ঢাকা , রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫ , ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিপুরে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ উঠেছে পিআইও অফিস সহায়ক বিষ্ণুর বিরুদ্ধে


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-২০ ১৮:১২:৫৩
হরিপুরে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ উঠেছে পিআইও অফিস সহায়ক বিষ্ণুর বিরুদ্ধে হরিপুরে অর্থ আত্মসাধের অভিযোগ উঠেছে পিআইও অফিস সহায়ক বিষ্ণুর বিরুদ্ধে
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :
 
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার অর্থ আত্মাসাধের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিস সহায়ক বিষ্ণু রায় ও অফিস কার্যসহকারী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
 

এ উপজেলা মোট ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। উপজেলার ৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান গনস্বাক্ষরে ঢাকা মহাপরিচালক ত্রাণ ও দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর দূযোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 


 
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অফিস সহায়ক বিষ্ণু রায় ১১ বছর ধরে একই অফিসে কর্মরত থাকার ফলে সমস্ত সিন্ডিকেটের হোতা হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ এর গন অভ্যুত্থানের পর সমস্ত অফিস আদালতের রদবদল হলেও হয়নি বিষ্ণু রায়ের বদলি। ফেসিষ্ট সরকারের আমল থেকে কাজ করে আসার ফলে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি জাহাঙ্গীর আলম ৯ বছর যাবৎ একই অফিসে থাকার কারণে একই সুত্রে গাঁথা। 
 


এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গন জানান, গত ১২ মে ২৫ সালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কথা বলে আমাদের ৬ জন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে হলরুম মেরামতের জন্য জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লক্ষ টাকা নেয়।


পরবর্তী আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের জন্য আমি কোন টাকা পয়সা চায়নি বরং ২ টি প্রকল্প হতে  হলরুম মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা করে মোট ৬ লক্ষ টাকা। পরে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি যে আমাদের ৬ জনের ৩ লক্ষ টাকা বিষ্ণু আত্মসাত করেছেন।


 
এছাড়াও সে আমাদের কাছ থেকে প্রতিটি পি আই সি চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে ব্যাংক একাউন্টের চেকে স্বাক্ষর করে বিষ্ণু রায় ও জাহাঙ্গীর আলম নিজে টাকা উত্তলোন করে। প্রতিটি প্রকল্পের ১৫% হারে টাকা কর্তন করে নেয়। অবশিষ্ট টাকা আমাদেরকে প্রকল্পের কাজ করার জন্য দেওয়া হয় প্রতিটি পি আই সি চেয়ারম্যান এর হাতে। এতে সে ত্রাসের পরিনত হয়েছে এবং তাঁর  নিজ উপজেলায় বহু জায়গা জমি সহ টাকার পাহাড়ে পরিনত হয়েছে। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বহু বরাদ্দের টাকা কাঁজ না করে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেছেন। আওয়ামী ফেসিষ্ট এমপি দবিরুল ইসলামের আমলে বিশেষ বরাদ্দের টাকা কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নেয়। যাহার ডকুমেন্ট তাঁর পারসোনাল একাউন্ট ১৯০৯১০০০০৮৩৭১ সোনালী ব্যাংক  হরিপুর উপজেলা শাখায় তলব করলেই পাওয়া যাবে। আমরা এটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাঁর বিচারের দাবি জানাচ্ছি। 
 
 
অফিস কার্যসহকারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে আমাকে বিষ্ণু যেভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছে আমি সে ভাবে কাজ করেছি৷ অফিস সহায়ক বিষ্ণু রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে কৌশলে এড়িয়ে যান। 
 

এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়ারম্যানগন মহাপরিচালক ত্রাণ ও দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর দূযোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনারা কি ব্যবস্থা নেবে সে অপেক্ষায় আছি। 

 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত ) সামলিয়ে মার্ডি মুঠো ফোনে জানান, ঘটনাটি শুনেছি আমি দুই উপজেলার দায়িত্বে রয়েছি। আমার ওখানে যোগদানের বেশি দিন হয়নি। এটি আগের ঘটনা গিয়ে চেয়ারম্যান সহ সকলের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারবো। 



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ