ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫ , ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার: পুরনো বিরোধের জেরে নৃশংস হত্যা সন্দেহ।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০১ ১৬:৪৫:৪৮
পীরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার: পুরনো বিরোধের জেরে নৃশংস হত্যা সন্দেহ। পীরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার: পুরনো বিরোধের জেরে নৃশংস হত্যা সন্দেহ।

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ২নং ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভবানীপুর (বাদিপাড়া) গ্রামে প্রবাসী সাজু মিয়ার স্ত্রী আসমা বেগম (৪২) নিজ বাসভবনে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। ৩১ জুলাই রাতে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে। হত্যাকাণ্ডের পর তার একটি হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়।


নিহত আসমার পারিবারিক প্রেক্ষাপট বাবার বাড়ি ঘোষপুর গ্রামে। নিহত আসমা বেগম দুই সন্তানের জননী। তার বড় মেয়ে সনিয়া বেগম বগুড়ায় বিবাহিত জীবনযাপন করছেন এবং এক সন্তানের মা। পুত্র সন্তান বগুড়ায় বাসায় অবস্থান করছেন। প্রবাসী স্বামী সাজু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে কর্মরত। আসমা বেগম একাই ভবানীপুরে নিজের মালিকানাধীন ২০ শতক জমির ওপর নির্মিত একটি আধুনিক বাড়িতে বসবাস করতেন।


নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ৩১ জুলাই রাতে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে আসমা বেগমের শেষবার ফোনে কথা হয়। এরপর থেকে বহুবার ফোন করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সাজু মিয়া স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক মিয়ার ছেলে তারাজুলের মাধ্যমে খোঁজ নিতে বলেন। তারাজুল গিয়ে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাচীর টপকে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের দক্ষিণ পাশে রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় আসমার মরদেহ।


তাৎক্ষণিকভাবে রাত ১২টা ৪ মিনিটে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ বিষয়টি ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িকে জানান। এরপর ভেন্ডাবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ খাইরুল ইসলাম পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পুরনো বিরোধ এবং টাকার লেনদেন ঘিরে সংঘর্ষ।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রতিবেশী আমিনুল নামে এক যুবক মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি আসমা বেগমের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। পরে ওই ফ্যামিলির শাইন ওই টাকা ফেরত দিতেচেয়েছিল, টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি শুরু হয়। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। আসমা বেগম বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেওয়ার উদ্দেশ্যে চাতাল বাজারে গেলে, ওয়ার্ড মেম্বার মেজবাহুল তাকে নিজের দোকানে ডেকে নেন। নিহতের আত্মীয় আবু তাহের। শাহিন কে ডেকে আনেন সেই সময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের এক পর্যায়ে সৈয়দ মিয়ার ছেলে শাহিনুরকে মারধর করেন শাহীনুরকে। তার মাথায় আঘাত লাগলে শাহিনুর সেনাবাহিনীর কাছে বিচার দিলে, পরে দুই পক্ষকে ডেকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণে মীমাংসা করে দেওয়া হয়।


তবে ঘটনার পর থেকেই নিহত আসমা বেগমের সঙ্গে আত্মীয় আবু তাহেরের মধ্যে বিচারের টাকা নিয়া কথাকাটাকাটি চলতে থাকে। এলাকাবাসীর ধারণা, পূর্বের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও পারিবারিক দ্বন্দ্বই হত্যার মূল কারণ হতে পারে।


পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যার পেছনে কারা জড়িত এবং কী উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়গুলো।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ