ঢাকা , সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রীয় আইন মানা হয়নি গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে


আপডেট সময় : ২০২৫-০৯-০৭ ১৮:৪৫:৪০
রাষ্ট্রীয় আইন মানা হয়নি গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় আইন মানা হয়নি গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে
 
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
 
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, কুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এই সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে মানা হয়নি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
 
গত মঙ্গলবার (২সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি, ৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনের লক্ষ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দোয়া মাহফিল, ইসলামের শান্তিপূর্ণ দিক, প্রগতি, মানবাধিকার, নারীর মর্যাদা, বিশ্বভ্রাতৃত্বসহ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এঁর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
কিন্তু গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই দিনটি কোনো ধরনের ধর্মীয় বা শিক্ষামূলক আয়োজন ছাড়াই পার হয়ে যায়। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
 
স্থানীয়রা বলেন, সারা দেশে যখন স্কুলগুলোতে মহানবী (সা:)-এর জীবনাদর্শ তুলে ধরা হচ্ছে, তখন আমাদের এলাকার স্কুলটি চুপচাপ বসে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
 
গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য জিয়াউদ্দিন বলেন, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা:) মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এঁর জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ ও তা চর্চার অনুশীলন ধর্মীয় দায়িত্ব বলেই বিবেচিত। এমন দিনে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো আয়োজন না থাকা সত্যিই দুঃখজনক।
 
প্রধান শিক্ষক সুমিতা বালা তালুকদার বলেন, কি প্রোগ্রাম করতাম? ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী কিতা প্রোগ্রাম করে। আমরা কোনো চিঠি মিঠি পাইছি না। ঈদ-ই -মিলাদুন্নবীর কোনো অনুষ্ঠান আমরা করিনা। অফিস থেকেও কোনো নির্দেশনা পাইনি।
 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও উনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে বক্তব্যের ব্যাপারে মেসেজ করা হয়েছে। সিন করেছেন কিন্তু কোন রিপ্লাই দেননি।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জনি রায় বলেন, এই অনুষ্ঠান করার কথা, না করার কথা না। উনাকে (প্রধান শিক্ষক) জানানোর কি আছে, উনাদের তো অফিসিয়ালি চিঠি আছে। চিঠিতে সকল প্রধান শিক্ষকদের অনুলিপি দেয়া আছে। মাধ্যমিক অফিসারকে বলেছি আর কোন কোন বিদ্যালয় অনুষ্ঠান করেনি খোঁজ নিয়ে তালিকা করার জন্য।


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ