নাশকতা ঠেকাতে আওয়ামী দোসর বহুরূপী নারী ইমাকে গ্রেফতারের দাবী।
আপডেট সময় :
২০২৫-০৮-০৬ ২১:৩৫:১৪
নাশকতা ঠেকাতে আওয়ামী দোসর বহুরূপী নারী ইমাকে গ্রেফতারের দাবী।
স্টাফ রিপোর্টার।
নারায়ণগঞ্জে নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোরতা যেমন প্রয়োজন তেমনি নিষিদ্ধ কার্যক্রমের আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতার করাও জরুরী। বর্তমানে বহুরূপী নারী সখিনা আক্তার ইমার কার্যকলাপ চোখে পড়ার মতো। বিগত আওয়ামী সরকার আমলে বিভিন্ন মানুষকে ব্ল্যাকমেইল সহ নানা ভাবে হয়রানী করে আসছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে গোপন সম্পর্ক তৈরি করে এবং এমপি-মন্ত্রীসহ স্থানীয় নেতাদের সাথেও ছবি তুলে তা প্রচার করে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি করার অভিযোগও রয়েছে ইমার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, আওয়ামী দোসর সখিনা আক্তার ইমা সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন অর্থ বিত্তের মালিক পুরুষ এবং বিভিন্ন নেতাদের টার্গেট করে তাদের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এছাড়া আওয়ামী দলীয় ছাড়াও অনুমোদনহীন বিএইচডিএস অপরাধ প্রতিরোধ কল্যাণ সংস্থার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নিজেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল।
তাছাড়া সাকসেস হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মহিলা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষার নামে অমানবিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। স্থানীয় যুবলীগ নেত্রী পরিচয়ে আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশে তার বিচরন ছিল চোখ পড়ার মতো। ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পর সুচতুর ইমা শেখ নিজের ভোল্ট পাল্টে একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে বিষেধাগারসহ তাদের ব্যবসায়ীক ক্ষতি করছে বলে।
অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে অন্যের বিরুদ্ধে গিবত গাওয়াই তার কাজ। বর্তমানে বিএনপির ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের দ্বারস্থ হচ্ছে তার রূপ যৌবন দেখিয়ে। বিভিন্ন সংস্থায়ও তাকে এখন দেখা যায় শো-পিছ হিসেবে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের কাছাকাছি যেতে না পারলেও তারই বিয়াই গুলশান হলের মালিক নারী লিপ্সু ফয়েজ উদ্দিন লাভলুর ছায়া তলে ছিলো এই ক্ষেপামাল ইমা। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং নারায়ণগঞ্জের মহিলা লীগের নেত্রী অধ্যক্ষ শিরিন সহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিপন এবং মনোয়ারা বেগমের নাম ব্যবহার করে মানুষের সাথে যা তা আচরন করতো এবং সন্ত্রাসী মতির আশির্বাদে এই মক্ষী রানী ইমা এলাকার মানুষদের নাজেহাল করে ছাড়তো।
বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধীতাসহ আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারনা করে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যেই এই নারী ছাত্রদের উপর অমানুষিক নির্যাতনসহ হামলা চালিয়ে আলোচনায় এসেছিল এবং নারায়ণগঞ্জের মেয়র আইভী গ্রেফতারের সময় পুলিশের সাথে ইট পাটকেল নিক্ষেপের সময় ইমার ভূমিকা ছিল অগ্রনী। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সচেতন মহল দাবী জানিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স