ঢাকা , রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫ , ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের ১১টির বরাদ্দ ফেরত


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-১৬ ১৯:০৮:২৬
কালীগঞ্জে টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের ১১টির বরাদ্দ ফেরত কালীগঞ্জে টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের ১১টির বরাদ্দ ফেরত

তৈয়বুর রহমান (কালীগঞ্জ) গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হলেও যথাযথভাবে কাজ সম্পন্ন না করায় ফেরত যাচ্ছে ১১টি প্রকল্পের মোট ১৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা।

এর মধ্যে ইতোমধ্যেই সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ ফেরতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।     

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, টিআর কর্মসূচির ১ম ও ২য় পর্যায়ে বক্তারপুর ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা এবং নাগরী ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ২ লাখ টাকা ফেরত এসেছে। এ দুই প্রকল্প থেকে মোট ফেরত এসেছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। টিআর কর্মসূচির ৩য় পর্যায়ে মোক্তারপুর ইউনিয়নের দুটি প্রকল্প থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং নাগরী ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত আনা হয়েছে—যার মোট পরিমাণ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।     

এছাড়া, কালীগঞ্জ পৌরসভার একটি প্রকল্প থেকে টিআর ১ম ও ২য় পর্যায়ে ফেরত এসেছে ৬০ হাজার টাকা। ৩য় পর্যায়ে পৌরসভার দুটি প্রকল্প থেকে ফেরত এসেছে আরও ২ লাখ টাকা। পৌরসভার এই তিন প্রকল্প থেকে মোট ফেরত এসেছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে টিআর কর্মসূচির ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের ৯টি প্রকল্প থেকে সর্বমোট ফেরত এসেছে ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা।     

অন্যদিকে, কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে জাংগালিয়া ইউনিয়নের একটি প্রকল্প থেকে ফেরত এসেছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একই ইউনিয়নের আরেকটি প্রকল্প থেকে ৩য় পর্যায়ে ফেরত এসেছে আরও ২ লাখ টাকা। ফলে কাবিটা কর্মসূচির দুই প্রকল্প থেকে মোট ফেরত এসেছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।     

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত অর্থ বছরে কালীগঞ্জে টিআর কর্মসূচির আওতায় ৬০টি এবং কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ৭৭টি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে টিআর কর্মসূচির ১১টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টির কাজ ৩০ জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি এবং ৩টির কাজ একেবারেই শুরু হয়নি। একইভাবে, কাবিটা কর্মসূচির আওতায়ও ২টি প্রকল্পে কোনো কাজ শুরু করা যায়নি।     

তিনি আরও জানান, টিআর ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সব প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি প্রকল্পের ৬টিতে আংশিক কাজ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫টিতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়নি। যারা প্রথম দফায় অগ্রিম চেক নিয়েও কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি, তাদেরকে দ্বিতীয় দফায় আর কোনো চেক দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওই প্রকল্পগুলোর ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা ফেরতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই অর্থ ফেরত পাওয়া গেলে তা-ও সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে।     

ইউএনও তনিমা আফ্রাদ জানান, গত অর্থবছরে কালীগঞ্জে টিআর ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় নানা অনিয়ম, সময়মতো কাজ শুরু ও শেষ না করা ইত্যাদি কারণে অনেককে ২য় দফায় চেক দেওয়া হয়নি। আবার কারও কারও চেক ইস্যু হলেও পরে সেই টাকা ফেরত আনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। চেক দেওয়া অর্থ সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে এবং চেক ইস্যু করা টাকা ফেরত আসলে সেটাও পাঠানো হবে সরকারি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ