তাহিরপুরে ছাত্রদল-যুবদল নেতা টেন্ডারের বাগবিতণ্ডায় গুরুতর আহত
তাহিরপুরে ছাত্রদল-যুবদল নেতা টেন্ডারের বাগবিতণ্ডায় গুরুতর আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলার তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার সরবরাহের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদল নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। এক পর্যায়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবুল হাসান রাসেল মাথায় আঘাত পান ও গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তবে জেলা যুবদলের সহ গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের ৩ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে এই ঘটনা হয়েছে।
জানা যায়, তাহিরপুরে খাবার সরবরাহের টেন্ডারকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান রাসেল ও যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুইজনেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান কামরুলের অনুসারী। মারপিটে জখম হয়েছেন উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক রাসেল আহমদ। এসময় জাহাঙ্গীর আলমও সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা। তবে ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল আহমদের মাথার আঘাত ও জখম বেশি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের ৩ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘টেন্ডার নিয়ে কোন কথা হয় নি, গেল ২৯ জুলাই অলরেডি টেন্ডার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরা প্রায় সময়ই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ডিস্টার্ব করে, গালাগালি করে। আজ (বুধবার) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান কক্ষে ঢোকার সময় শুনতে পাই ছাত্রদলের আহবায়ক আবুল হাসান বলছে, ‘বিএনপির কে আপনাদের কাছে চাঁদা চেয়েছে বলেন’। এসময় আমি কথাবার্তা রেকর্ড করতে গেলে রাসেল রাগান্বিত হয় ও আমার গায়ে হাত তুলে। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে চেয়ার অথবা দেয়ালে লেগে মাথায় আঘাত পেয়েছে সে (রাসেল)। আমিও আঘাত পেয়েছি।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবুল হাসান রাসেলের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায় নি। তবে তার বাবা এমরান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহে আছি। রাসেলের মাথায় আঘাত পাওয়ার খবর পেয়েছি, তবে কিভাবে বা কেন আঘাত পেয়েছে আমি জানি না।
দুই দফা মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, ‘হাসপাতালের খাবার সরবরাহের টেন্ডার প্রক্রিয়া গত দুই জুলাই সম্পন্ন হয়েছে। ফাতেমা ট্রেডার্স নামের ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র পেয়েছে। বুধবার সকালে হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে প্রথমে হাসপাতালের ভেতরে জাহাঙ্গীর আলম ও রাসেল আহমদের কথা কাটাকাটি ও কিছু হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাসেলের দাবি হাসপাতালের সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। এসময় জাহাঙ্গীর আলম নাকি বলেছেন, সেবার মান ভালো আছে। পরে হাসপাতালের গেটের সামনে দুই জনের মধ্যে মারামারি হয়। রাসেল আহমদের জখম হয়েছে, হাসপাতালে প্রাথমিক সেবা দিয়ে আমরা সুনামগঞ্জে প্রেরণ করেছি। জাহাঙ্গীর আলমও কিছু আঘাত পেয়েছে বলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স