমকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মোঃ আব্দুল হালিম, তিনি নিলফামারী জেলার ডোমার থানার বামুনিয়া পাটোরিয়াপাড়ার মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে। বর্তমানে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রাণীনগর সাধুর মোড় এলাকায় বসবাস করেন।
অপরদিকে, ভুক্তভোগী গৃহশিক্ষিকা চন্দ্রিমা থানার খোরশেদের মোড়ে একটি প্রাইভেট সেন্টার পরিচালনা করেন। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা আকরাম শেখের মেয়ে।
ভুক্তভোগী গৃহশিক্ষিকা জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে আব্দুল হালিম রোজিফা নামের এক পরিচিত ভাবীর নাম করে আমার সাথে কথা বলেন। সে সময় হালিম তাকে বলে, তার মামলার আসামি কৌশিক তাকে জাদু করেছে। এই জাদু না কাটালে তিনি মারা যাবেন। জাদু কাটার জন্য হালিম গৃহশিক্ষিকাকে রাত্রী যাপন করার কুপ্রস্তাব দেয়।
তবে কবিরাজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, গৃহশিক্ষিকা। এরপর শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হালিম আবারও গৃহশিক্ষিকার প্রাইভেট সেন্টারে গিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হলে হালিম তার কাপড় ও ওড়না ধরে টানা-হেঁচড়া করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ওই সময় গৃহশিক্ষিকা হালিমকে ধাক্কা দিয়ে প্রাইভেট সেন্টারের বাইরে এসে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে ভুয়া কবিরাজ হালিমকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেহেদী মাসুদ। তিনি বলেন, গৃহশিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় স্থানীয়রা কবিরাজ হালিমকে আটক করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নেয় হয়। জিজ্ঞসাবাসে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জোড় হাত করে ক্ষমা চায়, যাহা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক), তার বক্তব্য ও স্বীকারোক্তি ভাইরাল হয়েছে।।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহশিক্ষিকার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স