ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫ , ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুর শ্রীপুরে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা, থানায় ফোন করে নিজেই আত্মসমর্পণ স্ত্রীর।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০৪ ২০:৫৯:৪৪
গাজীপুর শ্রীপুরে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা, থানায় ফোন করে নিজেই আত্মসমর্পণ স্ত্রীর। গাজীপুর শ্রীপুরে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা, থানায় ফোন করে নিজেই আত্মসমর্পণ স্ত্রীর।
 
মোঃ আবু সালেহ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুর শ্রীপুরে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করে স্ত্রী শ্রীপুর মডেল থানায় ফোন করে পুলিশ এনে আত্মসমর্পণ করার ঘটনা ঘটেছে।

হত্যাকারী নারী থানায় ফোন দিয়ে বলেন, আমি আমার ঘুমন্ত স্বামীর গলায় ধারালো বটি দিয়া গলা কাইট্টা ফালাইছি। এহন আমি আত্নসমর্পণ করতে চাই। তাড়াতাড়ি পুলিশ পাঠায়া আমাকে থানায় লয়া যান"। 
 
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামী আলমগীরকে হাসপাতালে ও অভিযুক্ত নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার (৪ আগস্ট) ভোরে  উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের জনৈক মো. সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মো. আলমগীর (৩০) ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাকচর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের জনৈক সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। 
 
অভিযুক্ত মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (২৮) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার চন্দ্রকান্দা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। তিনি স্বামী মো. আলমগীরের সাথে শ্রীপুরেই থাকতেন।

গুরুতর আহত আলমগীরের ছোট ভাই মো. হৃদয় মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ফাতেমার সঙ্গে দীর্ঘ দশবছর পূর্বে আমার ভাইয়ের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আশা মনি নামে আটবছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। দুজনের মধ্যে বুঝাবুঝি না হওয়ায় সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। এর জেরে আজ ভোর ৫ টার দিকে ভাই ঘুমিয়ে ছিলো।

এসময় ঘুমন্ত ভাইয়ের গলায় ধারালো বটি  চালিয়ে গলা কেটে ফেলে তার স্ত্রী। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এমন অবস্থা দেখে আমাদের খবর দেয়। এসময় পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাইকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় মাওনা চৌরাস্তা এলাকার আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখনো তার চিকিৎসা চলছে। ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। পুলিশ অভিযুক্ত ভাবিকে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, অভিযুক্তকে আসামি করে এবিষয়ে শ্রীপুর থানায় মামলাও দায়ের করেছে ভুক্তভোগী আলমগীরের পরিবার।
অভিযুক্ত নারী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন বলেন, আমি কি কারণে এটা করছি আপনাকে বলেল কি সমস্যার সমাধান হবে। এতদিনে যেহেতু হয় নাই তাই বলে লাভ নেই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, আজ ভোরবেলা সকালে এক নারী কণ্ঠে থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন করে জানায় স্বামীকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কাটছি। আমি আত্নসমর্পণ করবো।

পুলিশ পাঠিয়ে আমাকে থানায় নিয়ে যান। এমন ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। উদ্ধার করা হয় রক্তমাখা ধারালো বটি দা। এবিষয়ে ভুক্তভোগীর ছোটভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী এখনও বেঁচে রয়েছেন তবে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ