ঢাকা , রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫ , ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবকাঠামো সংকটে শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থীদের।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০৩ ১৯:০৮:২৬
অবকাঠামো সংকটে শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থীদের। অবকাঠামো সংকটে শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থীদের।
সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

“শিক্ষার জন্য এসো- সেবার জন্য বেড়িয়ে যাও” এমন স্লোগান ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিমে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় টি অবস্থিত।   

 
শিক্ষা অর্জনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য। এমনিই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়। ভাঙ্গাচোরা ভবনে পাঠদান চলছে ক্নাসরুম সহ নানা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়ন। 


শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষার মানোন্নয়নে পরিবেশ অত্যন্ত জরুরী বিদ্যালয়ে ক্লাসরুম সংকট ভাঙ্গাচুরা আধাপাকা চারচালা টিনের ঘরে পাঠদান চলছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা সচল রাখতে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণে কাঙ্ক্ষিত দাবি শিক্ষার্থীদের। 


একটি নিরক্ষর মুক্ত ও সমাজে পিছিয়ে পড়া নারী ও যুব সমাজকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রত্যন্ত পল্লীতে অপুর্ব প্রাকৃতিক শোভা সৌন্দর্যের মাঝে আদর্শ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যপীঠ হিসেবে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা থেকে ৪ কি: মি: পশ্চিমে শায়েস্তাগঞ্জউপজেলা থেকে ৫ কি:মি: দক্ষিণে শানখলা ইউপির শাকির মোহাম্মদ বাজারে গড়ে উঠেছিল ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়। 

 
এ প্রতিষ্ঠানে একতলা বিশিষ্ট ১টি ভবন অফিস কক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষ। ২টি টিনের ঘর, ঘর গুলি ভাঙ্গাচোরা ও ১টি টিনর ঘর অকেজো পাঠদান অনুপযোগী। ফলাফলের সাফল্যে উচ্ছ্বাসীত ও সুনামধন্য বিদ্যাপিট শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় দরকার অবকাঠামো উন্নয়ন (ভবন) নির্মাণ।  

 
বিজ্ঞানের সকল যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, কমনরুম, ওয়াশরুম, ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, শিক্ষক রুম, প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সহ নানা সংকট দেখা গেছে। সাধারণ শিক্ষাসহ বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য, মেধাবী শিক্ষার্থী, সু-দক্ষ শিক্ষক, সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক, বিজ্ঞ পরিচালনা কমিটি, এলাকার সূধীজন এবং প্রতিষ্ঠাতাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মূলমন্ত্র।  


উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এ বিদ্যালয়ের সুনাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সহ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশে বিদেশে চাকরি করছেন। বর্তমান শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে সুশিক্ষিত সুনাগরিক হয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম রাখতে চান। 


এ প্রতিষ্ঠানে ১৭ জন শিক্ষক ও ১জন কর্মচারি সহ আরও ৩ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন ছাত্রছাত্রীর স্যাংখা প্রায় ৭৭৬ জন। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, ভাঙ্গাচোরা ও জরাজীর্ণ আধাপাকা টিনের ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পাঠদান চলে মেঘলা আকাশ দেখলে আমাদের ভয় লাগে কখন জানি কি হয়। ক্লাশ রুম, ওয়াশরুম, কমনরুম বাথরুম নেই, নেই বলতে কিছুই নেই ক্লাস করতে আমাদের কষ্ট হয় আমাদের দ্রুত একটি নতুন  ভবনের দরকার। 


এবিদ্যালয়ের প্রাপ্তন এক শিক্ষার্থী বলেন, শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় এ অঞ্চলের একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশপাশের বিভিন্ন স্কুলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ স্কুলে কোন উন্নয়ন হয়নি নতুন একটি বহুতল ভবনের বাজেট আসলেও বিল্ডিং এর পাইলিং পর্যন্তই কাজ থেমে যায়। 

 
শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং অভিভাবকদের প্রত্যাশা ও দাবি পুরণে দরকার অবকাঠামো নির্মাণ। এলাকা বাসির দাবি শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ পাঠদানে দরকার সুন্দর পরিবেশ দালানকোঠা আসবাবপত্র অবকাঠামো। 

 
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক স্যার বলেন, উপজেলা, জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর শুরু করে ঢাকা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে গিয়ে আমি ক্লান্ত সুবাতাসের আবাস পাইনি বর্তমান  সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সু-নজর কামনা করছি। প্রধান শিক্ষক মানিক স্যার আরও বলেন, দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশ। আর একটি দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটে। 


এলাকা বাসির সহযোগিতায় এ বিদ্যালয়টি এগিয়ে চলেছে। ছাত্র অভিভাবক শিক্ষক ও এলাকাবাসির দাবি  সংকট পুরণে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার বড় প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের সকল সংকট নিরাশনে অবকাঠামো নির্মাণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর এগিয়ে আসেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে শাকির মোহাম্মদ এলাকা। 


মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, বিদ্যালয়ের সুনাম, ফলাফল সন্তষ্টজনক, পাঠদানে দক্ষ শিক্ষক রয়েছে, অবকাঠামো সংকট ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান, এসকল সমস্যা সমাধানে আমার নজর আছে দ্রুতই ভবন নির্মাণ হবে ইনশাআল্লাহ।


স্কুলের সাবেক সভাপতি বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য জনাব ইকবাল মেন্বার বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর ২০২৪ এর প্রথম দিকে ৫ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র আনা হয় । আমাদের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তিক সাহেব বরাদ্দকৃত এক লক্ষ টাকা থেকে সল্প মূল্যে পুকুরের ৫ শতক জায়গা খরিদ করা হয় এবং মাটি ভরাট করে টিন সেটের একটি ঘর নির্মান করি বর্তমানে এই ঘরে পুরাতন আসবাবপত্র রাখা হয়েছে।  


এবছর জেলা প্রশাসন থেকে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বর্তমানে কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন আমাদের একটি বিল্ডিং এর আশায় তিনটি বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সেই কারণেই আমাদের দুর্গতি বেড়েছে। পরিবেশের মানদন্ডের বিবেচনা করলে। 


আমাদের স্কুল আশে পাশের অন্যান্য স্কুলের তুলনায় রেজাল্ট ভালো ছাত্রীদেরকে ভালো পরিবেশ দিতে পারছিনা লেখাপড়ার। আসবাবপত্র সংকট নেই বাথরুম নেই ওয়াশরুম নেই কমনরুম নেই একটি নতুন বিল্ডিং হলে পালটে যাবে শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের চিত্র পরিবেশ।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ