নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং এলাকা হতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে ০৩ জন ছিনতাইকারীকে সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও মাদকের ভয়াল বিস্তার রোধকল্পে র্যাবের নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ হাউজিং এলাকা হতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ০৩ জন সক্রিয় সদস্য ১। বাবর মিয়া (২১) ২। রিফাত হাসান (১৬) ৩। আব্দুর রাকিব (২২)দেরকে অদ্য ০৩ আগষ্ট ২০২৫ইং তারিখ রাতে দেশীয় অস্ত্র সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০২ টি সামুরাই।
অদ্য ০৩ আগষ্ট ২০২৫ ইং তারিখ রাতে র্যাব-২ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় অবস্থান করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল উক্ত স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনাস্থলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামি ১। বাবর মিয়া (২১) ২। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু রিফাত হাসান (১৬) ও ৩। আব্দুর রাকিব (২২)দেরকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের কাছ থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ০২ টি সামুরাই উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। তারা উক্ত স্থানে ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিল মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আরো জানায় যে, তারা চাপাতি, সামুরাই, চাকু ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে পথচারীদের নিকট থাকা নগদ টাকা-পয়সা, মোবাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। উপরোক্ত বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।