ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবাদীয় সম্পতি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা ও আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত

বিশেষ প্রতিনিধি
আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-২৮ ১৬:৪৩:০৫
বিবাদীয় সম্পতি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা ও আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত বিবাদীয় সম্পতি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা ও আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত
 
বিশেষ প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খনিজ শিল্পাঞ্চল মধ্যপাড়ার নিকটবর্তী গুড়গুড়ি মৌজায় আদালতের স্হিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিবাদিয় সম্পত্তি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়ন গুড়গুড়ি মৌজার বাসিন্দা মৃত্যু আশরাফ উদ্দীনের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম লিখিত ভাবে  মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ এর নিকট দাখিল কৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী আনারুল ইসলাম শরিফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলামের সঙ্গে গুড়গুড়ি মৌজার খতিয়ান নং সিএস৯৪/২ এস এ দাগ নং ১১২০ জমির পরিমাণ ১ একর ২৪ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবৎমামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে।

বাদী আনারুল ইসলাম গং ২৬৬/২০২২ অন্য মামলা শহিদুল ইসলাম গং এর বিরুদ্ধে আনায়ন করে এবং স্হিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য আদালতের স্মরনাপর্ন হন। প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি বাবদে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নালিশী সম্পত্তিতে পক্ষদের বিদ্যমান দখল ও ব্যবহার অনুযায়ী উভয় পক্ষকে স্হিতিরাবস্হা বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ই আগষ্ট /২৫ ইং সকাল ১০ ঘটিকায় ১৫/২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, সহ নালিশী জমিতে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আমন ধানের চারা রোপণের চেষ্টা করে। 

এ সময় শহিদুল ইসলামের লোকজন নিষেধ করতে গেলে পরিস্থিতি বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র কে অবহিত করার পর পুলিশের বাঁধা এবং উপস্থিতির কারণে জমি রোপণ সম্ভব হয় নি।

তবে এ বিষয়ে আনারুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালত আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে স্হিতিবস্হার আদেশ দিয়েছেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমার ব্যবহত জমিতে আমন ধানের রোপণ করতে চাইলে ওরা প্রতিবন্ধকতার চেষ্টা করে এবং বিষয় টি নিয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় বসলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্হিতিঅবস্হা বজায় রাখার স্বার্থে ধান রোপনে বাঁধা প্রদান কিংবা কোন রুপ হয়রানি না করার জন্য বিবাদী পক্ষ আমিনুল ইসলাম গং কে সতর্ক করেছেন।

শুধু তাই নয় বিবাদীয় ১১২০ দাগের একাংশে আমাদের বসত ভিটা রয়েছে, এবং খতিয়ানের অন্যান্য দাগ সমুহ আমাদের দখলে আছে, জমি পতিত রেখে লাভ কি? বিবাদী আমিনুল ইসলাম দাবি করেন, আনারুল ইসলাম যে অংশে রোপা আমন ধান লাগানোর চেষ্টা করছে তা আদৌও তার দখলীয় নয়।
সমাজ সচেতন মহলের অভিমত উভয় পক্ষকে আদালতের স্হিতিবস্হা নির্দেশনা মেনে সহবস্থানে বসবাস করাই শ্রেয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর উদ্যেগ নেওয়া প্রয়োজন। 



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ