নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপি’র দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিসিক বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ; শাহজাদপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন, নাসিম উদ্দিন মালিথা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, শাহজাদপুরের নেতৃবৃন্দ, শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ। সকাল ১০:১৫ মিনিটে আন্দোলনকারীরা বিসিক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, শাহজাদপুরের উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান আজকের একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ডিপিপি অনুমোদন করে ক্যাম্পাস নির্মাণের দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। শাজদাপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি জনাব মির্জা হুমায়ুন বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য কোনো ভূমি অধিগ্রহণের দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথের জমিতেই হবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরও ডিপিপি অনুমোদনে বাধা কোথায়? ফোরামের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান যেন, আজকের একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের ডিপিপি অনুমোদন করা হয়।
ঘটনাস্থলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড তাঁদের হাতে দেন। এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা ভাইস-চ্যান্সেলর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই প্ল্যাকার্ডের কথাই আমাদের বক্তব্য। এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। সকাল ১১:১৫ মিনিটে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ২৮ জুলাই ২০২৫ সকাল ১০:০০টা থেকে ১১:০০টা পর্যন্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যকাডেমিক ভবন-৩ সংলগ্ন ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের মানবন্ধন চলমান থাকবে।