জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে তুলা মিয়া (৩৫) নামে একজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার গেরাপচা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। তুলা মিয়ার বাড়ি উপজেলার ছালুয়াতলা গ্রামে। তার পিতার নাম নুরুল আমীন।
পুলিশ ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, তুলা মিয়া ও একই উপজেলার গেরাপচা গ্রামের মৃত বক্তার মিয়ার ছেলে নাজমুল হকের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা একসাথে চলাফেরা করত। তারা দু'জন এলাকায় চুর হিসেবে পরিচিত ছিল।
রোববার রাতে নাজমুল তুলা মিয়াকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। খাওয়াদাওয়া শেষে দু'জনের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে নাজমুল দা দিয়ে তুলা মিয়াকে কোপাতে শুরু করে। ওইসময় তুলা মিয়া দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধানক্ষেতের আইলে পা পিছলে পড়ে যায়। পরে নাজমুল আবার দা দিয়ে তুলা মিয়াকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তুলা মিয়ার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তুলা মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নালিতাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তানভীর ইবনে কাদের জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পূর্বেই তুলা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে জখমের অনেক চিহ্ন রয়েছে৷
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, পারিবারিক দ্বন্ধ ও টাকাপয়সার লেনাদেনা নিয়ে হত্যাকান্ডটি ঘটে থাকতে পারে। তুলা মিয়ার মরদেহ আজ সোমবার (২৫ আগষ্ট) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে অভিযুক্ত নাজমুলকে গ্রেপ্তারে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ভোররাতে নাজমুলের সাথে থাকা এক নারীকে উপজেলার সেহড়াতলী এলাকা থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ওইসময় নাজমুল পালিয়ে যায়।