ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাউখালীতে দেড় লক্ষাধিক মানুষের ভরসা একজন ডাক্তার" ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-২৫ ১৭:২৯:০২
কাউখালীতে দেড় লক্ষাধিক মানুষের ভরসা একজন ডাক্তার" ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা কাউখালীতে দেড় লক্ষাধিক মানুষের ভরসা একজন ডাক্তার" ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা

 
কাউখালী প্রতিনিধি। 
 
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা। ১৪ জন চিকিৎসকের  বিপরীতে কাগজে-কলমে আছে মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ২জন। চিকিৎসকের অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সেবাগৃহীতারা।


জানা গেছে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর লোকজন হতাশ হয় ফিরে যাচ্ছে। পাঁচটি ইউনিয়নের সাব সেন্টারে পাঁচজন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও। ইউনিয়ন সাব সেন্টার বাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন মেডিকেল অফিসারের কথা থাকলে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ দুইজন।


সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটায় গিয়ে দেখা গেছে, একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছে। রোগীদের প্রচন্ড ভিড়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই একজন চিকিৎসকের। একজন চিকিৎসকের পক্ষে কি সম্ভব আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ করার পরও নাইট ডিউটি করা।উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ একার পক্ষেই করতে হয়।


প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন বিভিন্ন রোগীরা সেবা নিতে ভিড় করছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে ভর্তি রোগী শুকুর আলী বলেন, আমাদের কাছে ডাক্তার আসে না, শুধু নার্স আপারা এসে খোঁজখবর নিয়ে যায়। দিনে একবার ডাক্তার আসলেও রাতের কোন ডাক্তার দেখা যায় না।


উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার বলেন, আজকে আমি একাই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ডিউটি করতে করতে নিজেই রোগী হওয়ার উপক্রম। এখন আউটডোরে আছি আবার জরুরী বিভাগ ও রাতে নাইট ডিউটি করতে হবে। এটা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? তারপরও সেবা করে যাচ্ছি।


এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক কাজে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয় ।তারপরও আউটডোরে রোগী দেখার চেষ্টা করি। চিকিৎসকসহ জনবল না থাকায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 


পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মতিউর রহমান জানান, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটে কথা আমার জানা আছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 


বরিশাল বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, আশা করি আগামী কিছুদিনের ভিতরে কাউখালীতে নতুন চিকিৎসক যোগদান করবেন।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ