ঢাকা , রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫ , ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়ায় স্কুলের পিলারের সাথে বেঁধে এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০২ ১৩:০৭:২৭
উল্লাপাড়ায় স্কুলের পিলারের সাথে বেঁধে এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ। উল্লাপাড়ায় স্কুলের পিলারের সাথে বেঁধে এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ।

মো: কোরবান আলী রিপন, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।
 
উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের গোনাইগাতী গ্রামের জমিন প্রামানিক এর ছেলে সিহাব (১৫) কে গোনাইগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিলারের সাথে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।


ভুক্তভোগীর পিতা জমিন প্রামানিক আমাদের জানান, গত ২৭/০৭/২০২৫ তারিখ বেলা আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় একই গ্রামের নুরু ডাক্তার (ইউনিয়ন জামাতের সাধারণ সম্পাদক), মামুন মাষ্টার, আনোয়ার মাষ্টার এর নেতৃত্বে আফাল, আশরাফুল, খোকন, শাহাদ, নুর হোসেন, তৈয়ব আলী, কাজল সহ আরো বেশ কয়জন আমার ছেলে সিহাব কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমার ছেলে প্রাণে বাঁচার জন্য নদীতে ঝাপ দেয় তারপরও তারা আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গোনাইগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিলারের সাথে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে।


ভুক্তভোগী বাবা আরো অভিযোগ করে নুরু ডাক্তার, মামুন, আনোয়ার মাষ্টার আমার থেকে চাঁদা দাবী করে আমি দিতে স্বীকার করলে তারা নামমাত্র বিচার বসিয়ে আমার থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। পরবর্তীতে আবারো তারা দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আমি যেটা অস্বীকার করলে তারা আমার ছেলেকে অবৈধভাবে বাসায় থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে যার ভিডিও এবং ছবি আছে।


কিন্তু মামুন মাস্টার আমাদেরকে জানান ইউনিয়ন জামাতের আমির নুরু ডাক্তারের বাসায় ঢাকায় থেকে মেহমান আসে। ওই মেহমানের গোসলের আপত্তিকর ভিডিও শিহাব ধারণ করে যার পরিপেক্ষিতে তাকে গ্রামের সবাই মিলে ধরে মারধর করে পুলিশের সোপর্দ করে। কিন্তু ভুক্তভোগী জমিন দাবি করে যে মোবাইলে এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে সেই মোবাইল তার ছেলে সিহাবেন না এমনকি শিহাব এই ভিডিও করেনি। শিহাবের সঙ্গে আরেকটি ছেলেকে গ্রামবাসী পুলিশের হাতে তুলে দেয় যার নাম জুলফিকার।


জুলফিকার এর বাবা আমাদেরকে জানান, আমার ছেলে এগুলোর কিছুই জানেনা আমার ছেলেকে হঠাৎ করে বাড়ি থেকে নূরু ডাক্তার মামুন মাস্টার ও আনোয়ারের  নেতৃত্বে কিছু লোকজন ধরে নিয়ে যায় এবং ব্যাপক মারধর করে আমি বাধা দিলে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে।


শিহাবের বাবা জমিন সরকার ও জুলফিকার এর বাবা মোতালেব আমাদেরকে বলেন, গ্রামে একটি নৌকা বাইচের নৌকা তৈরি করার জন্য পুরো গ্রাম থেকে মামুন মাস্টার ও আনোয়ার মাস্টারের নেতৃত্বে অনেক বড় অংকের টাকা চাঁদা আদায় করে আমরা এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাদেরকে এই মিথ্যা অপবাদে ফাসিয়ে আমাদের ছেলেদেরকে জেল হাজতে পাঠায়। আমাদের সন্তানরা এর সঙ্গে কোন ভাবে জড়িত না।


ভুক্তভোগীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই মোখলেসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে শিহাব ও জুলফিকারের নামে উল্লাপাড়া মডেল থানায় এটা পর্নোগ্রাফির মামলা হয়েছে বর্তমানে তারা জেল হাজতে আছে। আমরা তদন্ত করছে তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন কোর্টে জমা দেওয়া হবে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ